ব্রাজিলিয়ানের ৬ মিনিটের হ্যাটট্রিকে শীর্ষে আবাহনী

প্রকাশ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০

ম ক্রীড়া প্রতিবেদক
বিপিএলে রোববার রহমতগঞ্জের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের পর আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ডোরিয়েল্টনকে ঘিরে সতীর্থদের উচ্ছ্বাস -বাফুফে
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল (বিপিএল) লিগের তৃতীয় রাউন্ডে এসে দেখা মিলল প্রথম হ্যাটট্রিকের। ঢাকা আবাহনীর হয়ে মাত্র ছয় মিনিটের ব্যবধানে তিন গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ডোরিয়েল্টন। তার হ্যাটট্রিকের সুবাদে পুরান ঢাকার দল রহমতগঞ্জকে ৩-০ গোলে হারায় ঢাকা আবাহনী। তিন ম্যাচে আবাহনী সাত পয়েন্ট নিয়ে শেখ জামালের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে। অন্যদিকে রহমতগঞ্জ সমান ম্যাচে এখনো পয়েন্টের খাতা খুলতে পারেনি। আগের ম্যাচে পুলিশ এফসির বিপক্ষে ১-১ ড্র করে পয়েন্ট খুইয়েছিল মারিও লেমোসের দল। রহমতগঞ্জের বিপক্ষে গত লিগে প্রথম পর্বে ১-০ গোলে জয়ের পর ফিরতি লেগে তারা জিতেছিল ৬-০ ব্যবধানে। সবশেষ দেখায় রহমতগঞ্জকেই ২-১ গোলে হারিয়ে ফেডারেশন কাপের শিরোপা জিতেছিল আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। প্রথমে হেডে, এরপর নিখুঁত কোনাকুনি শটে এবং সবশেষ গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে লক্ষ্যভেদ করলেন। উপহার দিলেন এবারের প্রিমিয়ার লিগে প্রথম হ্যাটট্রিক। রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটিকে উড়িয়ে দিয়ে শীর্ষে উঠে এলো আবাহনী। দিনের আরেক ম্যাচে মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে দিনের অপর ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিংকে ১-০ গোলে হারায় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। ৩৯তম মিনিটে আইজার আখমেদভের স্পট কিক থেকে ব্যবধান গড়ে দেন। টঙ্গীর আহসানউলস্নাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ৪০-৪৫ এই পাঁচ মিনিটে ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস ও ডোরিয়েল্টনের ঝড়ে মূলত ম্যাচ হারে রহমতগঞ্জ। ডোরিয়েল্টনের তিন গোলের মধ্যে দুই গোলের জোগানদাতা বিশ্বকাপে খেলা কোস্টারিকান ফুটবলার কলিন্দ্রেস। তাই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে হলুদ কার্ডের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসের সামনে নিজের জার্সি খুলে রাখেন। ৪০ মিনিটে কলিন্দ্রেসের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন ডোরিয়েল্টন। তার নেয়া হেড ওয়ালী ফয়সালের সামনে ড্রপ খেয়ে বল গোললাইন অতিক্রম করে। ৪৩ মিনিটে ড্যানিয়েলের পাসে বক্সে বল নিয়ে প্রবেশ করেন ডোরিয়েল্টন। গোলরক্ষককে কোনো সুযোগ না দিয়ে বল জালে পাঠান। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এই ব্রাজিলিয়ান। মিডফিল্ড থেকে পাওয়া এক থ্রোতে আগুয়ান গোলরক্ষককে কাটিয়ে পেস্নসিংয়ে বল জালে জড়িয়ে হ্যাটট্রিক উদযাপন করেন। রহমতগঞ্জ ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারলেও শুরুটা ছিল পুরান ঢাকার ক্লাবের আধিপত্য দিয়েই। প্রথম ত্রিশ মিনিটের মধ্যে রহমতগঞ্জের লিড নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করে কয়েকবার। ম্যাচের ৯ মিনিটে নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত হয় রহমতগঞ্জ। দুই দফা চেষ্টা করেও গোলের দেখা পায়নি ফেডারেশন কাপের ফাইনাল খেলা দলটি। ২৩ মিনিটে বিপদজনকভাবে বক্সে প্রবেশ করেন ফিলিপ আদযা। কিন্তু আড়াআড়ি যে শট নেন তাতে বল জালে জড়ায়নি। ছয় মিনিট পর দারুন সুযোগ তৈরি হয়েছিল। ফিলিপ আদযা এবারও মিস করেন। প্রথম গোলের আগে ঢাকা আবাহনীর এক ফুটবলার উঁচু বল দখলের লড়াইয়ে গিয়ে বড় ধরনের ফাউল করেন। সেখানে রেফারি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন কিছুটা বিলম্বে। ওই অ্যাকশনে অন্য রকম সিদ্ধান্ত আসলে ম্যাচের ফলাফল ও চিত্র ভিন্ন হতে পারত। দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনী তাদের প্রাধান্য বজায় রাখে। ৬০ মিনিটে আবাহনী ৪-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারেনি ক্রসবারের কারণে। আবুর জোরাল শটে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ক্রসবার। ৭৩ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ হাতছাড়া করে রহমতগঞ্জ। পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি রহমতগঞ্জের সানডে চিজোবা। অনেকটা আকস্মিকভাবে সরাসরি আবাহনীর গোলরক্ষক সোহেলের হাতে বল তুলে দেন।