ক্রিকেটকে বিদায় বললেন গম্ভির

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
গৌতম গম্ভির
দীঘির্দন ধরেই জাতীয় দলে উপেক্ষিত তিনি, সামনে দলে ফিরবেনÑ গৌতম গম্ভির দেখছেন না এমন সম্ভাবনাও। তাই শুধু আন্তজাির্তক ক্রিকেট নয়, সবধরনের ক্রিকেট থেকেই অবসরের ঘোষণা দিয়ে দিলেন ভারতীয় ওপেনার। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া অন্ধ্রপ্রদেশ ও দিল্লির মধ্যকার রঞ্জি ট্রফির ম্যাচটিই হতে যাচ্ছে তার শেষ ম্যাচ। তাই ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টটি হয়ে রইল তার সবশেষ আন্তজাির্তক ম্যাচ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মঙ্গলবার প্রায় ১২ মিনিটের এক ভিডিওবাতার্য় অবসরের ঘোষণা দেন গম্ভির। যেখানে তিনি বলেছেন, ‘ফিরোজ শাহ কোটলা- যেখানে সব শুরু হয়েছিল, সেখানেই সব শেষ হতে যাচ্ছে। রঞ্জিতে অন্ধ্রপ্রদেশের বিপক্ষে ম্যাচটা হবে আমার শেষ। বিষয়টি আমার সঙ্গে সবসময়ই ছিল। ম্যাচে কিংবা অনুশীলনে। সবসময় মনের মধ্যে এই ভাবনা কাজ করেছে। ডিনারও ঠিকমতো করতে পারিনি। আইপিএলে ব্যথর্ হওয়ার পর মনে হলো আবারও শুনতে পাচ্ছি সেই কথাগুলো এবং এবার আরও জোরে। বুঝলাম সত্যিই সময় হয়েছে।’ জাতীয় দলের জাসির্ গায়ে দুটি বিশ্বকাপ জিতেছেন গম্ভির, ২০০৭ সালের টি২০ বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। দুটি বিশ্বকাপের ফাইনালে তার ব্যাট থেকে এসেছে সবোর্চ্চ রানের ইনিংস। টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ৭৫ রান করেছিলেন। চার বছর পরে মুম্বাইয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে ৯৭ রান করেন। গম্ভিরের কাছে ওই সুখস্মৃতি ১৫ বছরের ক্যারিয়ারের গবের্র অধ্যায়, ‘দুটো বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলেছি। দুটোতেই ফাইনালে সবোর্চ্চ স্কোরার হয়েছি ও দলের জয়ে অবদান রেখেছি। এসব আমার জীবনে সেরা স্মৃতি হয়ে থাকবে। বিশ্বের সেরা টেস্ট দলের সদস্য হওয়া, ২০০৯ সালে আইসিসির সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান হওয়ার পুরস্কার আমাকে গবির্ত করে।’ ভারতের হয়ে ৫৮টি টেস্ট, ১৪৭টি ওয়ানডে এবং ৩৭টি টি২০ ম্যাচ খেলেছেন গম্ভির। আইপিএলে কলকাতার সবচেয়ে সফল অধিনায়ক তিনি। ২০১২ এবং ২০১৪ সালে কলকাতাকে শিরোপা পাইয়ে দিয়েছেন। জাতীয় দলে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১০ হাজারের বেশি রান করেছেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে গম্ভিরের অভিষেক হয়েছিল ২০০৩ সালে, ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে। বঁাহাতি এই ওপেনার টেস্ট ক্রিকেটে ৯টি সেঞ্চুরি আর ২২টি ফিফটিতে করেছেন ৪১৫৪, ওয়ানডে ক্রিকেটে ৫২৩৮ রান করার পথে হঁাকিয়েছেন ১১টি সেঞ্চুরি এবং ৩৪টি হাফসেঞ্চুরি। আর ৩৭টি টি২০ ম্যাচে ২৭.৪১ গড়ে ৯৩২ রান করেন তিনি।