আজকের যায়যায়দিন

মেহেদী হাসান মিরাজ এবং নাঈম হাসান, দুইজনই ডানহাতি অফ-স্পিনার এবং ব্যাটসম্যান। যার ফলে বাংলাদেশের টেস্ট একাদশে মিরাজ সুযোগ পেলে নাঈমকে থাকতে হয় স্কোয়াডের বাইরে। চলতি শ্রীলংকা সিরিজের আগে মিরাজের আকস্মিক চোটে ভাগ্য খুলে যায় নাঈমের।

এমনিতেই সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে খেলেছেন মাত্র ৭ টেস্ট। গায়ে সেঁটে গেছে টেস্ট ক্রিকেটারের তকমা। অনেকের মতে, বাতিলের খাতায় নাম পড়ে গেছিল তার। মেহেদী হাসান মিরাজ যেমন উজ্জ্বল পারফরম্যান্স করছিলেন, এতে নাঈম হাসানের ফেরার রাস্তাটা সুগম ছিল না। শুরুতে সুযোগ মিলেছিল না ঘরের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজেও। সেই মিরাজের চোট কপাল খুলে দেয় এই অফ স্পিনারের। ফিরেই ঘরের মাঠে বাজিমাত নাঈমের। অবশেষে ১৫ মাস পর আবার টেস্ট দলে ফিরেছেন নাঈম। আর লম্বা সময় পর দলে ফিরেই বল হাতে বাজিমাত করেছেন এই ডানহাতি অফ-স্পিনার। লংকানদের বিপক্ষে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেছেন নাঈম। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ছয় উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি।

লংকানদের বিপক্ষে প্রথম দিন থেকেই বল হাতে সফল ছিলেন নাঈম। প্রথম দিন বল হাতে নিয়ে নিজের করা পঞ্চম বলেই উইকেট তুলে নেন এই অফ-স্পিনার। লংকান দলপতি দিমুথ করুণারত্নকে এলবির ফাঁদে ফেলেন তিনি।

লংকানদের আরেক ওপেনার ওশাদা ফার্নান্দোও নাঈমের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। প্রথম দিন আর উইকেট না পাওয়া নাঈম দ্বিতীয় দিন তুলে নেন আরও চার উইকেট।

অপরাজিত আবাহনীর কাছে পাত্তাই পেল না শেখ জামাল

প্রথম সেশনে ৬৬ রান করা দিনেশ চান্ডিমালকে ফিরিয়ে যার শুরু। এরপর ৩ রান করা নিরোশান ডিকভেলাকে বোল্ড করেন এই অফ স্পিনার। নাঈমের পাঁচ উইকেট পূর্ণ হয় আসিথা ফার্নান্দোকে ফিরিয়ে। তার কুইকার বুঝতেই পারেননি আসিথা। বল সরাসরি আঘাত হানে উইকেটে।

এর মাধ্যমে আট টেস্টের ক্যারিয়ারের তৃতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট শিকার করলেন নাঈম। এর আগে অভিষেক টেস্টে চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬১ রানে পেয়েছেন পাঁচ উইকেট। নিজের পঞ্চম টেস্টে এসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আবার পাঁচ উইকেট নেন তিনি। মিরপুরে সে ম্যাচে রান দিয়েছেন ৮২।

চট্টগ্রামে এদিন পাঁচ উইকেট নিয়েই থামেননি এই অফ-স্পিনার। দ্বিশতকের পথে এগোনো অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে এক রানের আক্ষেপ নিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান। ম্যাথুসকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগার পান এই ক্রিকেটার। ১০৫ রানে নেন প্রথমবারের মতো ছয় উইকেট। বাংলাদেশের তিন স্পিনার মিলেই শ্রীলংকার ১০ উইকেট নিয়েছেন। পেসার খালেদ আহমেদ ও শরিফুল ইসলামকে দর্শক বানিয়ে।