বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
বাংলাদেশ-শ্রীলংকা টেস্ট সিরিজ

৬ ডাকের ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড বাংলাদেশের

ম ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ২৫ মে ২০২২, ০০:০০
মিরপুরে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার শূন্য রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন টাইগার ব্যাটার এবাদত হোসেন -ওয়েবসাইট

শ্রীলংকার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৬ জন ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন শূন্য রানে। এক ইনিংসে ৬ জনের খালি হাতে ফেরাটা এই প্রথম নয়। তবে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ একটি রেকর্ড গড়েছে। ৬ ডাকের ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এখন তাদের দখলে।

শুধু টেস্টেই নয়, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক ইনিংসে অন্তত ছয় ব্যাটার শূন্যরানে আউট হওয়ার পরও সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড নতুন করে লিখেছে টাইগাররা। রেকর্ডটি এখন ৩৬৫ রান সংগ্রহের।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টেস্টের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার এবাদত হোসেনের আউটে বাংলাদেশের ইনিংসের ইতি ঘটে। ২০ বল খেললেও পেসার এবাদত ফেরেন শূন্য রানে। তিনি ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে এই ইনিংসে ডাক মারেন।

টেস্টে ৬৩ বছরের পুরনো এক রেকর্ডও ভেঙেছেন মুশফিক-লিটন। ১৯৫৯ সালে ঢাকা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২২ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ষষ্ঠ উইকেটে ৮৬ রানের জুটি গড়েছিলেন পাকিস্তানের ওয়ালিস ম্যাথিয়াস ও সুজাউদ্দিন। সবচেয়ে কম রানে ৫ উইকেট হারানোর পর এতদিন সেটাই ছিল ষষ্ঠ উইকেটে সেরা জুটি। শ্রীলংকার বিপক্ষে সেই রেকর্ড ভেঙেছেন মুশফিক ও লিটন। ২৪ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর দু'জনে গড়েছেন ষষ্ঠ উইকেটে রেকর্ড ২৭২ রানের জুটি।

শেরেবাংলায় ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে মহাবিপদ থেকে উদ্ধার করেছে মুশফিক-লিটনের ২৭২ রানের নান্দনিক জুটি। বাকি ব্যাটাররা ছিলেন অনুজ্জ্বল। মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ১৭৫ এবং লিটন দাসের ১৪১ রানের অনবদ্য ইনিংসে মিরপুর টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ছয় ব্যাটার শূন্যরানে ফেরার ইনিংসটিতে টাইগাররা পেয়েছে রেকর্ডের দেখাও!

এতদিন পর্যন্ত ৬ ডাকের ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের ছিল ভারতের। তাও দুইশ'র কাছাকাছি যেতে পারেনি তারা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যানচেস্টারে অলআউট হয়েছিল ১৫২ রানে। এর আগে ৬ ডাকের ইনিংসে পাকিস্তান ১২৮ রান, দক্ষিণ আফ্রিকা ১০৫ রান, বাংলাদেশ ৮৭ রান, নিউজিল্যান্ড ৯০ রানে অলআউট হয়।

এক ইনিংসে এর আগে বাংলাদেশের ৬ জন ব্যাটসম্যান অলআউট হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, ২০০২ সালে ঢাকায়। আর এবার ঘটে দ্বিতীয়বারের মতো। ওইবার মাত্র ৮৭ রান করলেও মুশফিকুর রহিম-লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে এবার পার হয়ে যায় সাড়ে তিনশ'।

ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনই হয়তো নামতে হতো, দলের যে শুরু হয়েছিল বিপর্যয় দিয়ে। কিন্তু মুশফিকুর রহিম-লিটন দাসের প্রতিরোধে সেটা হয়নি। তবে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে লিটন আউট হওয়ায় ব্যাট হাতে মাঠে নামেন অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন। কিন্তু ৯৮৭ দিন পর সাদা পোশাকের প্রত্যাবর্তন রঙিন করতে পারলেন না তিনি। কাসুন রাজিথার করা অষ্টম ওভারের প্রথম বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন। ব্যাটিং করতে নেমে তৃতীয় বলেই মোসাদ্দেক ঠিক একইভাবে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।

এর আগে তিন টেস্ট খেলা মোসাদ্দেকের এটি প্রথম শূন্য। অথচ ক্রিজে থাকা মুশফিককে সঙ্গ দিতে পারলে বাংলাদেশের অবস্থা আরো মজবুত হতো। স্কোরবোর্ডে জমা হতো চ্যালেঞ্জিং স্কোর। কিন্তু মোসাদ্দেক ৩ বলের বেশি খেলতে পারলেন না।

আগেরবার ইনিংসে শূন্য রানে আউট হন মোহাম্মদ আশরাফুল, অলক কাপালি, খালেদ মাসুদ পাইলট, এনামুল হক, তাপশ বৈশ্য ও তালহা জুবায়ের। বাংলাদেশের হয়ে চলতি ম্যাচে এবাদতসহ ৬ ডাক মারা ব্যাটসম্যান হলেন মাহমুদুল হাসান জয়, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও খালেদ আহমেদ।

এছাড়া একই ইনিংসে দুই ওপেনারের শূন্য মারার

ঘটনা ঘটে তৃতীয়বারের মতো। এর আগে তামিম-ইমরুল কায়েস, তামিম-শামসুর রহমান আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে