পাকিস্তানকে উড়িয়ে সেমিতে বাংলাদেশ

ইমাজিং এশিয়া কাপ

প্রকাশ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ইমাজির্ং এশিয়া কাপের শেষ চারে খেলতে হলে জিততে হবে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে, এই ছিল বাংলাদেশের সামনে একমাত্র সমীকরণ। সেই সমীকরণ মাথায় রেখে প্রথমে ব্যাটে আগুন ঝরালেন ব্যাটসম্যানরা। তাতে দলের সংগ্রহ দঁাড়ায় ৩০৯ রান। বড় পুঁজি পেয়ে বোলিংয়ে আলো ছড়িয়েছেন বোলাররাও। তাতেই ৮৪ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ অনূধ্বর্-২৩ দল। এই জয়ে আসরের সেমিফাইনালে উঠেছে তারা। দিনের আরেক খেলায় আরব আমিরাত-হংকং ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যায়। তাতে জটিল সমীকরণের পথে হাঁটতে হয়নি। গ্রæপ ‘বি’তে রানাসর্আপ হয়েছে টাইগাররা। বাংলাদেশের কাছে হেরেও সমান চার পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে এগিয়ে গ্রæপ চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। পরিত্যক্ত ম্যাচে এক পয়েন্ট পাওয়া আরব আমিরাত ৩ পয়েন্টে হয়েছে গ্রæপের তৃতীয়। প্রথম ম্যাচে আরব আমিরাতের কাছে বড় ব্যবধানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে হংকংকে ২৮ রানে হারায় বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও বল হাতে দুই উইকেট নিয়ে জয়ের নায়ক ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। পাকিস্তানের বিপক্ষেও জয়ের নায়ক সৈকতই। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ হবে শ্রীলংকায়। শেষ চারের ম্যাচগুলো খেলতে পাকিস্তান থেকে শ্রীলংকায় চলে যাবে বাংলাদেশ দল। গ্রæপ ‘এ’ থেকে শেষ চার নিশ্চিত করেছে ভারত ও শ্রীলংকা। ‘বি’ গ্রæপ থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে পাকিস্তানের। ‘এ’ গ্রæপের তিন ম্যাচ শেষে জানা যাবে সেমিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা। করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও জাকির হাসান উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৪৮ রান। ৬৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন জাকির। জাকিরের বিদায়ের খানিক পর দলীয় ১৫১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত অধর্শত থেকে এক রান দূরে থাকতে থামেন নাজমুল শান্ত। ৫৪ বলে ৪টি চারের মারে সাজান নিজের ইনিংস। পাঁচ নম্বরে নেমে আফিফ হোসেন ধ্রæবও ফিরে যান অল্পেই। তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের দখলে নিয়ে নেন মোসাদ্দেক ও রাব্বি। দুজন মিলে মাত্র ৯৭ বলে গড়েন ১২৬ রানের জুটি। ৫ চার ও ২ ছক্কার মারে মাত্র ৪৬ বলে ৫৬ রান করে আউট হন রাব্বি। তবে শেষ পযর্ন্ত অপরাজিত থাকেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মোসাদ্দেক। ব্যাট হাতে ৮৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে বাংলাদেশের সংগ্রহকে ৩০০ পার করান সৈকত। দলকে ৩০৯ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়ার পথে মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে আসে ৭৪ বলে ৮৫ রানের ইনিংস। ৩টি চারের সাথে ৪টি ছক্কা হঁাকান তিনি। বাংলাদেশের করা ৩০৯ রানের জবাবে শুরু থেকেই পেছাতে থাকে পাকিস্তান। নাঈম হাসানের স্পিন ঘূণিের্ত মাত্র ২৩ রানেই দুই উইকেট হারায় তারা। তবে খুরশিদ শাহ ৬১, জিসান মালিক ৪৭ ও অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ৪৬ রান করলে দুইশ ছাড়ায় পাকিস্তানের ইনিংস। বল হাতে ২ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানিদের ২২৫ রানে অলআউট করতে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন ২২ বছর বয়সী ব্যাটিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। বাংলাদেশের পক্ষে সবোর্চ্চ তিন উইকেট নেন অফ স্পিনার নাঈম হাসান। এছাড়া শফিউল ২টি এবং শরীফুল ইসলাম, আফিফ হোসেন ধ্রæব ও তানভীর ইসলাম নেন ১টি করে উইকেট।