তর সইছে না সুনিল যোশির

আমার মনে হয় সামনের ম্যাচটি আমাদের জেতা দরকার। যদি আমরা জিতে যাই তাহলে সিরিজ নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। সেই ক্ষেত্রে আমাদের ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের ওপর ফোকাস রাখতে হবে।

প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
কোনোরকম প্রতিদ্ব›িদ্বতার সুযোগ না দিয়ে রোববার প্রথম ওয়ানডেতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তাতে সিরিজ জয়ের পথটাও সহজ করে নিয়েছে টাইগাররা। আজ মিরপুরে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় ম্যাচটি জিতলে এক ম্যাচ হাতে রেখে চলতি বছরে টানা তৃতীয় ওয়ানডে সিরিজ জয়ের গৌরবে ভাসবে মাশরাফি বিন মতুর্জার দল। সেই জয়ের আনন্দে ভেসে যেতে যেন তর সইছে না দলের স্পিন বোলিং কোচ সুনিল যোশির। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে এর আগে এক বছরে বাংলাদেশ সবোর্চ্চ সংখ্যক সিরিজ জিতেছে ২০১৫ সালে। ওই বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানকে প্রথমবারের মতো ৩-০তে ধবলধোলাই করার পর জুনে ভারত, জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ২-১ এ সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। বছরের শেষ সিরিজ জয়টি ধরা দিয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। নভেম্বর আসা অতিথিদের ৩-০তে ধবলধোলাই করে দাপুটে বছর শেষ করে টাইগার বাহিনী। এর আগে এক বছরে তিনটি সিরিজ জয় ধরা দিয়েছিল ২০০৬ সালে। যেখানে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ছিল কেনিয়া, জিম্বাবুয়ে আর স্কটল্যান্ড। চলতি বছর তৃতীয় সিরিজ জয়ের হাতছানি দেয়া ম্যাচের আগে সোমবার আনুষ্ঠানিক অনুশীলন রাখেনি টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে ঐচ্ছিক অনুশীলন করেছেন জুনিয়র ক্রিকেটাররা। তাদের সঙ্গে ছিলেন কোচিং স্টাফের সব সদস্যই। ছিলেন যোশিও। অনুশীলনের পর দলের প্রতিনিধি হয়ে তিনিই এসেছিলেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। সেখানেই সাবেক এই ভারতীয় স্পিনার জানান, সিরিজ জয়ের অভিযানে কালবিলম্ব করতে চায় না তার দল। ব্যাক-টু-ব্যাক ম্যাচ জিতে আজই সিরিজের নিষ্পত্তি করে ফেলুক শিষ্যরা, এমনটা মনেপ্রাণে চাইছেন যোশি। সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমকমীের্দর তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় সামনের ম্যাচটি আমাদের জেতা দরকার। যদি আমরা জিতে যাই তাহলে সিরিজ নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। সেই ক্ষেত্রে আমাদের ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের ওপর ফোকাস রাখতে হবে।’ ওয়ানডে সংস্করণে অলরাউন্ডার র‌্যাংকিংয়ে স্পিন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এক নম্বরে। সেটিকে ব্র্যাকেটবন্দী রেখেও এ টাইগার ক্রিকেটারকে সেরার তকমা দিচ্ছেন যোশি। তিনি মনে করেন, সাকিবই বিশ্বের সেরা ওয়ানডে খেলোয়াড়, ‘আমি মনে করি সাকিব শুধু নিজ দেশেরই নয়; সে বিশ্বের সেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার। আমি তার নাম্বার (র‌্যাংকিং) নিয়ে কথা বলছি না। যদি তার গুণাবলী দেখি, আমি তাকে মূল্যায়ন করছি বোলার, ব্যাটসম্যান ও ফিল্ডার হিসেবে। সব বিভাগেই সে প্রচÐ প্রতিভাবান ও দক্ষ।’ আঙুলের ব্যথা কমার পর মাত্র চার সেশন অনুশীলন করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামেন সাকিব। ফিরেই ব্যাটে-বলে দেখান নৈপুণ্য। রঙিন পোশাকেও শুরুটা খারাপ হয়নি। কিভাবে সম্ভব হলো চোট কাটিয়ে দ্রæত ফেরা ও সহজাত পারফমর্ করা? এ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বাংলাদেশের টেস্ট ও টি২০ অধিনায়ককে প্রশংসায় ভাসান যোশি, ‘যারা দক্ষতাসম্পন্ন খেলোয়াড় তারা নিজেদের প্রমাণে সময় নেন না। সঠিক সময়ে তারা জ্বলে ওঠেন। সাকিব অনেক অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটার। দক্ষতা ও কৌশলে ভীষণ আগানো। তাকে পেয়ে আসলে দল খুব উপকৃত হচ্ছে।’