সেমিফাইনালে শেখ রাসেল

গ্রæপ থেকেই আসরটি বিদায় করে দিয়েছে রেকডর্ তিনবারের চ্যাম্পিয়ন মোহামেডানকে। কোয়াটার্র ফাইনালের শুরুটাও হয়েছে বড় চমকে, ব্রাদাসর্ ইউনিয়নের সেই চমকের বলি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আরামবাগ। বুধবার বিদায় নিয়েছে আগের আসরের রানাসর্আপ চট্টগ্রাম আবাহনীও

প্রকাশ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
একের পর এক চমক দেখিয়েই চলেছে এবারের স্বাধীনতা কাপ। গ্রæপ থেকেই আসরটি বিদায় করে দিয়েছে রেকডর্ তিনবারের চ্যাম্পিয়ন মোহামেডানকে। কোয়াটার্র ফাইনালের শুরুটাও হয়েছে বড় চমকে, ব্রাদাসর্ ইউনিয়নের সেই চমকের বলি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আরামবাগ। বুধবার বিদায় নিয়েছে আগের আসরের রানাসর্আপ চট্টগ্রাম আবাহনীও। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে তাদের ২-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে সাইফুল বারী টিটুর দল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। শেখ রাসেলের ডাগ আউটে কোচ সাইফুল বারী টিটু, রক্ষণাত্মক ফুটবল কোচ হিসেবেই যিনি বেশি পরিচিত। প্রথমাধের্র শুরুর দিকে রাসেল বেশ রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলেছে। আর সেই সুযোগে বেশ কিছু আক্রমণ সানায় চট্টগ্রাম আবাহনী। কিন্তু গোল আদায় করে নিতে পারেনি তারা। ২৯ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে জোড়ালো শট নেন রাসেলের উজবেক ফরোয়াডর্ আজিজভ আলিসের। কিন্তু দক্ষতার সঙ্গেই বল আটকে দিয়েছেন আবাহনীর গোলরক্ষক। গ্রæপ পবের্র দুই ম্যাচে একটিও গোল করতে না পারা শেষ রাসেল ম্যাচের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎই বদলে যায়। গোল আদায়ের নেশায় রক্ষণাত্মক ফুটবল থেকে বের হয়ে এসে তারা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। আক্রমণের ধারটা এতোই বেশি ছিল যে, মাত্র ৪ মিনিটের ব্যবধানেই তারা দুটি গোল আদায় করে নেয়, ওই গোল দুটোই গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য। শুরুর দিকে চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক নেহালকে পরাস্ত করতে না পারার আক্ষেপটা ৩৪ মিনিটে ঘুচিয়েছেন আলিসের। ডানপ্রান্ত থেকে বিশ্বনাথ ঘোষের ক্রসে বল পেয়ে বা পায়ের দারুণ শটে চট্টগ্রাম আবাহনীর জাল কঁাপান এই ফরোয়াডর্ (১-০)। ৩৮ মিনিটে বিপলুর শট মুফতা লাওয়াল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ব্যথর্ হন, বল পেয়ে যান রাফায়েল। বা প্রান্ত থেকে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই নাইজেরিয়ান ফরোয়াডর্ (২-০)। এগিয়ে গিয়ে দ্বিতীয়াধের্র শুরু থেকেই বেশ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে চেষ্টা করে চট্টগ্রাম শেখ রাসেল। তবে এই অধের্ তারা কোনো গোল আদায় করে নিতে পারেনি। চট্টগ্রাম আবাহনীও পারেনি জোরালো কোনো সুযোগ তৈরি করতে। ম্যাচের অন্তিম মুহ‚তের্ একটা ফ্রি কিক পেয়েছিল তারা। বক্সের বেশ কাছে পাওয়া সেই ফ্রি কিকটিও কাজে লাগাতে পারেনি দলটি। মমদৌ বাহের ফ্রি কিক চলে গেছে ক্রসবারের উপর দিয়ে। শেষ পযর্ন্ত ২-০ গোলের জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে শেখ রাসেল। সেমিফাইনালে নাম লেখাতে পেরে দারুণ খুশি সাইফুল বারী টিটু। ম্যাচ শেষে রাসেলের এই কোচ বলেছেন, ‘গত দুই ম্যাচে আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারিনি। এই ম্যাচে জয়ের কৃতিত্বটা আমি ছেলেদেরকেই দেব। দ্বিতীয়াধের্ আমি তাদের বলেছিÑ তোমরা ২-০ তে এগিয়ে আছ, মানে ম্যাচ জিতে গেছ এমনটা ভেবো না। আবার শূন্য থেকে শুরু কর। দ্বিতীয়াধের্ লংপাসে খেলা হয়েছে। তাই তারাও গোলের সুযোগ পায়নি, আমরাও পাইনি।’ উল্লেখ্য এবার স্বাধীনতা কাপে গ্রæপ পবের্র দুই ম্যাচে একটিও গোল করতে পারেনি শেখ রাসেল। গোলশূন্য দুই ড্রতে কোয়াটার্র ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল তারা। তবে এবার ২-০ গোল করে সেমিতে পেঁৗছে আরও বেশি উজ্জীবিত দলটি এখন চোখ রাখছে ফাইনালে। ম্যাচ শেষে সেই লক্ষ্যের কথাই জানিয়েছেন সাইফুল বারী। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের শেষ ১৭ রাউন্ড পযর্ন্ত এই চট্টগ্রাম আবাহনীকে প্রথম স্থানে তুলে রাখার পরও শেষ মুহ‚তের্ এসে কোচ সাইফুল বারীকে বরখাস্ত করেছিল ক্লাব কতৃর্পক্ষ। সেই কষ্টটা বোধহয় ভুলেননি টিটু। এবার শেখ রাসেলের ডাগআউটে দঁাড়িয়ে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছেন সেই চট্টগ্রাম আবাহনীকেই। তাদের হারিয়ে দিয়ে নিজের শ্রেষ্ঠত্বটাই কি প্রমাণ করলেন এই অভিজ্ঞ কোচ? আজ স্বাধীনতা কাপের তৃতীয় কোয়াটার্র ফাইনালে বিকাল সাড়ে চারটায় ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে খেলবে সাইফ স্পোটির্ং ক্লাব।