টটেনহামের হাসি, ইন্টারের কান্না

প্রকাশ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ন্যু ক্যাম্পে মঙ্গলবার স্বাগতিক বাসেের্লানার বিপক্ষে গোলের পর সতীথের্দর সঙ্গে লুকাস মৌরা। তার ওই গোলটিই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় পৌছে দিয়েছে টটেনহামকে Ñওয়েবসাইট
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুটি দলই ১-১ গোলে ড্র করল। কিন্তু হেড টু হেড রেকডের্ একটি উতরে গেল, আরেকটি গেল ছিটকে। মঙ্গলবার ইউরোপিয়ান ফুটবলে নাটকীয় রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে উতরে যাওয়া দলটির নাম টটেনহাম হটস্পার, কপালপোড়া দলটি হচ্ছে ইন্টার মিলান। ‘বি’ গ্রæপ থেকে নকআউট পবর্ আগেই নিশ্চিত করে বাসেের্লানা, নিশ্চিত ছিল তাদের গ্রæপসেরা হওয়াও। তাই গ্রæপ পবের্র শেষ ম্যাচে কিছুই পাওয়ার ছিল না আনেের্স্তা ভালভাদের্র দলের। লা লিগায় মেসিময় এক রাতের পর আজের্ন্টাইন তারকাকে প্রথম একাদশে খেলাননি বাসার্ কোচ। যদিও দ্বিতীয়াধের্ মেসিকেই দরকার হয় দলের। প্রথম একাদশে নিয়মিত খেলোয়াড়দের বাইরে রেখে বাজিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন ভালভাদের্। তাতে মোটামুটি সফলও হয়েছেন বলা চলে। শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিতের জন্য গ্রæপের শেষ ম্যাচে বাসেের্লানার বিপক্ষে যেকোনো মূল্যে হার এড়াতে হতো টটেনহামের। সঙ্গে অন্য সমীকরণ তো ছিলই। কিন্তু বাসার্র ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে ম্যাচ শুরুর বঁাশি বাজার ৭ মিনিটের মাথায়ই গোল হজম করে বসে স্পারসরা। মাঝমাঠ থেকে ওয়ালকার পিটাসের্র কাছ থেকে বল নিয়ে ডি বক্সে উইনক্সকে ধেঁাকা দিয়ে টটেনহামের জালে বল পাঠান উসমান দেম্বেলে। ওই গোল রীতিমতো খাদের কিনারে ঠেলে দিয়েছিল ইংলিশ ক্লাবটিকে। গ্রæপের অপর ম্যাচে পিএসভি আইন্দোভেনের বিপক্ষে লড়ছিল ইন্টার। শেষ ষোলোর জন্য পরাজয় এড়ানো অপরিহাযর্ ছিল তাদেরও। কিন্তু ঘরের মাঠ সান সিরোতে ১৩ মিনিটে গোল হজম করে বসল তারাও। আর এভাবেই চলছিল দুই দলের ম্যাচ। ৭৫ মিনিটে মাউরি ইকাদির্র গোলে সমতা আনে ইন্টার (১-১)। টটেনহাম তখনো ১-০ গোলে পিছিয়ে। এই সমীকরণে দুই দল ম্যাচ শেষ করলে উতরে যেত ইন্টার। কিন্তু ৮৫ মিনিটে লুকাস মৌরার গোলে সমতায় ফেরে টটেনহাম। শেষ পযর্ন্ত ১-১ সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুদল। ইন্টার আর টটেনহাম দুই দলেরই সমান ৮ পয়েন্ট দঁাড়ায়। এমনকি মুখোমুখি লড়াইয়ে নিজেদের মাঠে জয় তুলে নিয়েছে দুই দলই। ব্যবধান গড়ে দিয়েছে অন্যের মাঠে গোল পাওয়া নিয়ে। তবে প্রতিপক্ষের মাঠে গোলে এগিয়ে থাকায় ভাগ্য খোলে টটেনহামের। অথচ প্রথম তিন ম্যাচ থেকে মাত্র একটি পয়েন্ট পেয়েছিল টটেনহাম। এরপর থেকেই গ্রæপ পবর্ পাড় হওয়া তাদের জন্য ছিল ‘মিশন ইম্পোসিবল’! সেই মিশনে সফল টটেনহাম, এতে ভীষণ খুশি দলটির আজের্ন্টাইন কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো, ‘ভক্তদের জন্য আমি খুব খুশিÑএটা অনেক বড়, ক্লাবের জন্য অনেক বড় অজর্ন।’ বাসার্-টটেনহাম ম্যাচ শেষ হওয়ার দুই মিনিট পর শেষ হয়েছে ইন্টার-পিএসভি ম্যাচ। ওই ম্যাচের ফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়েছে হয়েছে টটেনহামকে। দুটো মিনিট তাই তাদের কাছে ছিল অস্বস্তির। পচেত্তিনোও বললেন, ‘আমরা অস্বস্তিতে ছিলাম কারণ, যখন আমরা খেলা শেষ করি তখন আমরা ইন্টারের ফল জানতাম না। ওই দুটো মিনিট ছিল খুব কঠিন, তবে সেটা শেষ আমরা খুব খুশি ছিলাম।’ দিনের অপর ‘ডি’ গ্রæপের ম্যাচে পোতোর্র কাছে ৩-২ গোলে ঘরের মাঠে হেরেছে গ্যালাতাসারে। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রæপে সবার ওপরে পোতোর্। আর লোকোমোটিভ মস্কোর বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে শালকে। ১১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে জামাের্নর ক্লাবটি। গ্যালাতাসারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ইউরোপা লিগের টিকিট পেয়েছে।