মালদ্বীপের জালে ১০ গোল বাংলাদেশের

অনূধ্বর্-১৫ চার জাতি টুনাের্মন্ট

প্রকাশ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
গোলের বন্যায় ভেসে গেল দ্বীপ দেশ মালদ্বীপ। ওই বন্যায় তাদের ভাসিয়ে দিল বাংলাদেশ অনূধ্বর্-১৫ দল। উয়েফার মিনি টুনাের্মন্ট প্রজেক্টের অধীনে থাইল্যান্ডে চলমান চার জাতির টুনাের্মন্টে মালদ্বীপের জালে গুনে গুনে ১০ বার বল পাঠিয়েছে বাংলাদেশের কিশোর ফুটবলাররা। গোল উৎসবের সূচনা ১২ মিনিটে। ডি-বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক হেলাল আহমেদের বঁা পায়ের বঁাকানো শট মালদ্বীপের গোলরক্ষক ইউসুফ মিসাম আবদুল্লাহকে ফঁাকি দিয়ে চলে যায় জালে। এগিয়ে যায় বাংলাদেশ (১-০)। তিন মিনিট পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। সতীথের্র বাড়ানো বলে হেলাল আহমেদের ডান পায়ের বুলেট গতির শট জড়ায় জালে (২-০)। খানিক পর (৩৩ মিনিট) হ্যাটট্রিক পূণর্ করে ফেলেন হেলাল। ডি-বক্সের ভেতরে জটলার মধ্যে বল পেয়ে ডান পায়ের জোরালো গড়ানো শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ৩৯ মিনিটে পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। ফরোয়াডর্ আশিকুর রহমান ডান পায়ের যে গড়ানো শটটি নেয় ডান পোস্ট লক্ষ্য করে, সেটা ফেরানোর কোনো সুযোগই পায়নি প্রতিপক্ষ দলের গোলরক্ষক (৪-০)। দুই মিনিট পরেই আবারও গোল-তাÐব। একই ভূমিকায় আবারও বাংলাদেশ। বঁা প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়ে ফরোয়াডর্ নিহাত জামান উচ্ছ¡াস। প্রতিপক্ষ দলের গোলরক্ষককে দারুণভাবে ডজ দিয়ে ডান পায়ের গড়ানো কৌণিক শটে বল জালে পাঠান তিনি (৫-০)। বিরতির পরও গোলের খিদে একরত্তি কমেনি জুনিয়র টাইগারদের। ৪৮ মিনিটে আবারও তারা শুরু করে গোলবন্যা। ডি-বক্সের ডান প্রান্ত থেকে এক সতীথর্ উঁচু ক্রস করলে দৌড়ে গিয়ে লাফিয়ে উঠে হেড করে চমৎকারভাবে গোল করে রাসেল আহমেদ (৬-০)। এরপর কিছুক্ষণ গোলবন্যা বন্ধ থাকে। ৫৯ মিনিটে সেটা আবারও শুরু হয়। নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে নিহাত জামান উচ্ছ¡াস। ডি-বক্সের ডান প্রান্ত থেকে এক সতীথের্র গড়ানো ক্রস থেকে ডান পায়ে নিখঁুতভাবে ফিনিশ করে উচ্ছ¡্সা (৭-০)। ৬৫ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে রাসেল আহমেদ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে সতীথের্র থ্রু পাস পেয়ে বল নিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়ে উচ্ছ¡াস। বিপদ বুঝে ততক্ষণে এগিয়ে এসেছে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। ইতোমধ্যেই ডান পায়ের জোরালো গড়ানো শট নেয় উচ্ছ¡াস। বল গোলরক্ষকের হাতে লেগে গতি বেশ কমে যায়। কিন্তু তারপরও ঠিকই ধীরে ধীরে বলটি চলে যায় জালের ভেতরে। মালদ্বীপ ডিফেন্ডাররা দৌড়ে এসেও বলটি বিপদমুক্ত করতে পারেনি (৮-০)। ৭৫ মিনিটে বক্সের ডান প্রান্ত থেকে বাংলাদেশের এক খেলোয়াড় বল নিয়ে ঢুকে গড়ানো ক্রস করে। সেই বলটি চলে যায় আশিকুরের কাছে। বলটি সে থামাতে চেষ্টা করে। তার পরিকল্পনা ছিল, বলটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তারপর গোলমুখে শট নেবে। কিন্তু বলটি থামাতে গিয়ে সেটা তার পায়ে লেগে জালে ঢুকে যায়! যেভাবে চেয়েছিল, সেভাবে গোলটি না হওয়াতে আশিকুরের হয়তো আফসোস হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশ দলের তা হয়নি (৯-০)। ম্যাচে এটা ছিল আশিকুরের দ্বিতীয় গোল। খেলা শেষ হবার চার মিনিট আগে (৯১ মিনিটে, সংযুক্তি সময়ে) শেষ গোলটি করে মালদ্বীপের হারের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেয় বাংলাদেশ। একটি সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকে গোল করে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে জটলার মধ্যে ডান পায়ের উঁচু শটে গোল করে আশিকুর রহমান (১০-০)। এর ফলে হেলালের মতো তারও পূরণ হয় হ্যাটট্রিক। এর চার মিনিট বাদে রেফারি খেলা শেষের বঁাশি বাজালে পূণর্ তিন পয়েন্ট এবং টুনাের্মন্টে নিজেদের প্রথম ও বড় জয়ের আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোস্তফা আনোয়ার পারভেজের শিষ্যরা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৪-০ গোলে সাইপ্রাসের কাছে হারে। দ্বিতীয় ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করে স্বাগতিক-শক্তিশালী থাইল্যান্ডের সঙ্গে।