টাইব্রেকারে জিতে সেমিতে বসুন্ধরা

জয়ের পর বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়রা Ñবাফুফে

প্রকাশ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
জয়ের পর বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়রা Ñবাফুফে
শ্বাসরুদ্ধকর এক কোয়াটার্র ফাইনালই হলো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। শুক্রবার টাইব্রেকারে গড়ানো ওই কোয়াটার্র ফাইনালে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে বসুন্ধরা কিংস। নিধাির্রত সময়ে ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র ছিল। রহমতগঞ্জকে হয়তো সহজ প্রতিপক্ষই ধরে নিয়েছিল বসুন্ধরা। সে কারণেই দলটির কোচ অঙ্কার ব্রোজেন শুরুর একাদশে রেখেছিল একজন বিদেশি। প্লে-মেকার কলিন্ড্রেসেরও ঠঁাই হয়েছিল সাইড বেঞ্চে। ব্রোজেনের সেই অতি আত্মবিশ্বাসেই প্রথমাধের্ এক গোল হজম করে বসে ঘরোয়া ফুটবলে কাগজে-কলমে সব থেকে শক্তিধর দলটি। খেলা শেষে ম্যাচ সেরার পুরস্কারটা হাতে উঠেছে বসুন্ধরার গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর হাতে, তার দারুণ পারফরম্যান্সেই টাইব্রেকারে গড়িয়েছে ম্যাচ। টাইব্রেকারেও তিনি নায়ক। ম্যাচের শুরুর দিকে বেশ কয়েকটি আক্রমণ শানায় বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু সাফল্যের মুখ দেখেনি তারা। উল্টো ২৬ মিনিটে গোল হজম করে তারা। গোল করেন জামাল হোসেন (১-০)। ৩৭ মিনিটে বঁা প্রান্ত থেকে সতীথর্র পাস পেয়ে চেষ্টা করেছিলেন বসুন্ধরার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ইমন মাহমুদ। কিন্তু তার শট গ্রিপে নিতে তেমন একটা বেগ পেতে হয়নি তিতুমীর চৌধুরীর। অনেক চেষ্টা করেও প্রথমাধের্ ম্যাচে ফিরতে পারেনি বসুন্ধরা। ফলে পিছিয়ে থেকেই বিশ্রামে গেছে ঘরোয়া ফুটবলের নবাগত শক্তিরা। ৫৭ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামানো হয় নিয়মিত অধিনায়ক কলিন্ড্রেসকে। ১০ মিনিট পর ত্রাণকতার্র ভ‚মিকায় আবতির্ত হন তিনি। ডান প্রান্ত থেকে মিডফিল্ডার নাঈমউদ্দিনের ছোট পাসে বল বুঝে নিয়ে ডান পায়ের বঁাক খাওয়ানো শটে ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠিয়ে বসুন্ধরাকে সমতায় ফেরান তিনি। এর মাত্র তিন মিনিট পরই আবার চমক দেখায় গোলাম জিলানীর শিষ্যরা। প্রায় ফঁাকা পোস্টে কোনাকুনি শটে গোল করে রহমতগঞ্জকে আনন্দে ভাসান ফয়সাল (২-১)। ওই গোলে জয়ই দেখছিল রহমতগঞ্জ। কিন্তু ইনজুরি সময়ে গোল করে সেই স্বপ্ন ভেঙে দেন বসুন্ধরার কিরগিজ মিডফিল্ডার বখতিয়ার (২-২)। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। কিন্তু এই সময়েও ম্যাচের ফলাফল একই থাকায় ভাগ্য নিধাির্রত হয় টাইব্রেকারে। সেখানে বসুন্ধরার পক্ষে গোল করেন বখতিয়ার, নাসির উদ্দিন, কলিন্ড্রেস। মিস করেন ইমন মাহমুদ, মাসুক মিয়া জনি। রহমতগঞ্জের গোল করেন ফয়সাল, দিদারুল। গোল করতে ব্যথর্ হন সিও জুনাপিও, চিগুজি, মানডে।