শেখ রাসেল নাকি ব্রাদাসর্?

প্রকাশ | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুনাের্মন্টের সেমিফাইনাল পবর্ শুরু হচ্ছে আজ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকাল সাড়ে চারটায় প্রথম সেমিতে মুখোমুখি হচ্ছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র আর ব্রাদাসর্ ইউনিয়ন। দুই দলই চোখ রাখছে ফাইনালে। ২০১২-১৩ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল এবার নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। ২০০৫ সালের রানাসর্আপ ব্রাদাসর্ দেখাতে চায় চমক। স্বাধীনতা কাপের দশম আসরটি জমে উঠেছে বেশ। একাধিক ম্যাচে বেশকিছু উঁচুমানের এবং দৃষ্টিনন্দন গোল হয়েছে। খেলার মানও বেশ আক্রমণাত্মক এবং সন্তোষজনক। বিদেশি ফুটবলারদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশি ফুটবলাররা গোল করছেন, গোল করাচ্ছেন। ব্রাদার্স-শেখ রাসেলের মধ্যকার আজকের সেমিফাইনালও বেশ জমজমাট হবে, এমনই প্রত্যাশা ফুটবলপ্রেমীরা। যদিও শক্তির বিচারে এগিয়ে শেখ রাসেল। তবে ব্রাদাসের্কও একেবারে অগ্রাহ্য করা যাচ্ছে না। এবারের আসরের বড় চমক তারাই। ব্রাদাসের্র মূলশক্তি তাদের অভিজ্ঞ কোচ সৈয়দ নইমুদ্দিন। মাঝে মোহামেডান ঘুরে এলেও বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি ব্রাদাসের্র হাল ধরে আছেন। তার হাত ধরেই ব্রাদাসর্ ২০০৫ সালে লিগ ও ফেডারেশন কাপ জেতার কৃতিত্ব দেখিয়েছিল। সাদামাটা দল গড়ে এবারও ভালো করছে তারা। ক্লাবটির ম্যানেজার আমের খান জানালেন, ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে এখন উজ্জীবিত তারুণ্যনিভর্র ব্রাদাসর্। শেখ রাসেলের বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচ নিয়ে আমের খান বললেন, ‘গ্রæপ পবের্ আমরা ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছি। কোয়াটার্র ফাইনালে স্বাধীনতা কাপের চ্যাম্পিয়ন দল আরামবাগকে হারিয়ে দিয়েছি। ছেলেরা উজ্জীবিত আছে। তবে যেহেতু সেমিফাইনাল ম্যাচÑ যে দল আগে লিড নিতে পারবে তাদের জিতে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। শেখ রাসেল ভালো দল। তাদের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে ফাইনালে যাওয়ার লক্ষ্য আমাদের।’ দীঘর্ দিনের শিরোপাখরা ঘোচানোর মিশনে নামা শেখ রাসেলও ছাড় দিতে নারাজ। দলীয় অধিনায়ক আশরাফুল ইসলাম রানা বলেছেন, ‘এখন আমাদের লক্ষ্য একটাইÑ সেমিফাইনালে এসেছি, এখন ফাইনাল খেলা। যেহেতু আমরা ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে গিয়ে ১১৮ মিনিট পযর্ন্ত খেলার পর এক গোলে হেরে গেছিলাম, এবার এমন কিছু হোক আমরা চাই না। ব্রাদাসর্ ভালো দল। তারা ভালো খেলে এসেছে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে নিজেদের সেরাটা খেলেই ফাইনালে উঠা। অনেকদিন ধরে আমরা শিরোপাশ্যূন সেই অভাবটা পূরণ করতে চাই।’