ঘরোয়া ফুটবল

প্রচারের অভাবেই মাঠে দশর্ক খরা!

প্রকাশ | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

মাহবুবুর রহমান
স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুনাের্মন্টের কোয়াটার্র পবর্ শেষে চলছে বিরতি। ফেডারেশন কাপের মতো এই টুনাের্মন্টও হচ্ছে বেশ আকষর্ণীয়। ছোট ক্লাবগুলো বড় ক্লাবকে নাকানি চুবানি খাওয়াচ্ছে। সব মিলে জমজমাট হচ্ছে প্রায় প্রতিটি ম্যাচ। কিন্তু এমন ম্যাচও খুব একটা দশর্ক টানতে পারছে না গ্যালারিতে। মূলত প্রচার-প্রচারণা কম থাকায় এমনটা হচ্ছে। ফুটবলপ্রেমীদের অভিমত, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) উদাসীনতাই এর জন্য দায়ী। ‘হোয়াট এ ম্যাচ’Ñ স্বাধীনতা কাপে এই শব্দটা গ্যালারিতে শোনা যাচ্ছে প্রায়শই। আসবেই বা না কেন, এমন আকষর্ণীয় ফুটবল গত কয়েক মৌসুমে যে একেবারেই দেখা যায়নি। নবাগত নোফেল স্পোটির্ং হারিয়ে দিয়েছে মোহামেডানের মতো ঐতিহ্যবাহী দলকে। গ্রæপ থেকেই বিদায় নিয়েছে তারা। শুধু তাই নয়, শেষ আটেই দৌড় শেষ টুনাের্মন্টের বতর্মান চ্যাম্পিয়ন আর রানাসর্আপ দলের। বেশ কয়েকটি রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে সবথেকে আকষর্ণীয় হয়েছে টুনাের্মন্টের কোয়াটার্র ফাইনাল। ব্রাদাসর্ আর আরামবাগ ম্যাচের কথাই ধরা যাক। কখনো ম্যাচে এগিয়ে যাচ্ছে আরামবাগ, কখনো ব্রাদাসর্। জায়ান্ট কিলারখ্যাত দল রহমতগঞ্জ কোয়াটার্র ফাইনালে ঘোল খাইয়ে ছেড়েছে কাগজে কলমে মৌসুমের সবথেকে শক্তিধর দল বসুন্ধরা কিংসকে। যদিও ওই ম্যাচে টাইব্রেকারে বসুন্ধরাই জয় পেয়েছে। তবে ম্যাচ দেখতে আসা গুটিকয়েক দশর্ক বলতে বাধ্য হয়েছেনÑ ‘হোয়াট এ ম্যাচ’। এমন উত্তেজনাপূণর্ এবং আকষর্ণীয় ম্যাচগুলো কেন মিস করছেন দশর্করা, কেন দশর্ক খরা বঙ্গবন্ধুর গ্যালারিতে? প্রথমত, কথা দিয়েও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ম্যাচগুলোর একটিও এখন পযর্ন্ত টিভিতে সরাসরি দেখাতে পারেনি। অনলাইনে একটি সাইটে ম্যাচ দেখানোর ব্যবস্থা করেছে বাফুফে। তবে তাতে কখনো ধারাভাষ্য দেয়া হচ্ছে। কোনো কোনো ম্যাচে দেয়াই হচ্ছে না। নিবার্ক ম্যাচ দেখে বুঝার উপায়ও নেই কোন দল গোল করছে। কে গোল করছে। বাফুফের এমন উদাসীনতায় রীতিমতো হতাশ দেশের ফুটবল দশর্করা। আক্ষেপ করে গ্যালারির বেশ কয়েকজন দশর্ক বলেছেন, শুধু মাঠে খেলা চালিয়ে দায় এড়াতে চায় বাফুফে। সত্যি বলতে টুনাের্মন্টের তেমন কোনো প্রচার-প্রচারণাও চালায়নি বাফুফে। দশের্কর আর কী দোষ। একটা টুনাের্মন্ট যে চলছে সেটা জানতে পারলে তবেই না তারা মাঠে আসবেন। পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুশের্দী নিজেদের দায় স্বীকার করে নিয়ে বললেন, ‘আমরা মনে করেছি, সামনে নিবার্চন থাকায় হয়তো আমরা সেভাবে তাদের সাপোটর্টা পাব না। তাই স্বাধীনতা কাপ শুরু করেছি টিমগুলো যাতে বসে না থাকে। প্রচার প্রচারণা হয়নি সেই দায়ভার আমাকেই নিতে হবে। আমার প্রত্যাশা কমিটিতে যারা আছেন তারা বিষয়টি দেখবেন। তারপরও একটা টুনাের্মন্ট শেষ হচ্ছে টিমগুলো বসে নেই সেটাই ব্যাপার।’ মূলত জাতীয় নিবার্চনের ডামাডোলেই স্বাধীনতা কাপের তেমন একটা প্রচার প্রচারণা হয়নি। তবে নিবার্চনের পর পেশাদার লিগে জোর প্রচার প্রচারণা চালানো হবে বলে আশ্বস্ত করলেন সালাম মুশের্দী।