দুভের্দ্য লরিস

ফ্রান্স ফুটবলবিরোধী দল!

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
হুগো লরিসের অসাধারণ সেভ! মঙ্গলবার বেলজিয়ামের বিপক্ষে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফ্রান্সের গোলপোস্টে বল ঢুকতে দেননি তিনি Ñওয়েবসাইট
বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে না পারার ব্যথর্তা বড্ড পোড়াচ্ছে বেলজিয়াম দলের ফুটবলারদের। সঙ্গে কিছুটা ক্ষোভও রয়েছে প্রতিপক্ষ ফ্রান্সের ওপর। ফরাসিদের রক্ষণাত্মক কৌশলের কাছেই কিনা মার খেয়ে গেল দলটি! মঙ্গলবার লে বøুজদের কাছে সেমিফাইনালে পরাজিত হওয়ার পর তাই দলটির রক্ষণাত্মক ফুটবল-কৌশলের সমালোচনা করেছেন দুই বেলজিক তারকা ইডেন হ্যাজাডর্ আর থিবু কোতোর্য়া। ম্যাচের আগে বলা হচ্ছিল ফ্রান্স-বেলজিয়ামের ম্যাচে একটা ‘ক্ল্যাসিক লড়াই’ দেখা যাবে। কোথায় ক্ল্যাসিক লড়াই? পুরো ম্যাচে কেবল বেলজিয়ামকে দেখা গেল আক্রমণাত্মক মেজাজে। রক্ষণ সুদৃঢ় রেখে ফ্রান্স খেলেছে কাউন্টার অ্যাটাক নিভর্র ফুটবল। অথচ তাদের দলের আক্রমণভাগে আতোয়ান গ্রিজম্যান, কিলিয়ান এমবাপে, অলিভার জিরুর মতো তারকা ছিলেন। সমৃদ্ধ আক্রমণভাগ থাকা সত্তে¡ও লে বøুজরা কেন কাউন্টার অ্যাটাক নিভর্র ফুটল খেলল? একটাই কারণ, কোচ দেশম চেয়েছিলেন কেবল একটা জয়। সৌন্দযর্ময় ফুটবল উপহার দিতে গেলে ম্যাচের ফল হতে পারত অন্যরকম। হয়তো হেরেও যেতে পারত ফ্রান্স। আক্রমণাত্মক খেলে পরাজিত হওয়ার চেয়ে রক্ষণাত্মক খেলে জয় পাওয়া, তাই ভালো নয় কি? নিজেদের স্বাথের্ হয়তো ঠিক কাজটাই করেছে ফ্রান্স; কিন্তু তাদের প্রতিপক্ষের চোখে সেটা ফুটবলবিরোধী। বেলজিক গোলরক্ষক কোতোর্য়া যেমন ফ্রান্সের কৌশলের কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, ‘এটা (ফ্রান্স) পুরোপুরি একটি ফুটবলবিরোধী দল। তাদের স্ট্রাইকাররাও নিজেদের ৩০ গজের বাইরে খেলেননি।’ ব্রাজিলের মতো হট ফেভারিট দলকে হারিয়ে সেমিতে উঠেছিল বেলজিয়াম। নেইমার-কুতিনহোরা ওই ম্যাচে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েও আক্রমণাত্মক খেলেছে। বেলজিয়ামও কম যায়নি। সেমিফাইনালেও ফ্রান্স আক্রমণাত্মক খেলবে বলেই ধরে নিয়েছিলেন হ্যাজাডর্-লুকাকুরা। কিন্তু দেশম ব্রিগেডকে দেখা গেল অন্য চেহারায়। দ্বিতীয়াধের্ কোনোমতে একটা গোল আদায় করার পর বাকি সময়ে নিজ থেকে আক্রমণ করার খুব বেশি প্রবণতাই দেখায়নি ফ্রান্স! ম্যাচের পর কোতোর্য়া তাই আক্ষেপ নিয়ে বলেছেন, ‘কনার্র থেকে একটা হেড ছাড়া ফ্রান্স আর কিছুই করেনি। আমি কোয়াটার্র ফাইনালে ব্রাজিলের হারকেই বেশি পছন্দ করতাম। কারণ তারা এমন একটি দল ছিল, যারা অন্তত ফুটবলটা খেলতে চেয়েছিল।’ হ্যাজাডের্র কথাটা আরও বেশি লাগবে ফরাসি ফুটবল ভক্তদের। বেলজিক অধিনায়ক পুরো ম্যাচেই অসাধারণ খেলেছেন। কিন্তু গোলমুখে যাওয়ার পর যে একটা শট নেবেন, সে জায়গাটুকু পেলেন না। রাগে-ক্ষোভে তাই বলেছেন, ‘ফ্রান্সের হয়ে জেতার চেয়ে বরং বেলজিয়ামের হয়ে হারটাকেই আমি পছন্দ করতাম। তবে তারা আমাদের শক্তভাবে প্রতিহত করেছে। তাদের রক্ষণভাগ খুব কাযর্করী ছিল। আমরা তাদের কোনো দুবর্লতা খুঁজে পাইনি। গোল করার জন্য জাদুকরী কোনো মুহূতর্ সেখানে ছিল।’ হ্যাজাডর্ স্বীকার করেছেন যে, ফ্রান্সের রক্ষণভাগের কাছেই হেরে গেছেন তারা। তবে দলের অজের্ন মাথা উঁচু করেই বাড়ি ফিরছেন তিনি, ‘আমরা চমৎকার একটা বেলজিক দল দেখেছিলাম, যারা নিজেদের চেয়ে শক্তিশালী রক্ষণভাগ সমৃদ্ধ একটি দলের কাছে হেরে ছিটকে গেছে। আমরা যা অজর্ন করেছি, তাতে আমি গবর্ করতেই পারি। অধিনায়ক হিসেবে এই দলের অংশ হতে পেরে আমি ধন্য।’