স্বপ্ন ছাড়িয়ে যাওয়ার আনন্দ এমবাপের

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
কিলিয়ান এমবাপে
ক্রীড়া ডেস্ক আতোয়ান গ্রিজম্যান ফ্রান্স দলের বড় তারকা। আছেন পল পগবা, অলিভিয়ের জিরুরাও। ১৯ বছরের কিলিয়ান এমবাপে তাই নিজেকে নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী ছিলেন না। সেই এমবাপেই এখন রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সের প্রত্যাশার প্রতীক। দুদার্ন্ত পারফরম্যান্স করে চলেছেন এই তরুণ ফরোয়াডর্। মূলত তার কঁাধে চেপেই শেষ ষোলোয় আজেির্ন্টনা বাধা টপকেছে ফ্রান্স। এরপর কোয়াটার্র ফাইনাল, আর সেমিফাইনালের বাধা টপকে ফরাসিরা এখন ফাইনালে। এখানেও বড় অবদান রেখেছেন এমবাপে। ফ্রান্সকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলতে এভাবে অবদান রাখতে পারবেন, এমনটা নাকি স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি। তাই তার আনন্দটা এখন স্বপ্ন ছাড়িয়ে যাওয়ার। সেন্ট পিটাসর্বাগের্ মঙ্গলবার সামুয়েল উমতিতির একমাত্র গোলে বেলজিয়ামকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ফ্রান্স। ওই ম্যাচে নিজে গোল করতে না পারলেও ঠিকই নিজের গতির ঝলক দেখিয়েছেন এমবাপে। দলের জন্য ছয়টি গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন পিএসজির এই ফরোয়াডর্। জিরু-গ্রিজম্যানরা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে নিশ্চিত করেই ফ্রান্সর জয়ের ব্যবধান বেশ বড় হতো। এখন অবশ্য এসব নিয়ে ভাবনা নেই ফরাসি শিবিরে। তারা এখন ফাইনালে নাম লেখানোর আনন্দে মশগুল। নিজের প্রথম বিশ্বকাপেই দল ফাইনালে খেলছে, এমবাপের কাছে সবই অবিশ্বাস্য ঠেকছে। কিছুতেই ঘোর কাটাতে পারছেন না তিনি। ম্যাচ শেষে এই তরুণ বলেছেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য। এটা স্বপ্নেরও স্বপ্ন, ভবিষ্যতের স্বপ্ন, সবকিছুই। আমার বলার ভাষা নেই। এমনকি আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। আমি খুব বড় স্বপ্নবাজ, আমিও কি এমনটা কল্পনা করতে পেরেছিলাম? এখনো আর একটি ম্যাচ বাকি আছে। কিন্তু আমরা যা কিছু করেছি তার জন্য আমরা গবির্ত।’ পিএসজির হয়ে দারুণ একটা মৌসুম কাটিয়েই বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিলেন এমবাপে। ক্লাবের পর জাতীয় দলের জাসিের্তও আলো ছড়িয়ে চলেছেন তিনি। সেটাও আবার বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে। ফুটবলবোদ্ধাদের অনেকেই তাই এমবাপের হাতে এবারের ব্যালন ডি’অর খেতাবটা দেখতে পাচ্ছেন। ফরাসি তারকা অবশ্য এখনই এসব নিয়ে ভাবতে নারাজ। তিনি পরিষ্কার করেই বলে দিলেন, ‘আমি বিশ্বকাপটা জিততে চাই- ব্যালন ডি’অর আমার মাথাব্যথা নয়।’ সেন্ট পিটাসর্বাগের্ দলকে প্রেরণা জোগাতে হাজির ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখো। ম্যাচের পর খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানাতে তিনি হাজির হন ড্রেসিংরুমে। বিষয়টা আরও বেশি অনুপ্রাণিত করেছে এমবাপেকে, ‘চেঞ্জিং রুমে কোচ এবং আমরা সবাই খুব খুশি ছিলাম। সবাই একে অপরকে আলিঙ্গন করছিলাম। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখো আমাদের দেখতে এসেছিলেন। সবাই আমাদের সঙ্গে আছে।’ ফাইনালে ওঠার আনন্দ ছুঁয়ে যাচ্ছে এমবাপের সতীথর্ গ্রিজম্যানকেও। তার কাছে এই ফ্রান্স দলটাকে প্রিয় ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মতো লাগছে, ‘আমি আমার সতীথের্দর পারফরম্যান্সে খুশি। আমরা তাদের (বেলজিয়াম) প্রতিহত করেছি এবং সেট পিস থেকে একটা গোল করেছি। এটা ছিল অনেকটা আটলেটিকো মাদ্রিদের মতো।’