প্যারিস মেতেছে ফুটবলে

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ফ্রান্সের জয়ের পর রাজধানী শহর প্যারিসের রাস্তায় ঢল নামে মানুষের Ñওয়েবসাইট
ক্রীড়া ডেস্ক ভালোবাসার শহর প্যারিস। মঙ্গলবার রাতে পরিণত হলো উৎসবের নগরীতে। ফ্রান্সের রাজধানী শহরে রাতভর শোনা গেল হৈহুল্লোড় আর গান-বাজনার আওয়াজ। হবেই তো বেলজিয়ামকে হারিয়ে যে ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে গ্রিজম্যান-পগবাদের দল। সবের্শষ এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছিল ২০০৬ সালে। জিদান-অরিদের কল্যাণে জামাির্নতে অনুষ্ঠিত আসরে ফাইনাল খেলেছিল লে বøুজরা। দীঘর্ এক যুগ অপেক্ষার পর সংস্কৃতিমনা প্যারিসবাসী পেল আরেকটি উৎসবের উপলক্ষ। শহরের টাউন হলে হোটেল দি ভিলায় জায়ান্ট স্ক্রিনে বিশ্বকাপ দেখতে হাজির ছিলেন প্রায় ২০ হাজার সমথর্ক। স্কুলগামী কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সের মানুষও ছিলেন তাদের মধ্যে। বেলজিয়ামকে ১-০ ব্যবধানে হারানোর পর তাদের আনন্দ যেন আইফেল টাওয়ারের উচ্চতাকেও ছাড়িয়ে গেল। গভীর রাত পযর্ন্ত নীল পতাকা, রংমশাল ও আতসবাজিতে চলে প্যারিসবাসীর উদযাপন। সঙ্গে সমবেত সুরে জাতীয় সংগীত। বাসের ছাদে, গাড়ির মাথায় যে যেভাবে পারেন নেচে-গেয়ে উচ্ছ¡াস প্রকাশ করেছেন। আবেগে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেছেন অনুরাগীরা। এ যেন বিশ্বজয়ের স্বাদ। কারো কারো কাছে রাতটি ছিল তার জীবনের অন্যতম সেরা রাত। কারো কারো কাছে রাতটি ফিরিয়ে এনেছিল ১৯৯৮ সালের স্মৃতি। সেবাস্তিয়ান তাদের একজন। কুড়ি বছর আগে ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জিততে দেখেছিলেন তিনি। তখন তার বয়স ছিল ১৮ বছর। কৈশোরের ওই স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেছেন, ‘১৯৯৮ সালে আমার বয়স ছিল ১৮ বছর। ওটা ছিল আমার জীবনের অন্যতম সুন্দর একটি রাত। আসছে রোববার আমরা ওটা পুনরাবৃত্তি করব। এই দলটা অসাধারণ।’ ত্রিশোধ্বর্ এক ভদ্রলোক তো ফ্রান্সকে ‘চ্যাম্পিয়ন’ ঘোষণা দিয়ে দিলেন! ৪৫ বছর বয়সী থিয়েরি পেরিয়ার তার আট বছর বয়সী কন্যা নিয়ে এসেছিলেন। বাপ-বেটি মিলে ফ্রান্সের জয়টা দারুণ উপভোগ করেছেন তারা। তার মতে, দিদিয়ের দেশমের এই দলটা ফাইনালে যাওয়ার যোগ্যই ছিল, ‘আমরা এমন ফ্রান্সকেই দেখতে চেয়েছিলাম। আমরা জয়ের দাবিদার ছিলাম। আমাদের আছে বিশ্বসেরা সব ফুটবলার। তাদের বিশ্বকাপ জেতাটা হবে আমাদের জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার।’ যারা জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখার সুযোগ পাননি কিংবা বাইরে যাননি, তারাও থেমে থাকেননি। ব্যালকনি থেকে ফ্রান্সের পাতাকা নাড়িয়ে উৎসবের সঙ্গী হয়েছেন। দৃশ্যটা শুধু রাজধানী শহরেই নয়, দেখা গেছে পুরো ফ্রান্সেই। তাদের এই উৎসব পূণর্তা পাবে, যদি রোববার ফাইনালে শিরোপা জিততে পারেন এমবাপে-গ্রিজম্যানরা।