বিদেশিরাই ভরসা রহমতগঞ্জের

ক’দিন পরই মাঠে গড়াবে দেশের ফুটবলের সবচেয়ে জমজমাট আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। এই লিগে অংশ নিতে যাওয়া ১৩টি দল এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। খেলোয়াড়রা ঘাম ঝরাচ্ছেন অনুশীলনে, কোচরা ব্যস্ত রণ-কৌশল সাজাতে। লিগকে ঘিরে কোচদের কৌশল, খেলোয়াড় আর ক্লাবের লক্ষ্য সম্পকের্ পাঠকদের আগাম ধারণা দিতেই যায়যায়দিনের এই ধারাবাহিক আয়োজন

প্রকাশ | ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
‘জায়ান্ট কিলার’ হিসেবে তাদের সুখ্যাতি অনেক দিনের। প্রতি মৌসুমেই চমক নিয়ে হাজির হয় দলটি, নিজেদের দিনে ঘোল খাইয়ে ছাড়ে বাঘা বাঘা প্রতিপক্ষকে। ঢাকার ক্লাব ফুটবল সম্পকের্ যারা টুকটাক খোজখবর রাখেন, তাদের এতোক্ষণে বুঝতে বাকি নেই দলটির নাম রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। দারুণ শুরুর পর গত লিগে পুরান ঢাকার দলটি কোনোমতে রেলিগেশন এড়িয়েছিল। গতবারের মতো এবারও ভালো শুরু চায় তারা, শেষটাও করতে চায় ভালোভাবে। ১৩ দলের লিগে শিরোপা জয়ের অলীক স্বপ্ন না দেখলেও টেবিলের মাঝামাঝি থাকার লক্ষ্য তাদের। সেই লক্ষ্য পুরণে ক্লাবটির ভরসা বিদেশি ফুটবলাররা। প্রতিবারের মতো এবারও দলবদলে নিজেদের শিবিরে বড় কোনো নাম যোগ করতে পারেনি দেশের অন্যতম প্রাচীন ক্লাব রহমতগঞ্জ। ক্লাবটির নেতৃত্বে থাকা ফয়সাল ঢাকার ফুটবলে পরিচিত মুখ। রক্ষণে শাকিল, মাঝমাঠে জামাল আহমেদÑ যাদের জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। মাসুদ রানা, চৌমরিন রাখাইনদের কাধে আক্রমনভাগের দায়িত্ব। তবে মুল দায়িত্বটা আসলে বিদেশি ফুটবলারদের কাধে। কঙ্গো থেকে আসা সিও জুনাপিও, দুই নাইজেরিয়ান মানডে আর দামিয়ানের সঙ্গে জাপানিজ আতসুসিই রহমতগঞ্জের কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানীর ভরসা। মৌসুমের প্রথম দুটো টুনাের্মন্ট অবশ্য ভালো কাটেনি রহমতগঞ্জের। টানা দুই হারে ফেডারেশন কাপের গ্রæপ পবর্ থেকেই বিদায় নেয় তারা। তবে স্বাধীনতা কাপে কিছুটা উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। চার দলের গ্রæপ টপকে ‘জায়ান্ট কিলার’খ্যাত দলটি খেলেছে কোয়াটার্র ফাইনাল। সেই কোয়াটাের্র শক্তিধর বসুন্ধরা কিংসকে রীতিমতো নাস্তানাবুদ করে ছাড়ে তারা। নিধাির্রত আর অতিরিক্ত সময়ে সমানতালে লড়ে ম্যাচটি ২-২ গোলে সমতায় শেষ করে পুরান ঢাকার ক্লাবটি। তবে ভাগ্যনিধার্রণী টাইব্রেকারে ভাগ্যকে পাশে পায়নি তারা, হেরে বিদায় নিতে হয়। স্বাধীনতা কাপের গ্রæপ পবের্ নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানকে রুখে দিয়েছিল রহমতগঞ্জ। এরপর শেষ ম্যাচে নবাগত নোফেল স্পোটির্ংকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় তারা। ওই ম্যাচে জোড়া গোল করেন জোনাপিও। লিগের আগে এই স্ট্রাইকারের আত্মবিশ্বাসটা তাই উত্তুঙ্গ, ‘একজন স্ট্রাইকার হিসেবে আমি অবশ্যই চেষ্টা করব প্রতি ম্যাচে গোল করতে। লিগে সবোর্চ্চ গোলদাতা হওয়ার লক্ষ্য আমার। শুধু আমি নই, দলের প্রতিটি ফুটবলারই নিজের সেরাটা দিতে চায়। তাদের এই জয়ের ক্ষুধা আমাদের শিরোপাও এনে দিতে পারে।’ চলতি মৌসুমেই রহমতগঞ্জের দায়িত্ব নিয়েছেন বাফুফের বয়সভিত্তিক দলের সাবেক কোচ গোলাম জিলানী। ১০ বছর পর ক্লাব ফুটবলে প্রত্যাবতর্ন করা এই কোচ মাঝমাঠকে প্রাধান্য দিয়ে শিষ্যদের ছোট ছোট পাসে খেলাতে চান। ৪-২-৩-১ ফরমেশন তার পছন্দের। জিলানীর বিশ্বাস, তার কৌশলে মাঠে দারুণ কিছুই করে দেখাবে শিষ্যরা।