চমক দেখাবে নোফেল!

শিরোপায় চোখ আবাহনী-বসুন্ধরার

দেশের শীষর্পযাের্য়র ফুটবলে এবারই প্রথম নোফেল স্পোটির্ং ক্লাব। সাদামাটা এক দল নিয়েই মৌসুমটা শুরু করেছে তারা। তবে তারকাদের নিয়ে দল না গড়েও চমক দেখানো ক্লাবের সংখ্যা কম নয়। নোফেল সেই তালিকায় হতে চায় নতুন সংযোজন। ফেডারেশন কাপের গ্রæপপবর্ থেকেই বিদায়। তবে বসুন্ধরার মতো শক্তিধর দলকে রুখে দিয়ে ঠিকই চমক দেখিয়েছিল তারা। স্বাধীনতা কাপে শেখ জামালকে রুখে দেয়ার পর ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানকে তো হারিয়েই দিয়েছিল নোফেল। যদিও গ্রæপপবের্র গÐি পেরনো হয়নি। তবে নবাগত দলটির পারফরম্যান্স ঠিকই নজর কেড়েছে সবার। ক্লাব কমর্কতার্রাও আশাবাদী, লিগেও এমন চমক দেখাবে নোফেল। ভালো খেলে পয়েন্ট টেবিলে একটা অবস্থান তৈরি করতে চায় দলটি। ক’দিন পরই মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ। এই লিগে অংশ নিতে যাওয়া ১৩টি দল এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। খেলোয়াড়রা ঘাম ঝরাচ্ছেন অনুশীলনে, কোচরা ব্যস্ত রণ-কৌশল সাজাতে। লিগকে ঘিরে কোচদের কৌশল, খেলোয়াড় আর ক্লাবের লক্ষ্য সম্পকের্ পাঠকদের আগাম ধারণা দিতেই যায়যায়দিনের এই ধারাবাহিক আয়োজন

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
পেশাদার লিগ মানেই যেন ঢাকা আবাহনীর সাফল্যগাথা! বিগত ১০ আসরে ছয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। দুদিন পর শুরু হতে যাওয়া ১১তম আসরেও ঐতিহ্যবাহী দলটি নামতে যাচ্ছে শিরোপায় চোখ রেখে। একই লক্ষ্য নবাগত বসুন্ধরা কিংসেরও। বড় বাজেটের দল গড়ে ইতোমধ্যেই নিজেদের পরাশক্তি হিসেবে প্রমাণ করেছে ক্লাবটি। ১৩ দলের এবারের লিগে আবাহনী আর বসুন্ধরাকেই শিরোপার সব থেকে বড় দাবিদার মনে করা হচ্ছে। মৌসুমের প্রথম দুটি টুনাের্মন্টের শিরোপা গেছে আবাহনী আর বসুন্ধরার ঘরে। ফেডারেশন কাপ জিতেছে আবাহনী, স্বাধীনতা কাপ বসুন্ধরা। এবার প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে মুখিয়ে রয়েছে দল দুটি। গত দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লড়াইয়ের ময়দানে নামতে যাচ্ছে আরও একবার হ্যাটট্রিক শিরোপার মিশনে। লিগের প্রথম তিন আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবার হ্যাটট্রিক করেছিল আকাশী-নীল শিবির। এবার সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর সুযোগ তাদের সামনে। তবে এবার শিরোপা জেতা মোটেও সহজ হবে না আবাহনীর জন্য। এবার অন্তত আরও চারটি দল আছে, যারা শিরোপায় চোখ রেখেই লিগ শুরু করতে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই শিরোপা ধরে রাখার বাড়তি একটা চাপ থাকছে আবাহনীর ওপর। বাস্তবতটা জানেন দলের পতুির্গজ কোচ মারিও গোমেজ। এরপরও বললেন, ‘আমরা সপ্তমবারের মতো লিগের শিরোপা জিততে চাই। এবার একটা প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূণর্ লিগ হবে। তাই পথটা সহজ হবে না। তবে আমাদের অনেক ভালো মানের ফুটবলার আছে, যারা যেকোনো সময় ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে পারেন।’ গত মৌসুমে যে দলটি নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আবাহনী, বলতে গেলে এবারও তারা সেই দলটি নিয়েই খেলছে। রক্ষণ, মধ্যমাঠ আর আক্রমণ, সবদিক থেকেই ভারসাম্যপূণর্ এক দল আবাহনী। তাই আরও একবার শিরোপার হ্যাটট্রিকের স্বপ্ন দেখতেই পারে তারা। তবে আবাহনীর সেই স্বপ্ন ভেঙে দেয়ার জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছে বসুন্ধরা। প্রথমবারই লিগ জয়ের প্রত্যাশা তাদের। ‘বনর্ টু বিট’Ñ দলের এই ¯েøাগানটার যথাথর্তা প্রমাণ করতে মুখিয়ে রয়েছে নবাগত দলটি। কাগজ-কলমে সব থেকে শক্তিধর দল বসুন্ধরা। দলের প্রাণভোমরা বিশ্বকাপ খেলে আসা প্লে-মেকার ড্যানিয়েল কলিন্ড্রেস। মতিন মিয়ার মতো স্থানীয় স্ট্রাইকার আর জিকোর মতো একজন গোলরক্ষকও রয়েছে তাদের। সব মিলে দলটিতে খেলছেন জাতীয় দলের আট ফুটবলার। আছে ভালো মানের বিদেশিও। সব মিলে আসন্ন লিগে প্রতিদ্ব›দ্বী দলগুলোর জন্য বড় এক হুমকিই বসুন্ধরা। দলের কোচ অস্কার ব্রোজন বললেন, ‘জানি লিগটা অনেক প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূণর্ হবে। স্বাধীনতা কাপের সাফল্য ধরে রেখে প্রিমিয়ার লিগে শিরোপার জন্য খেলব এবং সেই সামথর্্য আমাদের আছে।’