অ্যাটলেটিকোর বিদায় লিখল জিরোনা

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
লেগানেসের কাছে হেরেও কোপা দেল রের কোয়াটার্র ফাইনালে চলে গেল রিয়াল মাদ্রিদ। অথচ ঘরের মাঠে জিরোনার সঙ্গে ড্র করেও আসর থেকে ছিটকে গেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে জিরোনার সঙ্গে ১-১ সমতায় শেষ করেছিল অ্যাটলেটিকো। ফিরতি লেগে নিজেদের মাঠে ৩-৩ গোলে করে করে ডিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৪ সমতা হওয়ায় অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে জিরোনা ওঠে গেছে শেষ আটে। লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে নয় নম্বরে থাকা জিরোনা যে অ্যাটলেটিকোর বিদায় লিখবে সেটা হয়ত কেউ ভাবেনি। ওয়ান্দা মেট্রোপলিটানোতে নিকোলা কালিনিচের গোলে ১২তম মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল অ্যাটলেটিকো। এরপর ৩৭ মিনিটে জিরোনাকে সমতায় ফেরান ফানাের্ন্দজ। দ্বিতীয়াধের্ স্বাগতিক দলের সমথর্কদের অবাক করে দিয়ে জিরোনাকে এগিয়ে দেন ক্রিশ্চিয়ান স্টুয়ানি। অ্যাটলেটিকোর ম্যাচে ফিরতে অবশ্য সময় লাগেনি। ৬৬তম মিনিটে স্কোরলাইনে সমতা আনেন আজের্ন্টাইন তারকা অ্যাঞ্জেল কোরেয়া। এরপর নিধাির্রত সময়ের ছয় মিনিট বাকি থাকতে আতোয়ান গ্রিজম্যানের গোলে জয়ের স্বপ্নই দেখছিল অ্যাটলেটিকো। কিন্তু ৮৮ মিনিটে জিরোনাকে সমতায় ফিরিয়ে গ্রিজম্যানদের স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করেন বোজার্ গাসির্য়া। লেগানেসের কাছে অ্যাটলেটিকোর নগর প্রতিদ্ব›িদ্ব রিয়াল মাদ্রিদ হেরেছে ১-০ ব্যবধানে। তবে প্রথম লেগে ৩-০ গোলের জয়টিই লস-বøাঙ্কোসদের শেষ আটের টিকিট এনে দিয়েছে। দুই লেগে অগ্রগামিতা তাদের ৩-১ গোলের। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ডেনিস ফরোয়াডর্ মাটির্ন ব্রেইথওয়েট। রিয়ালের গোলমুখ এলোমেলো হওয়ার সুযোগ নিয়ে খালি জালে লক্ষ্যভেদী হেড করেন মিডলসব্রো থেকে ধারে আসা এই খেলোয়াড়। ফমর্হীন মিডফিল্ডার ইস্কোকে রেখে এদিন একাদশ সাজান রিয়াল কোচ সান্তিয়াগো সোলারি। কিন্তু আক্রমণে ধার ফেরাতে পারেননি এই স্প্যানিশ খেলোয়াড়। অক্টোবরের শেষ দিকে হুলেন লোপেতেগির উত্তরসূরি হওয়ার পর সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এটি সোলারির চতুথর্ হার। দলের পারফরম্যান্সে হতাশা লুকালেন না রিয়াল কোচ, ‘এটা ছিল দুবর্ল পারফরম্যান্স, বিশেষ করে প্রথমাধের্। আমরা পরের রাউন্ডে উঠেছি, কয়েকজন খেলোয়াড়ের সুযোগ পাওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু আমরা ভালো খেলিনি।’ ডিফেন্ডার নাচো যোগ করেছেন, ‘ম্যাচটা আমরা জিতলে ভালো হতো। কিন্তু তারপরও আমরা পার পেয়েছি এবং এটাই গুরুত্বপূণর্রূপ্রথম লেগে বড় লিড নিলে ম্যাচ সহজ হয়ে যায়। কিন্তু তার ফলে একটু আয়েশি ভাব চলে আসে এবং অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস থাকে যার কারণে শতভাগ দিতে পারে না।’