রংপুরকে ছন্দে ফেরাতে চান ডি ভিলিয়াসর্

বিপিএল ২০১৯ সিলেট-রংপুর সরাসরি, দুপুর ১.৩০ মি. চিটাগং-খুলনাসরাসরি, সন্ধ্যা ৬.৩০ মি.

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে স্বস্তিতে নেই রংপুর রাইডাসর্। শেষ চারে জায়গা করে নেয়াটাই এখন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দঁাড়িয়েছে। এমন দুদর্শার মুহূতের্ দলটিতে যোগ দিয়েছেন তারকা ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়াসর্। শুক্রবার সিলেটে দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন তিনি। এর আগেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই প্রোটিয়া জানিয়েছেন নিজের লক্ষ্যের কথা। আপাতত সেই লক্ষ্যটা হচ্ছে রংপুরকে ছন্দে ফেরাতে সাহায্য করা। চলতি বিপিএলের সিলেট পবের্র শেষ ম্যাচে আজ সন্ধ্যায় চিটাগং ভাইকিংসের মুখোমুখি হবে খুলনা টাইটান্স। এর আগে দুপুরে রংপুরের প্রতিপক্ষ সিলেট সিক্সাসর্। গত বুধবার এই সিলেটের কাছেই ২৭ রানে হেরেছে মাশরাফির রংপুর। ক্ষতটা শুকনোর আগেই প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে তারা। তাছাড়া ৬ ম্যাচের চারটিতে হেরে যাওয়ার পর জয়টা অত্যাবশ্যক হয়ে উঠেছে রংপুরের জন্য। এমতাবস্থায় ডি ভিলিয়াসের্র আগমন, রংপুর শিবিরে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে। তার ব্যাটিং সক্ষমতার কথা সবার জানা। যে কারণে প্রত্যাশাও বেশি। সেটিই আবার ভিলিয়াসের্র কাছে ভালো করার অনুপ্রেরণা। প্রথমবার বিপিএল খেলতে আসা এই প্রোটিয়াকে নিয়ে দশর্কদের আগ্রহও আকাশচুম্বী। তবে ক্রিকেট পারফরম্যান্স ভালো-মন্দ মিলিয়েই আগায়, ডি ভিলিয়াসর্ এমন বিশ্বাসেই বিশ্বাসী। তাতে নিজের কাছে প্রত্যাশা কম রাখছেন তিনি। নিজের সবোর্চ্চটা দিয়েই দলকে সাহায্য করতে চান এই ডানহাতি। ডি ভিলিয়াসর্ প্রয়োজনের মুহূতের্ ঝলক দেখাতে চান ব্যাট হাতে, ‘এটা (সকলের প্রত্যাশা) বিভিন্ন দেশে গিয়ে খেলতে এবং ভালো খেলতে অনুপ্রাণিত করে। ক্যারিয়ার জুড়েই এমন প্রত্যাশা ছিল। বিপিএলে একই প্রত্যাশা আমার কাছে নতুন কিছু নয়। ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের ওঠা-নামা সবসময় হয়। প্রতি ম্যাচেই নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন না। খেলাধুলার চিরায়ত এই ব্যাপারটিতে আমি বাস্তবসম্মত। নিজেকে নিয়ে খুব বেশি আশা করি না। কিন্তু কিছু সময়ে ঝলকানি দেখাতে চাই।’ ডি ভিলিয়াসর্ আশাবাদী, দ্রæতই ছন্দ ফিরে পাবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা এবং জায়াগা করে নেবে শেষ চারে। শুক্রবার অনুশীলনে নামার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, ‘আমি জানি রংপুর রাইডাসের্র এর আগেও কিছু সাফল্য রয়েছে। আমাদের এখনও ছয়টা ম্যাচ বাকি আছে। ম্যাচগুলোতে ভালো খেলেই আশা করছি আমরা প্লে-অফ পবের্ জায়গা করে নেব।’ ২০১৫ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে সবশেষ বাংলাদেশে এসেছিলেন ডি ভিলিয়াসর্। চার বছর পর আবার বাংলাদেশে আসতে পেরে খুশি ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। আসার আগে বিপিএলের প্রশংসাও শুনেছেন অনেক। নিজেই বললেন সে কথা, ‘বিপিএল সম্পকের্ এর আগে ভালো কথাই শুনেছি। এখানকার ক্রিকেটের কোয়ালিটি অসাধারণ। এটি এমন একটি টুনাের্মন্ট, যেটি কিনা প্রতি বছরই উত্তরোত্তর উন্নতি করছে। আমি বেশ খুশি এ বছর টুনাের্মন্টটির অংশ হতে পেরে।’ ২০১৮ সালের মে মাসে সবধরনের আন্তজাির্তক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ডি ভিলিয়াসর্। এরপর থেকে খেলে বেড়াচ্ছেন বিশ্বের বড় বড় টি২০ লিগে। এরই ধারাবাহিকতায় বিপিএল খেলতে আসা। তিনি জানালেন, নিজেকে ফিট এবং ক্রিকেটে ব্যস্ত রাখতেই বেছে নিয়েছেন এবারের বিপিএল, ‘সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার মজানসি লিগে খেলেছিলাম। এটা (বিপিএল) আমার নতুন মৌসুমের শুরু বলতে পারেন। আমাকে এই সময়টায় ব্যস্ত ও ফিট থাকতে হবে।’ সিলেটের বিপক্ষে শুধু ডি ভিলিয়াসর্ নন, রংপুর শিবিরে দেখা যেতে পারে আফ্রিদি চমক! এই আফ্রিদি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলা পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি নন, ইনি মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদি। চট্টগ্রামে জন্ম নেয়া এই তরুণ মূলত লেগ স্পিনার। কোচ টম মুডির নজর কেড়েছেন ইতোমধ্যে। তার প্রতিভায় মুগ্ধ দলটির সহকারী কোচ মোহাম্মদ রফিকও, ‘আমি এত বছর দেখছি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে, আমি এমন লেগ স্পিনার দেখিনি। তার ফিল্ডিং দেখলাম আমি, সে কোয়ালিটি ফিল্ডিং করে। আন্তজাির্তক ক্রিকেটের জন্য যা দরকার, তার ভেতর সেই গুণটা দেখছি।’ আফ্রিদিকে নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করছেন মুডি। এই অস্ট্রেলিয়ানের কথায় পরিষ্কার ইঙ্গিত, যেকোনো ম্যাচে রংপুরের একাদশে দেখা যেতে পারে তরুণ লেগ স্পিনারকে, ‘টুনাের্মন্টের পরবতীর্ ধাপে কী হতে পারে, তা তো এখনই বলা যাচ্ছে না। আমাদের দলে সোহাগ গাজী ও নাজমুল ইসলাম অপুর মতো স্পিনার আছে। তবে আমাদের লেগ স্পিনারের পছন্দে আফ্রিদি আছে। ও খেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।’