তবু শিষ্যদের নিয়ে গবির্ত সাউথগেট

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ের পর ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক হ্যারি কেনকে সান্ত¡না দিচ্ছেন কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। কিন্তু সাউথগেটকে সান্ত¡না দেবেন কে? Ñওয়েবসাইট
রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রত্যাশার চেয়েও ভালো খেলেছে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের আগে টপ ফেভারিটদের তালিকায় ছিল না হ্যারি কেনের দল। গ্রæপ পবের্ দুদার্ন্ত পারফমর্ দেখিয়ে উঠেছিল শেষ ষোলোয়। কোয়াটার্র ফাইনালে লাতিন আমেরিকার দল কলম্বিয়াকে বিদায় করে শেষ চারে নাম লিখিয়েছিল ইংলিশরা। কিন্তু বুধবার ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে ফাইনালে খেলা হলো না তাদের। এবারের বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেও শিষ্যদের পারফরম্যান্সে দারুণ সন্তুষ্ট ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। রাশিয়া বিশ্বকাপে তরুণ দলটি ‘অনেক পরিণত’ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ইংল্যান্ড ১৯৬৬ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এরপর অধর্শত বছর পেরিয়ে গেলেও তারা আর পারেনি। রাশিয়া বিশ্বকাপে এবার একটা সুযোগ ছিল। ইংলিশরাও আশায় বুক বেঁধেছিল। তাদের ছেলেরা শিরোপা নিয়েই বাড়ি ফিরবেন। হ্যারি কেন-ডেলে আলিরা বাড়ি ফিরছেন ঠিকই, কিন্তু খালি হাতে। শিরোপার এত কাছে এসেও দূরে চলে যেতে হলো তাদের। অথচ আর একটা ম্যাচ জিতলেই ফুটবল বিশ্বকাপের মুকুট নিজেদের করে নিতে পারত ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের শিরোপা আপন ঘরে ফিরে যেত। ফুটবল ফিরত তার নিজের ঘরে। এর কিছুই তো হলো না! ফুটবল তার আপন ঘরে ফিরল না। এরপরও শিষ্যদের পারফরম্যান্সে হতাশ নন ইংল্যান্ডের কোচ সাউথগেট। ইংল্যান্ডের এই দলটা যে এতদূর এসেছে, সেটির জন্য গবির্ত সাউথগেট। বাস্তবতা মেনে নিয়েই সান্ত¡না খুঁজছেন ইংলিশ কোচ, ‘আমরা কি ভেবেছিলাম এই অবস্থানে আসতে পারব? সত্যি করে বললে, আমার মনে হয় কেউই ভাবেনি। ১৮ মাস পেছনে ফিরে তাকান, কেউ আশা করেনি যে আমরা বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলব। তারপরও আমি এই ছেলেদেরকে নিয়ে গবির্ত। দুই বছর আগের তুলনায় এবার সমথর্কদের প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে আমরা যেভাবে খেলেছি তাতে দেশ আমাদের নিয়েও গবির্ত।’ এতদূর আসার পর এভাবে বিদায় নিতে হলো, শিষ্যদের সান্ত¡না দেয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না সাউথগেট, ‘এই মুহ‚তের্ খেলোয়াড়রা ভালো অনুভব করবে, এমন কিছু করার সাধ্য নেই আমার। বুঝতে পারছি, আমরা বড়, অনেক বড় একটা ম্যাচ হেরেছি। এটা থেকে আসলে খুব দ্রæত বেরিয়ে আসতেও চাই না। আমরা যে সুযোগটা পেয়েছিলাম, সেটি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এই মুহ‚তের্ আমরা সবাই হারের কষ্টটা অনুভব করছি।’ সাউথগেটের দলের সামনে সুযোগ ছিল ১৯৬৬ সালের পর আবারও ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জেতানোর। ক্রোয়েশিয়ার কাছে হারে সেই সুযোগ নষ্ট হলেও এবারের অজর্নটাকে মাইলফলক হিসেবেই দেখছেন সাউথগেট, ‘নতুন একটা মাইলফলক এবং প্রত্যাশার সূচক থাকবে। জয়ী দল হতে হলে আপনাকে বাধা অতিক্রম করতে হবে এবং আমরা অনেকগুলো বাধা অতিক্রম করেছি। আন্তজাির্তক পযাের্য় আমাদের খেলোয়াড়দের অনেকেই পরিণত হয়েছে।’ রাশিয়ার আসরে খেলা দলগুলোর মধ্যে ইংল্যান্ড ছিল দ্বিতীয় তরুণতম দল। ১৯৯০ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেরা চারে উঠে প্রত্যাশা ছাপিয়ে গিয়েছিল তারা। ২০১৪ বিশ্বকাপ ও ২০১৬ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের তুলনায় রাশিয়ায় ইংল্যান্ডের প্রাপ্তি বেশি। ব্রাজিল বিশ্বকাপের গ্রæপ পবর্ থেকে ছিটকে পড়েছিল তারা। আর আইসল্যান্ডের কাছে হেরে ইউরোর শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছিল ইংলিশরা। তবে রাশিয়া বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড তাদের সামথের্্যর প্রমাণ দিয়েছে বলে মনে করছেন সাউথগেট, ‘আজ রাতে একটা দারুণ সুযোগ ছিল এবং আপনি নিশ্চয়তা দিতে পারবেন না এটা আবার আসবে। কিন্তু একই সঙ্গে (বলতে হবে) আমরা একটা দল হয়ে উঠতে চেয়েছি, যারা কোয়াটার্র-ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে উঠবে। আমরা নিজেদের কাছে, দেশের মানুষের কাছে যতটা সম্ভব নিজেদের প্রমাণ করতে পেরেছি।’