বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিজের আউটকে আশীর্বাদ বললেন ইমরুল

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

আউট হতে কখনোই ভালো লাগার কথা নয় কোনো ব্যাটসম্যানের। ইমরুল কায়েসেরও নিশ্চয়ই লাগেনি তখন। তবে ম্যাচ শেষে পেছন ফিরে তাকিয়ে কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়কের মনে হচ্ছে, তিনি ওই সময় আউট হওয়ায় দলের জন্যই ভালো হয়েছে। তার বিদায়ের পর ক্রিজে গিয়েই যে ম্যাচ জেতানো বিধ্বংসী সেঞ্চুরিটি করেছেন জনসন চার্লস।

জিততে হলে বিপিএলের রেকর্ড বই উলট পালট করতে হতো কুমিলস্নাকে। পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় যখন লিটন দাস আহত হয়ে মাঠ ছাড়ার পর অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ফেরেন সাজঘরে, তখন মনে হয়েছে কার্যত তা অসম্ভবই। কিন্তু ক্যারিবিয়ান ব্যাটার জনাথন চার্লসের বিধ্বংসী ইনিংসে সেই লক্ষ্যই হয়ে গেল মামুলী। তখন নিজের আউটকে দলের জন্য আশীর্বাদই মনে হয়েছে ইমরুলের।

ব্যাটিংয়ে নামলে রয়ে-সয়েই খেলার চেষ্টা করেন ইমরুল। যা টি২০ ক্রিকেটের জন্য কিছুটা হলেও বেমানান। প্রয়োজনে অবশ্য আগ্রাসী হতে পারেন তিনিও। উদাহরণও রয়েছে অনেক। কিন্তু এদিন টিকে গেলে কতটুকু আক্রমণাত্মকই বা হতে পারতেন ইমরুল? বিশেষ করে পাওয়ার পেস্নর

ব্যবহার করা।

বাস্তব দৃষ্টিতে সেটা চার্লসের মতো তো দূরের কথা, কাছাকাছিও হয়তো নয়। সেটা ভেবেই আউট হয়েও স্বস্তি পাচ্ছেন কুমিলস্না অধিনায়ক ইমরুল, 'লিটন দাস চোটে পড়ার পর উদ্বিগ্ন হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ ও যদি পাওয়ার পেস্নটা ইউজ করে দেয়, ওর মতো ব্যাটার থাকলে যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্য কঠিন। তারপরে আমি গিয়ে চেষ্টা করেছিলাম অন্তত বল যাতে নষ্ট না হয়। আমি প্রয়োগ করতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত আমি আউট হয়ে একটা আশীর্বাদের মতন হয়ে গেছে। কারণ চার্লস যে কাজটা করেছে, হয়তো বা তা হতো না, 'ম্যাচ শেষে এমনটাই বলেন ইমরুল।

চার্লসের এমন ইনিংস দেখা চোখের জন্য তৃপ্তিদায়ক বলে জানালেন কুমিলস্নার অধিনায়ক, 'সত্যি কথা বলতে ওর সঙ্গে ব্যাট করলে বেটার লাগত। কারণ সঙ্গী এমন মারতে থাকলে ফিলটা ভালো হয়। আমার মনে হচ্ছিল ২০১৭ সালে যখন ও আমাদের বিপক্ষে রংপুরের হয়ে মারছিল আমরা তখন বাজে অবস্থায় ছিলাম। সেই ফিলটা নেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। চার্লস এখন আমাদের হয়ে খেলছে। ফিনোমিনাল ইনিংস আসলে। এরকম ইনিংস সচরাচর দেখা যায় না। চোখের জন্য শাস্তি।'

মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রান উৎসবের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিলস্না। খুলনার দেওয়া ২১১ রান তাড়া করে জেতায় বিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়ায় নিজেদের আগের রেকর্ডই (২০৭) ভেঙেছে কুমিলস্না। আর তা সম্ভব হয়েছে চার্লসের ব্যাটে। ৫৬ বলে ৫ চার ও ১১ ছক্কায় খেলেন হার না মানা ১০৭ রানের ইনিংস। তাকে দারুণ সহায়তা করেছেন পাকিস্তানি ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানও। ৩৯ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ৭৩ রান।

তবে এমন বিশাল লক্ষ্য পেলেও শুরু থেকেই জয়ের আত্মবিশ্বাস ছিল ইমরুলের। ফিল্ডিং শেষে তা কোচ সালাহউদ্দিনকে জানিয়েছিলেনও তিনি, 'ফিল্ডিং করে যখন ড্রেসিংরুমে যাই, তখন কোচকে বলেছিলাম, 'স্যার, আমরা আজ জিতব। অনেক সময় এরকম রানের টার্গেটে একটা ভুল হলে মনে হয় হেরে যাব। এদিন একটিবারের জন্য মনে হয়নি আমরা হারব।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে