আগামী বছর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত হবে অলিম্পিকের মেগা আসর। তবে ২০২৪ সালে অলিম্পিকের সেই আসরটিতে অন্তত ৪০টি দেশের অ্যাথলেটদের নাও দেখা যেতে পারে। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডের ক্রীড়া ও পর্যটনমন্ত্রী কামিল বোরনিউক। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে রাশিয়া। যুদ্ধে রাশিয়ার সহযোগী বেলারুশকেও বয়কট করেছে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ। তাই এই দুই দেশের ক্রীড়াবিদদের প্যারিস অলিম্পিকে খেলতে দিলে হুমকি স্বরূপ যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বিপুলসংখ্যক দেশের জোট প্যারিস অলিম্পিকে অংশ নেবে না।
তবে যেকোনো ধরনের বয়কটে খেলোয়াড়দের ক্ষতিই করা হয় বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। এজন্য সম্ভাব্য বয়কটকারীদের সতর্ক করে দিয়েছেন অলিম্পিকের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম 'বিবিসি' জানিয়েছে, ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে রাশিয়া ও বেলারুশের খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে চায় আইওসি। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এমন অবস্থায় দেশ দুটির খেলোয়াড়দের অলিম্পিকে খেলতে দেওয়ার বিপক্ষে অবস্থান ধরে রেখেছেন ইউরোপের দেশগুলো। তবে 'নিরপেক্ষ পতাকা'য় খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতে চায় আইওসি।
এ বিষয়ে গত সপ্তাহে আইওসি 'পাসপোর্টের কারণে কোনো ক্রীড়াবিদকে প্রতিযোগিতার বাইরে রাখা উচিত নয়' মন্ত্রে একটি পরিকল্পনাপত্র প্রকাশ করেছে। যার নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাংস্কৃতিক মন্ত্রী মিচেল ডোনেলান। তিনি বলেন, এমন ভাবে পরিকল্পনাটি করা হয়েছে, যেন পৃথিবী এখন যুদ্ধ-বাস্তবতার বাইরে। তাই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট অলিম্পিক বয়কটের হুমকি দিয়েছেন।