বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রম্নপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টারে বসুন্ধরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

ফেডারেশন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে গ্রম্নপ 'বি'-এর চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরবর্তী রাউন্ড নিশ্চিত করেছে বসুন্ধরা কিংস। মঙ্গলবার কুমিলস্নার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তারা ২-০ গোলে হারায় চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডকে। ৩ ম্যাচের সব ক'টিতেই জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রম্নপের শীর্ষ দল হিসেবে কোয়ার্টারে পৌঁছায় কিংস। একই দিনে মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত গ্রম্নপের অন্য ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা ২-১ গোলে হারায় ফর্টিজ এফসিকে। যে কারণে পয়েন্টের সমীকরণে ম্যাচে হেরেও গ্রম্নপ রানার্স আপ হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী।

কুমিলস্নায় ম্যাচের শুরু থেকেই বসুন্ধরার বিপক্ষে কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তোলে চট্টগ্রাম আবাহনী। তাই গোল পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে কিংসকে। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে রবসন রবিনহোর কর্নার বক্সে পেয়ে ডান প্রান্ত থেকে হেড নেন ইয়াসিন আরাফাত। এরপর বাঁ প্রান্তে বক্সের ভেতর থেকে আরও একটি হেড নিয়েছিলেন কিংসের এক ফুটবলার। কিন্তু বল বার ছুঁয়ে ফেরত আসে। জটলার মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন তপু বর্মণ। বলটা পেয়েই বা পায়ে জালে ঠেলে দেন দেশের অন্যতম সেরা এই ডিফেন্ডার (১-০)। প্রথমার্ধ এগিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় বসুন্ধরা।

৫৪ মিনিটে বক্সে রবসন রবিনহোর বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে হাতে বল লাগে চট্টগ্রাম আবাহনীর রকির (হ্যান্ডবল)। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। মিগেল ফিগেরার স্পট কিক বা দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি চট্টলার গোলরক্ষক সাইফুল। বল আশ্রয় নেয় চট্টগ্রাম আবাহনীর জালে (২-০)। ৬৫ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে কর্নার করেন মোরসালিন। বক্সে বল পেয়ে হেড নিয়েছিলেন তার সতীর্থরা। তবে গোল হয়নি। ৬৬ মিনিটে বক্সের মাথা থেকে শট নিয়েছিলেন কিংস ফরোয়ার্ড সুমন রেজা। তবে বল লক্ষ্যে পাঠাতে পারেননি। পরের মিনিটেই রবসন রবিনহো বক্সে বল নিয়ে ঢুকে শট করেছিলেন। কিন্তু ঝাঁপিয়ে বলের দিক পরিবর্তন করে দেন সাইফুল। তাই নিশ্চিত তৃতীয় গোলের সুযোগটি হাতছাড়া হয় বসুন্ধরার। ৬৮ মিনিটে সুমন রেজা একবার বল পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে রেফারির বাঁশি শুনে বুঝতে পারলেন অফসাইডের ফাঁদে পড়েছেন। ৭৯ মিনিটে অফসাইডের কারণে কিংসের আরও একটি গোল বাদ পড়ে। এবার গোলটি করেছিলেন মোরসালিন। ৮৬ মিনিটে এসে একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে ম্যাচে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুই দলের দুই ফুটবলারকেই ডাকেন রেফারি। আলোচনা শেষে লাল কার্ড দেখান। মাঠ ছাড়েন বসুন্ধরার সুমন রেজা এবং চট্টগ্রাম আবাহনীর তারেক। দুই দলই পরিণত হয় দশজনের দলে। শেষ পর্যন্ত আর ম্যাচে ফেরা হয়নি চট্টলার। তাই টানা তৃতীয় জয়ে গ্রম্নপের চ্যাম্পিয়ন হয় বসুন্ধরা। এই ম্যাচের আগেই শেষ আট নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল অন্য দুই গ্রম্নপ থেকে। বাকি ছিল গ্রম্নপ 'বি'এর লড়াই। মঙ্গলবারের দুই ম্যাচের উপর নির্ভর করছিল এই গ্রম্নপ থেকে কোন তিনটি দল পরের রাউন্ডে খেলবে। গ্রম্নপের চার দলের মধ্যে বসুন্ধরা আর চট্টগ্রাম আবাহনী যথাক্রমে ৬ ও ৪ পয়েন্ট নিয়ে পরের রাউন্ডে যাবার দৌড়ে এগিয়ে ছিল। ১ পয়েন্ট নিয়ে ফর্টিজেরও সুযোগ ছিল ম্যাচ জিতে গ্রম্নপ রানার্স আপ হবার। অন্তত ১ পয়েন্ট পেলেও তারা পরের রাউন্ডে যেতে পারত সেরা তৃতীয় দল হিসেবে। কারণ মুক্তিযোদ্ধা ছিল পয়েন্টশূন্য। তবে সেই দলটিই (মুক্তি) কিনা নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ফর্টিসকে হারিয়ে দিয়ে গ্রম্নপের সেরা তৃতীয় দলগুলোর একটি হয়ে পরের রাউন্ডে নাম লেখাল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে