দলের প্রয়োজনকে প্রাধান্য ধোনির

আমি কত নম্বরে ব্যাট করতে চাই সেটা গুরুত্বপূণর্ নয়। দলের প্রয়োজনে যেকোনো পজিশনে ব্যাট করতে আমি প্রস্তুত। আর তাই ১৪ বছর খেলার পর বলতে পারি না, আমি ছয় নম্বর অথবা চার নম্বরে ব্যাটিং করতে চাই

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ম্যাচ ফিনিশার হিসেবেই বেশি সমাদৃত তিনি। তবে লোয়ার মিডলঅডার্র ছেড়ে মিডলঅডাের্র উঠে এসে অস্ট্রেলিয়ায় সদ্য শেষ হওয়া সিরিজে মহেন্দ্র সিং ধোনি বনে গিয়েছিলেন ‘অ্যাঙ্কার’! এখন থেকে ভারতীয় এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে ২২ গজে এভাবেই দেখতে চান সতীথর্ থেকে শুরু করে সাবেক গ্রেটরা। সবার চাওয়াকেই সম্মান জানাচ্ছেন ধোনি। সঙ্গে এটাও জানিয়ে দিলেন, দলের প্রয়োজনটাই তার কাছে আগে। অথার্ৎ দলের প্রয়োজনে যেকোনো পজিশনেই ব্যাট করতে প্রস্তুত তিনি। টেস্টের পর ওয়ানডেতেও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়েছে ভারত। সেই জয়ে সামনে থেকে দলটিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ধোনি। সিরিজের প্রথম দুটি ওয়ানডেতে পঁাচ নম্বরে ব্যাটিং করেছেন, তৃতীয় ওয়ানডেতে নেমেছিলেন চার নম্বরে। সব পজিশনেই দারুণ ব্যাটিং প্রদশর্নী দেখিয়েছেন ধোনি, টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন দলের জয়ে গুরুত্বপূণর্ অবদান রেখে। পঁাচে নেমেও হাফসেঞ্চুরি পেয়েছিলেন প্রথম দুই ম্যাচে। তৃতীয় ম্যাচে চারে নেমে ছাড়িয়ে গেছেন ওই দুটো ইনিংসকেও। মাঠ ছেড়েছেন দলকে জিতিয়ে। ব্যাটিং পজিশন নিয়ে না ভেবে ভবিষ্যতেও এভাবে দলকে জেতাতে চান ধোনি, ‘আমি কত নম্বরে ব্যাট করতে চাই সেটা গুরুত্বপূণর্ নয়। দলের প্রয়োজনে যেকোনো পজিশনে ব্যাট করতে আমি প্রস্তুত। আর তাই ১৪ বছর খেলার পর বলতে পারি না, আমি ছয় নম্বর অথবা চার নম্বরে ব্যাটিং করতে চাই।’ শচিন টেন্ডুলকার, রোহিত শমার্ আর বিরাট কোহলির পর চতুথর্ ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডেতে হাজার রান করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন ধোনি। টানা তিন ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি হঁাকিয়ে হয়েছেন সিরিজসেরা। ধোনিকে নিয়ে তাই প্রশংসায় পঞ্চমুখ দলীয় কোচ রবি শাস্ত্রী। তার মতে, ধোনির কোনো বিকল্প নেই, ‘এটি সম্ভব না। এমন ক্রিকেটার ৩০-৪০ বছরে একবারই আসে। সে চলে গেলে যে শূন্যতা সৃষ্টি হবে তা পূরণ করা খুব কঠিন।’ রান তাড়া করতে নেমে ঠাÐা মাথায় ম্যাচ শেষ করাটা ধোনির সবচেয়ে বড় গুণ। প্রতিপক্ষ যেমন কিংবা যাই হোক না কেন নিবির্কারভাবে নিজের কাজটা করতে জানেন ধোনি। শাস্ত্রী তার শিষ্যের এই গুণে এতটাই মুগ্ধ যে, এক্ষেত্রে তাকে এগিয়ে রাখলেন শচিনের থেকেও, ‘সে (ধোনি) কিংবদন্তি। কাউকে কখনো এত শান্ত থাকতে দেখিনি। শচিনকেও অনেকবার রাগতে দেখেছি। কিন্তু ধোনিকে কখনো দেখিনি। সে শূন্য কিংবা একশ করুক, বিশ্বকাপ জিতুক, কিংবা প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়–ক, সব সময় একই মানুষই থাকবে। এটা কীভাবে সম্ভব তা আমি ভেবে সত্যিই বিস্মিত হই।’