ইমাম-হাফিজে জিতল পাকিস্তান

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
গোটা বিষয়টা যেভাবে সাড়তে চেয়েছিল পাকিস্তান, সেভাবে হলো না। তবে কাক্সিক্ষত জয়টা ধরা দিল ঠিকই। তিন টেস্টের সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে পাকিস্তানের প্রথম জয়টা এলো একেবারে শেষ ওভারে, ইমাম-উল-হক আর মোহাম্মদ হাফিজের অসাধারণ ব্যাটিং প্রদশর্নীতে। যতটা আশা করা হয়েছিল, দক্ষিণ আফ্রিকার ঝুলিতে ঠিক ততোটা রান জমা হয়নি। খানিকটা হিসাবি ব্যাটিংয়ের কারণেই মাত্র দুটি উইকেটে হারানোর পরও ২৬৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি স্বাগতিকরা। হাশিম আমলার (১০৮*) ২৭তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি এবং অভিষিক্ত রাসি ফন ডার ডাসেনের ৯৩ রানের দুদার্ন্ত ইনিংস দুটি ¤øান হয়ে গেছে ইমাম আর হাফিজের ব্যাটে। দুরন্ত ছন্দে থাকা ইমামের ৮৬ আর হাফিজের হার না মানা ৭১ রানের সুবাদেই ৫ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। পোটর্ এলিজাবেথ ভেন্যুটা পাকিস্তানের জন্য বরই পয়মন্ত। এখানে এখন পযর্ন্ত ওয়ানডেতে অপরাজেয় তারা। এই ভেন্যুতে চার ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছে পাকিস্তান, অপর ম্যাচটি হয়েছে পরিত্যক্ত। ২৬৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয়, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে অতীতে কখনোই এতো রান তাড়া করে জেতেনি অতিথিরা। রেকডর্গড়া সেই জয়টি পঁাচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দিল সরফরাজ আহমেদের দলকে। আমলা-ডাসেনদের ব্যাটিং প্রদশর্নী শেষে রান তাড়ায় পাকিস্তানকে দারুণ শুরু এনে দেন ইমাম। ফখর জামানকে (২৫) নিয়ে গড়েন ৪৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। ডুয়ানে অলিভারের শিকার হয়ে ফখর ফিরে যাওয়ার পর বাবর আজমকে (৪৯) নিয়ে ৯৪ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানের জয়ের ভিত গড়ে দেন ইমাম। তবে দুভার্গ্যজনকভাবে সেঞ্চুরি থেকে ১৪ রান দূরে থাকতে আউট হয়ে যান এই বঁাহাতি ওপেনার। ইমামের বিদায়ের পর দায়িত্ব কঁাধে তুলে নেন হাফিজ। দলীয় ২১৮ রানে শোয়েব মালিক (১২) ও পঁাচ রান বাদে অধিনায়ক সরফরাজ (১) আউট হলে কিছুটা চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা। তবে ষষ্ঠ উইকেটে শাদাব খানের সঙ্গে ৪৪ রানের অবিছিন্ন জুটিতে পাকিস্তানকে জয়ের বন্দরে পেঁৗছে দেন ম্যাচসেরা হাফিজ। সংক্ষিপ্ত স্কোর দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ২৬৬/২ (আমলা ১০৮*, ফন ডাসেন ৯৩, হেনড্রিকস ৪৫, মিলার ১৬*; শাদাব ১/৪১, হাসান ১/৪২) পাকিস্তান: ৪৯.১ ওভারে ২৬৭/৫ (ইমাম ৮৬, হাফিজ ৭১*, বাবর ৪৯, ফখর ২৫, শাদাব ১৮*; অলিভার ২/৭৩. হেনড্রিকস ১/১৩, তাহির ১/৪৪) ফল : পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী ম্যাচসেরা: মোহাম্মদ হাফিজ