তারকাদের নৈপুণ্যে উজ্জ্বল রংপুর

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
মিরপুরে মঙ্গলবার খুলনা টাইটান্সের আরও একটি উইকেটের পতন ঘটানো বোলারÑ ম্যাচসেরা ফরহাদ রেজাকে ঘিরে রংপুর রাইডাসর্ খেলোয়াড়দের উদযাপন। পরে তারকা ব্যাটসম্যানদের নৈপুণ্যে চলতি বিপিএলে চতুথর্ জয়ের দেখা পেয়েছে মাশরাফির দল Ñবিসিবি
বিপিএলের ষষ্ঠ আসর থেকে বিদায়ের পথে খুলনা টাইটান্স। আট ম্যাচে সপ্তম হারে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই থেকে গেল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন দলটি। অথচ মিরপুরে মঙ্গলবার ১৮১ রানের বড় পুঁজি গড়ে জয়ে ফেরার স্বপ্নই দেখছিল তারা। কিন্তু যে ম্যাচে ক্রিস গেইল, অ্যালেক্স হেলস আর এবি ডি ভিলিয়াসের্র ব্যাট হাসে সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষের স্বপ্ন ভাঙবেÑ এটাই তো নিয়তি! তিন তারকার নৈপুণ্যে ৬ উইকেটের দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে মাশরাফি বিন মতুর্জার রংপুর। তবে ম্যাচসেরা তারা কেউ নন, দারুণ বোলিংয়ের সুবাদে পুরস্কারটা উঠেছে ফরহাদ রেজার হাতে। এদিন টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় রংপুর দলপতি মাশরাফি। ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৫ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় খুলনা। আল আমিন মাত্র ৪ রান নিয়ে মাশরাফির কাছে পরাস্ত হন। ২৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় খুলনা। জুনায়েদ সিদ্দিকী ফেরেন ১৩ রান করে। তবে এরপর ব্রেন্ডন টেলর, নাজমুল হোসেন শান্ত আর দলপতি মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ভর দিয়ে বড় রানের ভিত্তি পায় খুলনা। শেষ দিকে ডেভিড উইসার ঝড়ো ব্যাটিং দলকে এনে দেয় চ্যালেঞ্জিং স্কোর। খুলনার হয়ে প্রথম ঝড় তোলে শান্ত ও টেলর জুটি। জুটিতে আসে ৪৯ রান। ২০ বলে ব্যক্তিগত ৩২ রানে আউট হয়ে যান টেলর। এরপর ৩টি ছক্কা ও ২টি চারে সাজিয়ে ৩৫ বলে ৪৮ রান করে আউট হন শান্ত। আর ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন মাহমুদউল্লাহও। ২০ বলে তিনি করেন ৩৫ রান। এরপর ঝড় তোলের উইসা। ১৫ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে তিনিই খুলনাকে নিয়ে যান ১৮১ পযর্ন্ত। রংপুরের হয়ে ৩২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন ম্যাচসেরা ফরহাদ। মাশরাফি আর গেইল নিয়েছেন একটি করে উইকেট। ১৮২ রানের চ্যালেঞ্জিং টাগেের্ট ব্যাট করতে নেমে ইংলিশ ব্যাটসম্যান হেলস সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন। আগের চার ম্যাচে মাত্র ৪৮ রান করতে পারায় কিছুটা চাপের মধ্যে ছিলেন তিনি। এদিন সেই চাপটা দারুণভাবেই কাটিয়েছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ফমর্হীনতায় থাকা গেইলের সঙ্গে সাড়ে সাত ওভারের জুটিতে ৭৮ রান তুলে যখন আউট হন, তখন হেলসের নামের পাশে ৫৫ রান। ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি করে এবার বিপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলা পাকিস্তানি স্পিনার ইয়াসির শাহ’র শিকার হন তিনি। বিপিএলের এ আসরের শুরু থেকেই ব্যথর্ ছিলেন গেইল। আগের পাঁচ ম্যাচে মোট ৩৯ রান করেছেন তিনি। তাই কিনা এ ম্যাচে শুরু থেকেই বেশ সাবধানী ক্যারিবীয় ‘দানব’। হেলস যখন একের পর এক বাউন্ডারি হঁাকিয়েছেন। অপরপ্রান্তে তিনি অনেকটা নীরব। হেলস ফেরার পর ক্রিজে আসেন ডি ভিলিয়াসর্। বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচে সিলেট সিক্সাসের্র বিপক্ষে চার নম্বরে ব্যাটে নেমেছিলেন তিনি। এদিন আরও একধাপ প্রমোশন নিয়ে নামেন তিনে। আগে ম্যাচে ২১ বলে করেছিলেন ৩৪ রান। এদিন খেলেন ৪১ রানের ইনিংস। মাহমুদউল্লাহর বলে এলবিডবিøউ হন প্রোটিয়া সুপারস্টার। শুরুতে ধীরগতিতে হলেও ম্যাচের অবস্থা বুঝে খোলসমুক্ত হতে থাকেন গেইল। শেষ পযর্ন্ত ৪০ বলে ৫৫ রান করে আউট হন এই বাহাতি। হেলস-গেইল-ভিলিয়াসর্ শো শেষে জয়ের জন্য শেষ ওভারে রংপুরের প্রয়োজন পড়ে ৬ রান। প্রথম বলে আউট হয়ে যান মোহাম্মদ মিঠুন। ইয়াসির শাহ’র বলে দুদার্ন্ত স্ট্যাম্পিং করেন ব্রেন্ডন টেলর। তারপরও জিততে সমস্যা হয়নি রংপুরের। কারণ ক্রিজে ছিলেন দলের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান রাইলি রুশো। তিন বল বাকি থাকতে ছক্কা মেরেই খেলা শেষ করেন প্রোটিয়া এ ব্যাটসম্যান। ইয়াসির শাহ’র দুই উইকেটের সঙ্গে খুলনার হয়ে একটি করে উইকেট নেন মাহমুদউল্লাহ ও জুনায়েদ খান।