আবাহনীকে গুঁড়িয়ে দিল বসুন্ধরা

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
‘হোম অ্যাডভান্টেজ’Ñ ঘরোয়া ফুটবলেও এখন কথাটা শোনা যাচ্ছে, শোনা যাচ্ছে প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো তাদের হোম ভেন্যু বেছে নেয়ায়। বুধবার অনুষ্ঠিত লিগের দুটি ম্যাচেই জিতল স্বাগতিক দল। সেটাও বড়সড় চমক দেখিয়ে। নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়ামকে হোম ভেন্যু হিসেবে বেছে নেয়া বসুন্ধরা কিংস এদিন ৩-০ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীকে। অন্যদিকে গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র গত আসরের রানাসর্আপ শেখ জামাল ধানমÐি ক্লাবকেও হারিয়েছে একই ব্যবধানে। শেখ জামাল শক্তিধর দল। মুক্তিযোদ্ধা সেখানে অনেকটাই সাদামাটা। শেখ জামাল যেখানে শিরোপায় চোখ রেখে লিগ শুরু করেছে, সেখানে মুক্তিযোদ্ধার লক্ষ্য ভালো খেলে পয়েন্ট টেবিলে সম্মানজনক অবস্থানে থাকা। দলটি অবশ্য চমক দেখানোর প্রতিশ্রæতি দিয়েছিল, বুধবার শেখ জামালের বিপক্ষে তাদের ৩-০ গোলের জয়ে সেই চমকটাই দেখা গেল। মুক্তিযোদ্ধার জয়ে তিনটি গোলই করেছেন ব্যালো ফামুসা (৪৪, ৬৭ এবং ৮৯ মিনিটে গোল তিনটি করেছেন তিনি)। তার পায়েই এবারের প্রিমিয়ার লিগে প্রথম হ্যাটট্রিক। ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে বসুন্ধরার হয়ে কেউ হ্যাটট্রিক করেননি। নবাগত শক্তিরা জিতেছে দলগত পারফরম্যান্সে। লিগের বতর্মান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়নের তকমা গায়ে অঁাটতে আটঘাট বেঁধে আগমণ করেছে বসুন্ধরা। ঘরোয়া ফুটবলের শীষর্ পযাের্য় নাম লিখিয়েই তারা অজর্ন করেছে ফেডারেশন কাপের রানাসর্আপ আর স্বাধীনতা কাপের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার তকমা। এবার লক্ষ্য লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া, যেখানে তাদের প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী ঢাকা আবাহনী। দুদার্ন্ত খেলে সেই আবাহনীর সঙ্গে লিগের প্রথম সাক্ষাৎটা স্মরণীয় করেই রাখল বসুন্ধরা। নীলফামারীতে দুই দলই খেলতে গেছে ঢাকা থেকে। তাই হোম ভেন্যু হলেও দুই দলের কাছে ম্যাচটা একই রকম হবে বলেই মনে করেছিলেন আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু। কিন্তু হোম ম্যাচের সুবিধাটা দারুণভাবেই কাজে লাগাল বসুন্ধরা। ম্যাচের স্কোর লাইনই বলে দেয়, নিজেদের ভেন্যুতে কতটা আত্মবিশ্বাসী ছিল দলটি। প্রথমাধের্ অবশ্য গোলমুখ খোলা হয়নি। তবে আক্রমণের পিঠে আক্রমণ হয়েছে বেশ। সেটা যেমন বসুন্ধরার তরফ থেকে, তেমনটি ঢাকা আবাহনীর তরফ থেকেও। ৪৩ মিনিটে তো পেনাল্টিও আদায় করে নিয়েছিল ঐতিহ্যবাহী দলটি। কিন্তু তা থেকে গোল করতে পারেননি সানডে চিজোবা। এভাবে সুযোগ হাতছাড়া করার মাশুল আবাহনীকে দিতে হয়েছে দ্বিতীয়াধের্র শুরুতেই। ৪৬ মিনিটেই অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার নাসিরুদ্দিন চৌধুরীর গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা (১-০)। এরপর ৬০ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় স্বাগতিকরা। আবাহনীর বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলকে বোকা বানিয়ে গোল করেন তরুণ স্ট্রাইকার মতিন মিয়া (২-০)। এর ৯ মিনিট পর আবারও গোলউৎসব বসুন্ধরার। এবারের গোলদাতা কোস্টারিকার হয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলে আসা ড্যানিয়েল কলিন্ড্রেস। আবাহনীর ডিফেন্ডার মামুন মিয়ার কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে অসাধারণ এক গোল করেছেন তিনি। এতেই বড় জয়ের ষোলকলা পূণর্, পূণর্ আবাহনীর হারের আনুষ্ঠানিকতাও। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যা ৭টায় রহমতগঞ্জের মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম আবাহনী। এর আগে দুপুর ৩টায় টিম বিজেএমসি আর সাইফ স্পোটির্ংয়ের ম্যাচটি হবে নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে।