৩৩তম হাফ সেঞ্চুরির দিনে সাকিবের নতুন মাইলফলক

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বল আর ব্যাট দুই জায়গাতেই নিজের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়ে থাকেন প্রতিনিয়ত। দলে তার ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সাকিব আল হাসান শুধু দেশেরই সেরা নন, বিশ্বেরই অন্যতম সেরা ক্রিকেটারদের একজন। দেশের ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বল এবং ব্যাট হাতে তার রয়েছে অসংখ্য রেকর্ড। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাটেই অলরাউন্ডারর্ যাংকিংয়ে শীর্ষে ওঠা সাকিব আল হাসান এবার দেশের হয়ে পৌঁছালেন অনন্য একটি রেকর্ডে। তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে অনন্য এক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সাকিব আল হাসান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে তিনি প্রবেশ করেছেন ৭ হাজার রানের ঘরে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৩তম ফিফটি হাঁকিয়েছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। অর্ধশতক পূর্ণ করতে তার খেলতে হয়েছে ৬৫ বল। কার্টিস ক্যাম্ফারের ওভারে দৌড়ে এক রান নিয়ে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সাকিব। এই ক্লাবে ঢুকতে সাকিবের খেলতে হয়েছে ২২৮ ম্যাচ ও ২১৬ ইনিংস। তবে আক্ষেপ রয়ে গেল সেঞ্চুরি না করার। চতুর্থ উইকেটে দলীয় ২১৬ রানের মাথায় ৯টি চারের সাহায্যে ৮৯ বল মোকাবিলা করে ৯৩ রানে সাজঘরে ফিরেছেন সাকিব। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হাফসেঞ্চুরি করার ফলে টানা তিন ম্যাচে ফিফটি হাঁকিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। সবশেষ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। প্রথম ওয়ানডেতে তিনি মাত্র ৮ রান করেছিলেন। তবে পরের দুই ম্যাচে দলকে যথাক্রমে ৫৮ ও ৭৫ রানের ঝলমলে ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন তিনি। এবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ফিফটি তুলে নিলেন এই তারকা। শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে মাঠে নামার আগে ৭ হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশ করতে সাকিবের প্রয়োজন ছিল মাত্র ২৪ রান। ২১৫ ইনিংসে ৬ হাজার ৯৭৬ রান নামের পাশে রেখে আইরিশদের বিপক্ষে ইনিংসের দশম ওভারে ব্যাট করতে নামেন টাইগার অলরাউন্ডার। এরপর ৩৩ বল মোকাবিলা করে সেই কাঙ্ক্ষিত রান তুলে নেন সাকিব। তাতে তিনি প্রবেশ করেন ৭ হাজার রানের ঘরে। প্র্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে সবার আগে ৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন তামিম ইকবাল। তিনি অবশ্য পেরিয়ে গেছেন ৮ হাজার রানের ঘরও। এর আগে ৬ হাজার ৯৭৬ রান করতে সাকিব সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ৯ ইনিংসে, আর হাফসেঞ্চুরি করেছেন ৫২ বার। সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরির হিসাবে বাংলাদেশিদের মধ্যে তার চেয়ে এগিয়ে কেবল তামিম। ওয়ানডে অধিনায়ক শতক ছুঁয়েছেন ১৪ বার, আর হাফসেঞ্চুরি ৫৫ বার। সাকিবের পরই হাফসেঞ্চুরির হিসেবে মুশফিক রয়েছেন, ৪৩টি। তার সেঞ্চুরি সংখ্যা ৮টি। সাত হাজারি ক্লাবে পৌঁছানোর দৌড়ে আছেন আরও এক বাংলাদেশি ক্রিকেটার। ২৪৩ ম্যাচ আর ২২৭ ইনিংসে ৬ হাজার ৯০১ রান নিয়ে সাত হাজারি ক্লাবের দোরগোড়ায় রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিকের পরের স্থানে রয়েছেন আরেক পান্ডব মাহমুদউলস্নাহ রিয়াদ। তিনি ১৯০ ইনিংসে করেছেন ৪ হাজার ৯৫০ রান। এছাড়া মোহাম্মদ আশরাফুল ৩ হাজার ৪৬৮, ইমরুল কায়েস ২ হাজার ৪৩৪, শাহরিয়ার নাফিস ২ হাজার ২০১, হাবিবুল বাশার ২ হাজার ১৬৮, আফতাব আহমেদ ১ হাজার ৯৫৪ ও লিটন দাস ১ হাজার ৯৪৫ রান করেছেন।