ঢাকাকে হারিয়ে শেষ চারে চিটাগং

প্রকাশ | ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
চিটাগং ভাইকিংসের খেলোয়াড়দের এই উচ্ছ¡াস শুধু ঢাকা ডায়নামাইটসকে হারানোর নয়, ষষ্ঠ বিপিএলের শেষ চার নিশ্চিত করারও Ñবিসিবি
অবশেষে নিজেদের আঙিনায় নিজেদের দলের জয় দেখল চট্টগ্রামবাসী। টানা তিন হারের পর চিটাগং ভাইকিংস বুধবার ১১ রানে হারিয়েছে শক্তিধর ঢাকা ডায়নামাইটসকে। ওই জয়েই রংপুর রাইডাসর্ আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পর তৃতীয় দল হিসেবে ষষ্ঠ বিপিএলের শেষ চারে খেলা নিশ্চিত করেছে মুশফিকুর রহিমের দল। দারুণ লড়েও ঢাকার টানা চতুথর্ পরাজয় এড়াতে পারেননি সাকিব আল হাসান। চিটাগংয়ের ১৭৪ রানের জবাবে ১৬৩ রানেই থামে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। ১১ ম্যাচে সপ্তম জয় পাওয়া চিটাগংয়ের পয়েন্ট ১৪। শেষ চার নিশ্চিত করা রংপুর আর কুমিল্লারও সমান ১৪ পয়েন্ট। ১০ ম্যাচের পাঁচটিতে হারা ঢাকার পয়েন্ট ১০। শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা তাই বেশ ভালোভাবেই টিকে আছে তাদের। দলটির রানরেট বেশ ভালো, শেষ দুই ম্যাচের একটিতে জিতলেই হয়তো পরের পবের্ উতরে যাবে সাকিবের দল। কিন্তু দোদর্Ð প্রতাপ দেখিয়ে এবারের আসর শুরুর পর শেষবেলায় এভাবে ধুঁকতে হবে, সেটা ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি তারা। চিটাগংয়ের কাছে এদিন ঢাকা হেরে গেলেও লড়াইটা হয়েছে জমজমাট। ম্যাচসেরা ক্যামেরুন ডেলপোটর্ ৭১ রানের ইনিংসে গড়লেন দলের চ্যালেঞ্জিং পুঁজির ভিত। দারুণ ব্যাটিংয়ে তাকে সঙ্গ দিলেন মুশফিক। টানা দুই বলে তাদের ফেরালেন আন্দ্রে রাসেল, পরের বলে দাসুন শানাকাকে আউট করে আন্দ্রে রাসেল তুলে নিলেন চলতি বিপিএলের তৃতীয় হ্যাটট্রিক। এরপর দলপতি সাকিবের সঙ্গে ব্যাট হাতেও ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার চেষ্টা করেছেন দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়ার, পারেননি। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ শাহজাদের সঙ্গে ৫ ওভার ২ বল স্থায়ী ৪২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দেন ডেলপোটর্। ১৫ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ২১ রান করা শাহজাদকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সুনিল নারিন। এরপর ইয়াসির আলীর সঙ্গে জুটি গড়ে দলের খাতায় ৪৬ রান যোগ করেন ডেলপোটর্। তবে চিটাগংয়ের ইনিংসে সব থেকে গুরুত্বপূণর্ জুটিটা দলপতি মুশফিক আর ডেলপোটের্র। এই জুটির ৭৯ রানই চ্যালেঞ্জিং পুঁজি এনে দেয় চিটাগংকে। ৪টি চার আর ২টি ছক্কায় ২৪ বলে ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন মুশফিক। ডেলপোটর্ ৫৭ বলে চারটি ছক্কা এবং পাঁচটি চারে করেন ৭১ রান। ঢাকার বোলার রাসেল ৩ উইকেট নেন ৩৮ রানে। হ্যাটট্রিকের ওই তিনটি উইকেটই শেষ ওভারে পাওয়া। টি২০ ক্রিকেটে তৃতীয় হ্যাটট্রিক পেলেন ক্যারিবীয় পেসার। ক্রিকেটের এই সংস্করণে তিনটি করে হ্যাটট্রিক আছে আর কেবল দুজনেরÑ ভারতীয় লেগস্পিনার অমিত মিশ্র আর অস্ট্রেলিয়ান পেসার অ্যান্ড্রু টাইয়ের। রান তাড়ায় শুরুটা ভালো ছিল না ঢাকার। ২৩ রানের মধ্যে ফিরে যান টপ অডাের্রর তিন ব্যাটসম্যান। এরপর নুরুল হাসান সোহানকে (৩৩) নিয়ে ৫০ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন সাকিব। জুটি ভাঙেন ডেলপোটর্। এর পরের বলেই রানআউট কায়রন পোলাডর্। তবুও ঢাকা লড়ে গেছে সাকিব আর রাসেলের ব্যাটে। তাদের ৬৬ রানের জুটিতে ম্যাচে দারুণভাবে ফিরে এসেছিল সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু ২৩ বলে ৩৯ রান করে রাসেল থামতেই আবার ব্যাটিংধস। সময়ের দাবি মেটাতে পারেননি শুভাগত, অ্যান্ড্রু বিøচ, মাহমুদুল হাসানরা। শানাকার ¯েøায়ারে নাঈম হাসানকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন আশা হয়ে টিকে থাকা সাকিব। ৪২ বলে খেলা ঢাকা অধিনায়কের ৫৩ রানের ইনিংস গড়া ছয়টি চারে। সংক্ষিপ্ত স্কোর চিটাগং ভাইকিংস: ২০ ওভারে ১৭৪/৫ (শাহজাদ ২১, ডেলপোটর্ ৭১, ইয়াসির ১৯, মুশফিক ৪৩, রাজা ৬*, মোসাদ্দেক ১*; রাসেল ৩/৩৮, নারিন ২/২০) ঢাকা ডায়নামাইটস: ২০ ওভারে ১৬৩/৯ (মিজানুর ১১, সাকিব ৫৩, নুরুল ৩৩, রাসেল ৩৯; আবু জায়েদ ৩/২৫, নাঈম ১/৩৭, ডেলপোটর্ ১/৩১, শানাকা ২/৩৪) ফল : চিটাগং ভাইকিংস ১১ রানে জয়ী ম্যাচসেরা : ক্যামেরুন ডেলপোটর্