ম্যানসিটির হার ম্যানইউর ড্র

প্রকাশ | ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আবারও হেঁাচট খেল ম্যানচেস্টার সিটি। সুদীঘর্ ১৩ বছর যে দলটির বিপক্ষে তারা ছিল অজেয়, মঙ্গলবার রাতে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও সেই নিউক্যাসলের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে তারা। ম্যানচেস্টারের আরেক ক্লাব ইউনাইটেডও দেখছিল পরাজয়ের চোখ রাঙানি। দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও শেষ পঁাচ মিনিটে নাটকীয় প্রত্যাবতের্ন বানির্লর সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে তারা। তবে কাডির্ফ সিটির বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে আসের্নাল। চাকরিচ্যুত হোসে মরিনহোর জায়গা নিয়ে ম্যানইউকে রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছেন ওলে গুনার সুলশার। তার অধীনে আগের আটটি ম্যাচেই জিতেছে ইংলিশ ক্লাবটি। তবে মঙ্গলবার সংখ্যাটাকে নয়ে উন্নীত করতে পারেনি তারা। ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল বলেই পরাজয় দেখতে হয়নি রেড ডেভিলসদের। গোলশূন্য প্রথমাধের্র পর ৫১ মিনিটে বানের্সর গোলে এগিয়ে যায় বানির্ল। এরপর ৮১ মিনিটে উড গোল করলে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া ম্যানইউর পরাজয়টাকে মনে হচ্ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু পঁাচ মিনিটের ব্যবধানে দৃশ্যপট পাল্টে গেল। ৮৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমান পল পগবা। এরপর ম্যাচের ইনজুরি সময়ে (৯২ মিটিন) লিনডেলফ গোল করে ম্যানইউকে নিশ্চিত পরাজয়ের হাত থেকে রক্ষা করেন। এই ড্রয়ে ২৪ খেলায় ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানেই রইল ম্যানইউ। নিউক্যাসলের কাছে অপ্রত্যাশিত হারের পরও অবশ্য ২৪ খেলায় ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকছে ম্যানসিটি। তবে এই পরাজয় তাদের শিরোপা ধরে রাখার পথটাকে আরও কঠিন করে তুলল। রক্ষণের দুটো ভুল শীষের্ থাকা লিভারপুলের (২৩ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট) সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান ১-এ নামিয়ে আনার সম্ভাবনা শেষ করে দেয়। ২০০৫ সালের পর থেকে ২২টি লিগ ম্যাচে নিউক্যাসলের বিপক্ষে অপরাজিত ছিল ম্যানসিটি। এদিনও শুরুটা দারুণ ছিল গাদির্ওলার দলের। ম্যাচ শুরু হতে না হতেই রাহিম স্টারলিংয়ের ক্রসে ডেভিড সিলভার হেড আটকাতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন নিউক্যাসল গোলরক্ষক। ফঁাকায় বল পেয়ে যান সাজির্ও আগুয়েরো। বঁা পায়ের জোরালো শটের্ লক্ষ্যভেদ করে ম্যানসিটিকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন আজের্ন্টাইন স্ট্রাইকার। এরপর আরও একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন আগুয়েরো। তবে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ম্যানসিটি। কিন্তু বিরতির পর পাল্টে যায় দৃশ্যপট। ৬৬ মিনিটে সমতায় ফেরে নিউক্যাসল। ১২ গজ দূর থেকে সলেমন রনডন জোরালো শটে গোল করেন (১-১)। এরপর ৭৮ মিনিটে শন লংস্টাফ ম্যানসিটির বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় ম্যাগপাইরা। ম্যাট রিচি সফল স্পটকিকে স্কোরলাইন ২-১ বানিয়ে দেন। এরপর বাকি সময়টায় স্কোরলাইনে আর পরিবতর্ন আনতে পারেনি কোনো দল।