ক্লান্তি ছুঁতে পারবে না ক্রোয়েশিয়াকে

আমাদের এখন অনুশীলনের দরকার নেই, দরকার বিশ্রামের। আমাদের কিছু সমস্যা যদিও আছে, আশা করি আজ (শনিবার) সেগুলো কাটিয়ে উঠব এবং সবাই খেলার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠবে। যদি না হয়, তবে আমাদের বেঞ্চের খেলোয়াড়রা তৈরি আছে। আমি এসব নিয়ে চিন্তা করছি না Ñজালাতকো দালিচ

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
অনুশীলনে ক্রোয়েশিয়া ফুটবল দলে তিন গুরুত্বপূণর্ সদস্য। আজ ফ্রান্সের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ফাইনালে মাঠে নামছেন তারা Ñওয়েবসাইট
টানা তিনটি ম্যাচে ১২০ মিনিট করে খেলতে হয়েছে ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলারদের। আজ ফাইনালে নামার আগে বিশ্রামের জন্যও প্রতিপক্ষ ফ্রান্সের চেয়ে এক দিন কম সময় পেয়েছে তারা। মনে তাই একটা প্রশ্ন উদয় হতেই পারেÑ লুকা মদ্রিচ-ইভান রাকিতিচরা ফিট আছেন তো? কোচ জালাতকো দালিচ জানিয়েছেন, দলের খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন নন তিনি। প্রতিপক্ষ ফ্রান্সের মাঝমাঠের খেলোয়াড় বেøইস মাতুইদিই মনে করছেন, আজকের ফাইনালে ক্লান্তি ছুঁতে পারবে না মদ্রিচদের। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর ক্রোয়েশিয়া দলের কয়েকজনের ফিটনেস ঝুঁকির কথা শোনা গিয়েছিল। তবে শনিবার কোচ দালিচ জানিয়েছেন, ফাইনালে তার দলের জন্য ফিটনেস কোনো সমস্যা হয়ে দঁাড়াবে না, ‘এটা বিশ্বকাপের ফাইনাল। দলের খেলোয়াড়রা জানে এই ম্যাচের মাহাত্ম্য। আমাদের মাঝে সম্পকর্টা এত ভালো যে কেউ যদি ফিট না থাকে তবে তা সেটা আমাদের জানাবে। আমাদের এখন অনুশীলনের দরকার নেই, দরকার বিশ্রামের। আমাদের কিছু সমস্যা যদিও আছে, আশা করি আজ (শনিবার) সেগুলো কাটিয়ে উঠব এবং সবাই খেলার জন্য প্রস্তত হয়ে উঠবে। যদি না হয়, তবে আমাদের বেঞ্চের খেলোয়াড়রা তৈরি আছে। আমি এসব নিয়ে চিন্তা করছি না।’ দালিচের চিন্তা না করারই কথা। রাশিয়া বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলাররা যেন মেশিন হয়ে উঠেছেন। ক্লান্তি কী জিনিস, সেটা বোধ হয় বোধই হচ্ছে না তাদের। শুরুর বঁাশি বাজার পর থেকে একদম শেষ পযর্ন্ত সমান গতিতে খেলতে থাকেন মদ্রিচরা। শেষের দিকে অন্য দলের খেলোয়াড়রা কিছুটা মন্থর হয়ে আসেন। কিন্তু তারা আরও গতি বাড়ান। বিষয়টি রীতিমতো অবাক করেছে ফরাসি তারকা মাতুইদিকে। ফাইনাল পযর্ন্ত আসতে কোনো ম্যাচেই অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়নি ফ্রান্সকে। সবগুলো ৯০ মিনিটের মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। তাই বলে আজ ক্রোয়েশিয়ার চেয়ে শারীরিক দিক দিয়ে এগিয়ে থাকবেন তারা, এমনটা মানতে নারাজ মাতুইদি। অতিরিক্ত ৯০ মিনিট খেলা মদ্রিচদের ক্লান্তি ছুঁতে পারবে না বলেই মনে করছেন তিনি, ‘আমি মনে করি না ক্লান্তি ফ্যাক্টর হয়ে দঁাড়াবে। গত ম্যাচে (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে) তাদের পারফরম্যান্স দেখে মনে হচ্ছিল তারা যেন তাদের প্রথম ম্যাচ খেলছে! এটা অবাক করার মতো ব্যাপার। তারা বিশ্বকাপে ফাইনালে জায়গা করে নেয়া দল, তাদের অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রয়েছে। এই ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হয়েই নামবে দলটি। আমি মনে করি না, অতিরিক্ত সময় কিংবা পেনাল্টি ক্রোয়েশিয়ার জন্য কোনো প্রতিবন্ধকতা হয়ে দঁাড়াবে।’ গত তিনটি বিশ্বকাপের ফাইনাল গড়িয়েছিল অতিরিক্ত সময়ে। এবারও যদি তাই হয়? মাতুইদি জানিয়েছেন, অতিরিক্ত সময় হোক আর টাইব্রেকার, সবকিছুর জন্যই প্রস্তুত তারা। যদিও ২০০৬ সালের ফাইনালে ইতালির বিপক্ষে এই ট্রাইব্রেকারেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ফ্রান্সের। এই প্রসঙ্গে মাতুইদি বলেন, ‘আমরা ম্যাচটা জেতার জন্য সবদিক থেকেই প্রস্তুত আছি, সেটা অতিরিক্ত সময়েই যাক কিংবা পেনাল্টিতে গড়াক।’ মাতুইদির বিশ্বাস, ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলাদের ছাপিয়ে বিশ্বকাপ জিততে পারবেন তারা, ‘তাদের (ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়) ওপর থেকে মনোযোগ সারানো যাবে না। কারণ, তারা প্রতিভাস¤পন্ন খেলোয়াড়। তবে ফ্রান্স দলেও এমন খেলোয়াড়ের অভাব নেই। কাপটা যেন আমাদের খুব কাছে, চাইলেই ছুঁতে পারি। কিন্তু এখনও অনেক কাজ বাকি।’