৫ হবে নাকি ৯ হবে ক্রোয়েশিয়া?

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ক্রোয়েশিয়া। শিরোপ জিতলে তারা নবম দল হিসেবে নাম লেখাবে বিশ্বকাপজয়ী দেশগুলোর কাতারে। আর জিততে না পারলে? পঞ্চম দল হিসেবে তারা যোগ দেবে আগের চারটি দেশের দীঘর্শ্বাসের কাতারে। এর আগে না পারা দেশ চারটি হলো হাঙ্গেরি, সুইডেন, চেক প্রজাতন্ত্র ও হল্যান্ড। ক্রোয়েশিয়া কি পঞ্চম দল হিসেবে যোগ দেবে এই চার দীঘর্শ্বাসের কাতারে? নাকি নতুন পাতা জুড়বে আগের আট দলের আনন্দ কাব্যে? জবাবটা জানতে হলে অপেক্ষায় থাকতে হবে রোববারের ফাইনাল পযর্ন্ত। দীঘর্শ্বাস? তা বটে। ১৯৩৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল সাবেক চেকো¯েøাভাকিয়া (বতর্মানে চেক প্রজাতন্ত্র)। কিন্তু ইতালির কাছে হেরে বিশ্বকাপ ট্রফি ছুঁয়ে দেখা হয়নি মধ্য ইউরোপের দেশটির। ২৮ বছর পর আরেকবার ফাইনালে উঠেও পারেনি তারা। হারতে হয়েছিল গারিঞ্চা-ভাভাদের ব্রাজিলের কাছে। হাঙ্গেরির খেরোখাতায়ও একই পোড়া দাগ। ১৯৩৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইতালির কাছে হারের ১৬ বছর পর ইতিহাসের অন্যতম সেরা দল নিয়ে ফাইনালে উঠেছিল হাঙ্গেরি। সেই যে ফেরেঙ্ক পুসকাস, ন্যান্দর হিদেকুটি আর স্যান্দর ককসিসরা। কিন্তু হাঙ্গেরির ভাগ্য পাল্টায়নি। তৎকালীন পশ্চিম জামাির্ন (বতর্মানে শুধু জামাির্ন) তা হতে দেয়নি। একই কথা খাটে হল্যান্ডের ক্ষেত্রেও। ডাচরা এবার বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পবের্ না থাকলেও তাদের খাটো চোখে দেখার উপায় নেই। বিশ্বকাপের ইতিহাসেই অন্যতম সেরা একটি দল উপহার দিয়েছে ‘টোটাল ফুটবল’-এর জনকরা। সেটা ১৯৭৪ বিশ্বকাপে; ইয়োহান ক্রুয়েফ, অঁরি হান, নেসকেন্সরা ফাইনালে উঠলেও হারতে হয় পশ্চিম জামাির্নর কাছে। পরের টুনাের্মন্টেও ফাইনালে উঠেছিল ডাচরা। কিন্তু ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি। ৩২ বছর পর ২০১০ টুনাের্মন্টে রোবেন-স্নেইডাররা আবারও ফাইনালে উঠলেও বদলায়নি ডাচদের ভাগ্য। যেমনটা পারেনি সুইডেনও। ঘরের মাঠে ১৯৫৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে তাদের হারতে হয়েছে পেলে-গারিঞ্চাদের কাছে। আর তাই রোববারের ফাইনালে তাহলে কী হবে? ফাইনালে উঠেও শিরোপা জিততে না পারা এই চার দলের সঙ্গে কি ক্রোয়েশিয়ার নামও যোগ হবে? প্রতিপক্ষ যেহেতু ফ্রান্সের মতো শক্তিশালী দল। তাই সম্ভাবনা থাকলেও ফাইনাল ম্যাচের শেষ বঁাশি বাজার আগ পযর্ন্ত তা বলা কঠিন। আবার ঘটতে পারে উল্টোটাও। বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে এ পযর্ন্ত শিরোপার দেখা পেয়েছে এই ব্যথর্ এই চার দল। এর দ্বিগুণসংখ্যক দল, মানে আটটি দল-ব্রাজিল, জামাির্ন, ইতালি, আজেির্ন্টনা, উরুগুয়ে, ফ্রান্স, স্পেন ও ইংল্যান্ড। নবম দল হিসেবে এই তালিকায় নাম লেখাতে ফাইনালে মদরিচ-রাকিতিচদের কিন্তু নিজেকে নিংড়ে দিতে হবে। তারা যে সে কাজটি করতে প্রস্তুত, তা বলাই বাহুল্য। বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ তো আর সবসময় আসে না!