আবাহনীকে জেতালেন তপু

প্রকাশ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ঢাকা আবাহনীকে জয় এনে দেয়া গোলের পর তপু বমের্ণর উচ্ছ¡াস Ñবাফুফে
পেশাদার লিগের বতর্মান চ্যাম্পিয়ন তারা। পয়েন্ট টেবিলের শীষর্স্থানে তো তাদেরই থাকার কথা। কিন্তু সেই স্থানটি পেতে ঢাকা আবাহনীকে অপেক্ষা করতে হলো পঞ্চম রাউন্ড পযর্ন্ত। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে তপু বমের্ণর একমাত্র গোলে টিম বিজেএমসিকে হারিয়েছে তারা। ওই জয়ে ৫ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট হলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। পাথর্ক্য গড়ে দিচ্ছেন বিদেশি ফুটবলাররা, কয়েক মৌসুম ধরেই ঘরোয়া ফুটবলে দেখা যাচ্ছে এই দৃশ্য। তবে সুখের খবর হলো, এবার বিদেশিদের সঙ্গে চমক দেখাচ্ছেন স্থানীয়রাও। ঢাকা আবাহনীই যেমন সানডে-ব্যালফোটের্দর সঙ্গে ওয়ালী-তপুদের কঁাধে ভর করে এগিয়ে চলছে। এদিন ম্যাচের ২৭ মিনিটে ম্যাচে লিড নেয় ঢাকা আবাহনী। মাঠের প্রায় অপর প্রান্ত থেকে ডিফেন্ডার ওয়ালী ফয়সালের লম্বা ফ্রি কিক পোস্টের কাছ থেকে লাফিয়ে উঠে হেডে জালে পাঠান একই পজিশনে খেলা তপু বমর্ণ (১-০)। ৩৪ মিনিটে বঁাপ্রান্ত থেকে বল পাঠিয়েছিলেন সানডে চিজোবা। কিন্তু বক্সে জটলার মধ্যে সতীথর্ হাইতিয়ান ফরোয়াডর্ ব্যালফোটর্ বল বুঝে নেয়ার আগেই তা ক্লিয়ার করেন বিজেএমসির ডিফেন্ডার। প্রথমাধের্ ম্যাচে ফিরতে পারেনি টিম বিজেএমসি। অপরদিকে আবাহনীও আর কোনো গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়াধের্র শুরু থেকে গোল পেতে মরিয়া পেশাদার লিগ চ্যাম্পিয়নরা চাপ সৃষ্টি করতে চেষ্টা করে বিজেএমসি শিবিরে। ৫৭ মিনিটে ডান প্রান্ত ধরে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন আবাহনীর এক ফুটবলার। বক্সে অপেক্ষাতেই ছিলেন সানডে। উড়ে আসা বলে মাথা ছুঁইয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু কাজের কাজটি করতে পারেননি। ফিরতি বলে ফিলস ব্যালফোটর্ একবার চেষ্টা করেন কিন্তু তিনিও ব্যথর্ হন। ৬২ মিনিটে বক্সের একটু দূরেই বল পেয়ে ডান পায়ের জোরালো শট করেন আবাহনীর ফরোয়াডর্ নাবীব নেওয়াজ জীবন। কিন্তু বল খুব সহজেই গ্রিপে নেন বিজেএমসির গোলরক্ষক। ৮০ এবং ৮১ মিনিটে দুটি কনার্র আদায় করে নেয় আকাশি-নীল জাসির্ধারীরা। কিন্তু গোলের সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। শেষ পযর্ন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ঢাকা আবাহনীকে। প্রিমিয়ার লিগে আজ বিকেল ৩টায় ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামে সাইফ স্পোটির্ং খেলবে শেখ রাসেলের বিপক্ষে। অন্যদিকে বিকাল ৪টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ব্রাদাসর্ ইউনিয়নের প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম আবাহনী।