দেশি কোচদের ফাইনাল

প্রকাশ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বিপিএলে বিদেশি কোচের ছড়াছড়ি। সাত ফ্র্যাঞ্চাইজিতে বিদেশি কোচের সংখ্যা পঁাচ। মাত্র দুটি দলে হেড কোচ হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশের কেউ। একজন ঢাকা ডায়নামাইটসের খালেদ মাহমুদ সুজন, অন্যজন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তাদের দলই খেলবে আজকের ফাইনালে। প্রতি আসরেই চড়ামূল্যে নিয়ে আসা হয় বিদেশি কোচ। কিন্তু টম মুডি (রংপুর রাইডাসর্), সাইমন হেলমট (চিটাগং ভাইকিংস), ওয়াকার ইউনুস (সিলেট সিক্সাসর্), মাহেলা জয়াবধের্ন (খুলনা টাইটান্স), ল্যান্স ক্লুজনারদের (রাজশাহী কিংস) মতো খ্যাতিমান কোচ এবার যা করতে পারেননি, সেটাই করে দেখিয়েছেন স্থানীয় দুই কোচ। খালেদ মাহমুদের ঢাকা পরপর তিন আসরে উঠেছে বিপিএলের ফাইনালে। সালাউদ্দিন কুমিল্লাকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন ২০১৫ সালে। এবার তার দল আবারও দেখছে শিরোপার স্বপ্ন। এমন সাফল্যের পর ভবিষ্যতে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা দেশি কোচদের দিকে তাকাবেন এমনটা আশা করছেন সালাউদ্দিন। স্থানীয়দের সুযোগ বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকষর্ণ করেছেন তিনি, ‘দিনকে দিন বিপিএলে দেশি কোচরা হারিয়ে যাচ্ছিল। সহকারী কোচ যারা ছিল, তাদেরও কাজের পরিধি কমে যাচ্ছিল। আমার মনে হয় যেহেতু আমরা দুইজন ফাইনালিস্ট, ফ্র্যাঞ্চাইজি হয়ত পরবতীের্ত চিন্তা করবে আমাদের দেশি কোচদের আরেকটু সুযোগ দেয়ার ব্যাপারে।’ সালাউদ্দিন আরও বলেছেন, ‘আমরা ভালো করলে আমাদের দেশি কোচদের অনেক লাভ। আমি সবসময় চাই আমাদের কোচরা যেন ভালো জায়গায় কাজ করে এবং শিখতে পারে। অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজিতে দেশি সহকারী কোচও নেই। যদি দেশি কোচ থাকতো, তাহলে তাদের কাছ থেকে কিছু শিখতে পারত। পরবতীের্ত হয়ত চিন্তা করবে তারা, সুযোগ দিলে দেশি কোচরাও ভালো করতে পারে।’ বিসিবির দলগুলাতেও দেশি কোচদের গুরুত্ব বাড়ানোর কথা বলেছেন সালাউদ্দিন। সুযোগ না পেলে কীভাবে শিখবে সেই প্রশ্নও তার, ‘জাতীয় দলের ব্যাপারটা একটু আলাদা। কারণ এখানে অনেক বেশি চাপ থাকে। তারপরও আস্তে আস্তে হয়ত স্থানীয় কোচরা চাপ নিতে পারবে।’ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের পদত্যাগের পর ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজে খালেদ মাহমুদই যেমন কোচের দায়িত্ব সামলেছেন। ফাইনালের আগে সেই খালেদ মাহমুদকে এগিয়ে রাখলেন সালাউদ্দিন, ‘এভাবে (তুলনায়) দেখার কোনো সুযোগ নেই। কারণ সুজন ভাই অনেক বড় মাপের কোচ। তার অনেক কোয়ালিটি আছে। তিনি অনেক কিছু দেখতে পারেন। আমি হয়ত সে তুলনায় নই। নিজেকে কখনো তুলনা করি না এই জায়গাটায়। আমার মনে হয় এই জিনিসটা না বললেই আমার জন্য ভালো।’