জয়ে ফিরল চট্টগ্রাম আবাহনী

প্রকাশ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
বল দখলের লড়াইয়ে শেখ রাসেল আর সাইফ স্পোটির্ং ক্লাবের দুই খেলোয়াড়। শুক্রবার ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটিতে ১-১ গোলে ড্র করেছে তারা Ñবাফুফে
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে এবার জয় দিয়ে যাত্রা করলেও পরের তিন ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী ছিল জয়হীন। ওই তিন ম্যাচের হতাশা কাটিয়ে শুক্রবার সেই দলটিই আবার জয়ে ফিরেছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ব্রাদাসর্ ইউনিয়নকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে তারা। এদিকে, ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত লিগের আরেক ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করেছে শেখ রাসেল আর সাইফ স্পোটির্ং ক্লাব। আগের তিন ম্যাচের প্রতিটিতেই জয় পাওয়া শেখ রাসেল এদিন মাঠে নামে টানা চতুথর্ জয়ের খেঁাজে। লক্ষ্যপথেই ছিল দলটি। কিন্তু শেষের নাটকীয়তায় লক্ষ্যচ্যুত তারা। গোলশূন্য প্রথমাধের্র পর ৭৯ মিনিটে আজিজভের গোলে এগিয়ে যাওয়া শেখ রাসেল জয়ের স্বপ্নই দেখছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন পঁাচ মিনিটের বেশি দীঘর্ হয়নি। ৮৪ মিনিটে দলের সবর্নাশ করেন ইয়াসিন। প্রতিপক্ষ সাইফের আক্রমণ সামাল দিতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন শেখ রাসেলের এই ডিফেন্ডার। এদিকে, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটেই লিড নেয় চট্টগ্রাম আবাহনী। সেটি প্রতিপক্ষের ভুলে। চট্টগ্রাম আবাহনীর মিডফিল্ডার কৌশিক বড়–য়ার কনাের্র উড়ন্ত বল বিপদমুক্ত করতে লাফিয়ে হেড করেন ব্রাদাসের্র মিডফিল্ডার শফিকুর ইসলাম শফি। কিন্তু তার নেয়া হেডের বলটি দুভার্গ্যবশত জড়িয়ে যায় নিজেদের জালে (১-০)। অবশ্য ৩৩ মিনিটেই হতাশাটা কাটিয়ে ওঠে ব্রাদাসর্, ম্যাচে সমতা আনে গোপীবাগের দলটি। চট্টগ্রাম আবাহনীর সীমানায় ফ্রিকিক পায় ব্রাদাসর্। ডিফেন্ডার খান মো. তারা উঁচু সেন্টার ফেলেন বক্সের ভেতরে। সেখানে জটলার মধ্যে বল বিপদমুক্ত করতে দৌড়ে সামনে এগিয়ে আসেন গোলরক্ষক মোহাম্মদ নেহাল। কিন্তু তার আগেই লাফিয়ে উঠে হেড করেন ব্রাদাসের্র ব্রাজিলিয়ান ফরোয়াডর্ ভিয়েরা লিমা লিওনাদোর্। তার নেয়া হেড গোললাইন অতিক্রম করার ঠিক আগ মুহূতের্ই দৌড়ে গিয়ে তাতে পা চালিয়ে বল জালে পাঠান মিডফিল্ডার মান্নাফ রাব্বি (১-১)। দ্বিতীয়াধের্র শুরুর দিকেই আবারো গোল করে নিজেদের এগিয়ে নেয় চট্টলার দলটি। ৪৬ মিনিটে নাইজিরিয়ান ফরোয়াডর্ আওয়ালা মাগালানের লম্বা থ্রু পাস পেয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে দুদার্ন্তভাবে ফিনিশ করেন গাম্বিয়ান মিডফিল্ডার মমোদৌ বাহ (২-১)। ৫৬ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে শাহেদ হোসেন ক্রস বাড়ান। তাতে পায়ের সংযোগ ঘটানোর চেষ্টা করেন মাগালান, সফল হননি। তবে ভুল করেননি কৌশিক বড়–য়া। বল পাঠিয়ে দেন ব্রাদাসের্র জালে (৩-১)। ৬৩ মিনিটে আরও একটি নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত হয় চট্টগ্রাম আবাহনী। বঁাপ্রান্ত থেকে বল নিয়ে মমদৌ বাহ যে শটটি নেন তা বারে লেগে ফেরত আসে। পরের মিনিটে নিজেদের ভুলেই এক গোল হজম করে চট্টগ্রাম আবাহনী। সতীথর্র ক্রসে বক্সের ভেতর উড়ন্ত বল পেয়ে লাফিয়ে উঠে হেড করতে যান লিম। তাকে বাধা দিতে একইসঙ্গে লাফিয়ে উঠে হেড করতে যান আবাহনীর নাইজিরিয়ান মুফতা লাওয়াল। কিন্তু বল তার হাতে লেগে যায়। রেফারি আনিসুর রহমান পেনাল্টির নিদের্শ দেন। পেনাল্টি থেকে ডান পায়ের গড়ানো শটে অনায়াসেই গোল করেন ভিয়েরা (৩-২)। ওই গোলের পর ম্যাচে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে ব্রাদাসর্। সমতায় শেষ করার সম্ভাবনাও জাগিয়েছিল দলটি। কিন্তু সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবরূপ দিতে পারেনি নইমুদ্দিনের শিষ্যরা। ফলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম আবাহনী।