ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর শরণে বাফুফে

বঙ্গমাতা অনূধ্বর্-১৯ নারী আন্তজাির্তক গোল্ডকাপ উপলক্ষে কমলাপুর স্টেডিয়াম সংস্কারে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বরাবর লিখিত আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে হবে বঙ্গমাতা অনূধ্বর্-১৯ নারী আন্তজাির্তক গোল্ডকাপ। দেশের ফুটবলে নারীদের জন্য এমন বড় আন্তজাির্তক আসর এবারই প্রথম। আসরের খেলাগুলো হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম আর কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মো. মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। আন্তজাির্তক ভেন্যু হিসেবে বঙ্গবন্ধুতে প্রায় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকলেও কমলাপুর স্টেডিয়ামে তা নেই। আরও সংস্কার প্রয়োজন। অথচ হাতে সময় আছে দু’মাসের মতো। তাই স্টেডিয়াম সংস্কার চেয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর শরণাপন্ন হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় আন্তজাির্তক এই আসরকে সামনে রেখে পুরোদমে অনুশীলনে ব্যস্ত বাংলাদেশের মেয়েরা। স্বাগতিক বাংলাদেশসহ মোট ছয়টি দেশ খেলবে এই টুনাের্মন্টে। ইতোমধ্যেই প্রথম বিদেশি দল হিসেবে এই আসরে খেলার জন্য সম্মতি দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। প্রথম আসর স্মরণীয় করে রাখতে শিরোপাতে চোখ রাখছেন বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। এর আগেই মিয়ানমারে ‘এএফসি অনূধ্বর্-১৬ চ্যাম্পিয়নশীপের দ্বিতীয় রাউন্ড রয়েছে। ২৭ ফেব্রæয়ারি ফিলিপাইনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে যেখানে মিশন শুরু হবে বাংলাদেশের। ওই টুনাের্মন্টটি মেয়েদের আত্মবিশ্বাসের বাড়তি রসদ যোগাবে বঙ্গমাতা গোল্ড কাপে। প্রস্তুতিতে স্বাগতিকরা পিছিয়ে না থাকলেও আন্তজাির্তক টুনাের্মন্ট করার জন্য পুরোপুরি উপযোগী নয় কমলাপুর স্টেডিয়াম। যদিও টাফর্ বসানোর পর সেখানে নিয়মিতই ঘরোয়া এবং আন্তজাির্তক আসর আয়োজন করে আসছে বাফুফে। কিন্তু এতো বড় একটা টুনাের্মন্ট করার জন্য যে সব সুযোগ-সুবিধা থাকা প্রয়োজন তার অনেক কিছুই নেই এই স্টেডিয়ামে। বিষয়গুলো নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (এনএসসি) ধরনা দিয়েছে বাফুফে। কিছু কাজও করেছে এনএসসি। তবে সবটা হয়েছে জোড়াতালি দিয়ে। ফলাফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই আবারও পুরনো রূপে ফিরেছে স্টেডিয়াম। তাই বঙ্গমাতা অনূধ্বর্-১৯ আন্তজাির্তক নারী টুনাের্মন্টের আগে বাধ্য হয়েই ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হয়েছে ফেডারেশন। যত দ্রæত সম্ভব ফ্লাড লাইট, মিডিয়া বক্স, ড্রেসিংরুম এবং গ্যালারির সংস্কার চায় বাফুফে। স্বল্প সময়ে প্রয়োজনীয় সব সংস্কার সম্ভব না হলেও মন্ত্রণালয় থেকে আশ্বাস মিলেছে যথাসম্ভব উন্নয়নের। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, ‘তারা যে চাহিদা দিয়েছে, সেটা দুই মাসের মধ্যে সম্ভব নয়। কেননা কিছু করতে হলে সেটা অনুমোদন ও টেন্ডারে দিতে হয় এবং এটা সময়সাপেক্ষ। তবে যা করা দরকার সেটা করা হবে।’