উল্টো রথে বেলিস-মঈন

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
মঈন আলি
গুরু-শিষ্য তারা। ট্রেভর বেলিস ইংল্যান্ড দলের কোচ, মঈন আলি দলটির তারকা অলরাউন্ডার। ক্রিকেট মাঠে স্ট্যাম্প মাইক ব্যবহার নিয়ে দুজন চেপে বসলেন উল্টো রথে। আপত্তিকর ¯েøজিং বন্ধে মঈন স্ট্যাম্প মাইক খোলা রাখার পক্ষে অবস্থান নিলেও ক্রিকেটারদের স্বাথের্ এটি বন্ধ রাখার আহŸান জানিয়েছেন বেলিস। ক্রিকেটের কুলীন সদস্য অস্ট্রেলিয়া মনে করেÑ ‘¯েøজিং’ একটা শিল্প! প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের মনোসংযোগে চিড় ধরাতে ‘¯েøজিং’কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে সিদ্ধহস্ত তারা। শুধু অস্ট্রেলিয়ানরাই নয়, কম-বেশি ¯েøজিং করে ক্রিকেট খেলুড়ে সব দলই। স্ট্যাম্প মাইক ব্যবহার করেও ¯েøজিং বন্ধ করতে পারেনি আইসিসি। বেফঁাস মন্তব্য করে খেলোয়াড়দের দÐিত হওয়ার ঘটনা ঘটছে আকছার। স্ট্যাম্প মাইক ব্যবহারে সংখ্যাটা বেড়েছে আরও। সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার আন্দিলে ফেলুকোয়োকে বণর্বাদমূলক মন্তব্য করে শাস্তির সম্মুখীন হয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। সেন্ট লুসিয়ায় সিরিজের তৃতীয় টেস্টে শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ইংল্যান্ড দলপতি জো রুটকে ¯েøজিং করতে গিয়ে ‘সমকামী’ বলে ফেঁসে গেছেন। সরফরাজের মতো তার উক্তি স্ট্যাম্প মাইকে ধরা পড়ায় শাস্তি পেতে হয়েছে ক্যারিবীয় পেসারকেও। তাই কেউ কেউ বলছেন, ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটে স্ট্যাম্প মাইক ব্যবহার না করাই ভালো। ইংল্যান্ডের কোচ বেলিস যেমন বললেন, ‘খেলোয়াড়দের রক্ষা করার জন্য স্ট্যাম্প মাইক বন্ধ রাখা উচিত।’ কিন্তু স্ট্যাম্প মাইক বন্ধ রাখলে মজার মজার ¯েøজিংগুলো আর রেকডর্ থাকবে না। মঈনের আপত্তিটা ঠিক এখানেই। তার মতে, খেলোয়াড়দের মধ্যে যেসব উত্তেজক বিতর্ক বা ¯েøজিং হয় সেগুলো বেশ আনন্দদায়ক। কিছুদিন আগে শেষ হওয়া অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজে অজি অধিনায়ক টিম পেইন এবং ভারতীয় তরুণ ঋষভ পান্তের মধ্যে কথা কাটাকাটির রেকডর্ শুনে বেশ মজা পেয়েছেন ক্রিকেটভক্তরা। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টিনো বেস্টকে দেয়া ইংলিশ অলরাউন্ডার এন্ড্রু ফ্লিনটফের পরামশ ‘মাইন্ড দ্য উইন্ডো’ দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিল। মঈন তাই বলছেন, ‘আগের স্মরণীয় ঘটনাগুলোর কথা ভাবুন, যদি আমরা সেগুলো রেকডর্ করে রাখতে পারতাম, তাহলে আমরাও এমনটা করতে পারতাম। কোনো কটূক্তি নয়, তবে অবশ্যই মজার। আমরা মানুষকে ক্রিকেটের প্রতি আরও বেশি আগ্রহী করতে চাই। ¯েøজিং করার মধ্যেও একটা আটর্ আছে।’ মঈন মনে করছেন, স্ট্যাম্প মাইক বন্ধ রাখাটা হবে সেইসব খেলোয়াড়দের বঁাচানোর চেষ্টা, যারা ¯েøজিংয়ের অপব্যবহার করেন। তার ভাষ্য, ‘এখন মানুষের ভালো ব্যবহারের সময়। স্ট্যাম্প মাইক বন্ধ রাখা, কেন তাদের নীচু করা?’