বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ

মাশরাফির কণ্ঠে আক্ষেপের সুর

সত্যি বলতে কী এই ম্যাচ থেকে ইতিবাচক তেমন কিছু নেই আমাদের। জিততে হলে দল হিসেবে খেলতে হবে। দুটো ম্যাচে আমরা ২২০ থেকে ২৩০ রান করেছি। লড়াই করতে হলে ২৭০ থেকে ২৮০ রান করতে হবে

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
নেপিয়ার থেকে ক্রাইস্টচাচর্, মাঠ আর কন্ডিশন বদলালেও সেই একই ব্যথর্তার পথ ধরে চলল টিম বাংলাদেশ। সাফল্যের দেখা নেই। প্রথম ওয়াডেতে হারের পরই অজুহাত দঁাড় করাননি মাশরাফি বিন মতুর্জা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে একইভাবে হারের পর ব্যাট হাতে বড় পুঁজি না পাওয়ার আক্ষেপ করেছেন টাইগার অধিনায়ক। সঙ্গে বোলারদের পারফরম্যান্সেও ইতিবাচক তেমন কিছু খুঁজে পাননি তিনি। তার কণ্ঠে ফুটে উঠেছে দল হিসেবে খেলতে না পারার আক্ষেপ। অধিনায়কের চোখ ছিল সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। কিন্তু এখানেও সেই ৮ উইকেটে হার! নিউজিল্যান্ডে জয় সোনার হরিণ হয়েই থাকছে। চ্যালেঞ্জ, লড়াইÑ এমন কোনো শব্দই এই ম্যাচের সঙ্গে যায় না! যা যায় তার নামÑ একতরফা ম্যাচ! সবচেয়ে আশ্চযের্র বিষয় দুই ম্যাচের স্কোরকাডর্। টস। বাংলাদেশের ব্যাটিং। টপঅডার্র ভেঙে পড়া। সেটাকে আবার জোড়াতালি লাগানো। ইনিংস উদ্ধারে নামা সেই একই ব্যাটসম্যান। সবকিছুতেই কি দারুণ মিল! মিল থাকল ছন্দহীন বোলিংয়েও। এতে করে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হেরে গেছে টাইগাররা। সিরিজ হারের হতাশার সঙ্গে ধবলধোলাইয়ের শঙ্কা নিয়ে বাংলাদেশকে যেতে হচ্ছে ডানেডিনে। সেখানেই হবে সিরিজে তৃতীয় তথা শেষ ওয়ানডে। ২০ ফেব্রæয়ারির সেই ম্যাচে হারের লজ্জা এড়ানোর জন্য সফরকারীদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন দল হয়ে খেলা। সে তাগিদই শনিবার দিয়েছেন মাশরাফি। এদিনও হারের পর অজুহাত খেঁাজেননি মাশরাফি। টাইগার অধিনায়ক বলছিলেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই কঠিন একটা দিন ছিল। আমরা শুরুতেই উইকেট হারিয়েছি। পাটর্নারশিপগুলো দুষ্টিকটুভাবে খুব কম রানেই আটকে ছিল। ইনিংসে ৩০-৩২ রানের জুটি হলেও এগুলো যদি ৬০ রানে গিয়ে ঠেকত তাহলে হিসাবটা অন্যরকম হতো। আমাদের টপ অডার্র শক্তভাবে দাঁড়াতে পারেনি, শুধু মিঠুন বেশ ভালো খেলেছে। আর বোলারদের মধ্যে মুস্তাফিজ ভালো করেছে।’ নিউজিল্যান্ডে সাফল্য নেই বাংলাদেশের। এখন পযর্ন্ত দেশটি থেকে জয় নিয়ে ফেরা হয়নি। দৃশ্যপটে বদল আনতে ২৭০-২৮০ রানের পঁুজির খোঁজে ছিলেন মাশরাফি। কিন্তু অধিনায়কের লক্ষ্যটা পূরণ হয়নি। নড়াইল এক্সপ্রেসের কণ্ঠে বাজল হতাশার সুর, ‘সত্যি বলতে কী এই ম্যাচ থেকে ইতিবাচক তেমন কিছু নেই আমাদের। জিততে হলে দল হিসেবে খেলতে হবে। দুটো ম্যাচে আমরা ২২০ থেকে ২৩০ রান করেছি। লড়াই করতে হলে ২৭০ থেকে ২৮০ রান করতে হবে।’ ম্যাচের আগে বৃষ্টি হয়েছে। পরে ক্রাইস্টচাচের্র মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছেন নিউজিল্যান্ড বোলাররা। বোল্ট-ফাগুর্সন-নিশামদের সামনে ক্রিজে জমতে পারেননি তামিম-লিটন-সৌম্য-মুশফিকরা। বড় কোনো জুটি গড়তে না পারায় বাংলাদেশের স্কোরও বড় হয়নি। বাংলাদেশ বোলারদের চিত্র প্রায় পুরোটাই উল্টো। স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের তেমন কোনো পরীক্ষাতেই ফেলতে পারেননি মুস্তাফিজ ছাড়া দলের অন্য কোনো বোলার। সিরিজ হারের পর বাংলাদেশ এখন হিসেব মেলাতে বসে প্রশ্নটা তুলতেই পারেÑ ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের প্রথমবারের সফরে মোহাম্মদ মিঠুন যদি পারেন, তাহলে এতবার নিউজিল্যান্ড সফরে আসা বাকিরা কেন পারছেন না? বিরূপ কন্ডিশনের অজুহাত দেয়ার চেয়ে আসলে দক্ষতা এবং প্রায়োগিক ক্ষমতার বিষয়টি নিয়েই অধিকতর আলোচনা করা উচিত। এদিকে, টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দাপুটে জয় পাওয়ার পর সতীথের্দর প্রশংসা করেছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। আলাদা করে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া মাটির্ন গাপটিলকে।