লুঝনিকিতে বিশ্বকাপের মাতাল হাওয়া

‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আথর্’- বলা হয় ফুটবল বিশ্বকাপকে। সেই শো’য়ের ফাইনালে কারা খেলছে, তা যেন অবিবেচ্য। প্রধান কথা হলো বিশ্বকাপের ফাইনাল। মাসব্যাপী বিশ্বকাপের যে মাতাল হাওয়া ছিল দেশে দেশে, তার শেষটা হচ্ছে লুঝনিকিতে

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বকাপের ফাইনাল উপলক্ষে রোববার এভাবেই সেজেছিল মস্কোর লুঝনিকির স্টেডিয়াম Ñওয়েবসাইট
ক্রীড়া ডেস্ক বড় তারকাদের দল বিদায় নিয়েছে আগেই। মেসি, নেইমার, রোনালদোদের কেউই নেই ফাইনালের মঞ্চে। এরপরও বিশ্বকাপের উন্মাদনায় ভাটা পড়েনি। বাংলাদেশের চিত্রটা ভিন্ন হলেও রোববারের ফাইনালকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ করা গেছে রাশিয়ায়। ফাইনালের ভেন্যু মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে খেলা শুরুর বেশ আগে থেকেই সরগরম হয়ে ওঠে। ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আথর্’- বলা হয় ফুটবল বিশ্বকাপকে। সেই শোয়ের ফাইনালে কারা খেলছে, তা যেন অবিবেচ্য। প্রধান কথা হলো বিশ্বকাপের ফাইনাল। মাসব্যাপী বিশ্বকাপের যে মাতাল হাওয়া ছিল দেশে দেশে, তার শেষটা হচ্ছে লুঝনিকিতে। বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্রাজিল, আজেির্ন্টনার মতো দল না থাকলেও দশর্কদের উপস্থিতি কিন্তু কম ছিল না। দশর্কদের সারিতে ব্রাজিল-আজেির্ন্টনার সমথর্কও ছিলেন। তারা নিজ দেশের জাসির্, ক্যাপ পরে দেখতে গেছেন ফাইনাল। আসলে বিশ্বকাপের ফাইনাল তো ফাইনালই, ফুটবলপ্রেমীদের কাছে দেশ, জাতি, বণর্ নিয়ে ভেদাভেদ থাকে না। গত এক মাস বিশ্বকে মাতিয়েছে রাশিয়া বিশ্বকাপ। শেষটায়ও একইভাবে মাতিয়ে রেখেছে। ফাইনাল শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই স্টেডিয়াম এলাকা উৎসবমুখর করে রাখেন দশর্করা। সেখানে অবশ্য ক্রোয়েশিয়ার সমথর্কদের আধিক্য ছিল। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা ইউরোপের দেশটিকে টুনাের্মন্ট শুরুর আগে কেউ হিসেবেই আনেনি। মাত্র ২৭ বছর আগে স্বাধীন হওয়া দেশটি, মাত্র ৫৬ হাজার বগর্ কিলোমিটারের ‘পুচকে’ দেশটি, মোটে ৪৩ লাখ জনসংখ্যার দেশটি ফুটবল বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে তারাও পারে। দুই দেশের দশর্ক-সমথর্ক ছাড়াও যারা বিভিন্ন দেশ থেকে ফাইনাল উপভোগ করতে রাশিয়ায় গেছেন, তাদের বেশিরভাগেরই ধারণা, এবারের বিশ্বকাপ নতুন চ্যাম্পিয়ন উপহার দেবে। মানে ক্রোয়েশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনার কথাই বলছেন সাধারণ দশর্করা। তবে লড়াইটা যে হাড্ডাহাড্ডি হবে তা বলতেও ভুলছেন না কেউ। ক্রোয়েশিয়ার প্রতিপক্ষ যখন সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স, তখন লড়াইটা তো হাড্ডাহাড্ডি হওয়ারই কথা। ১৪ জুন এই লুঝনিকি স্টেডিয়ামেই পদার্ উঠেছিল বিশ্বকাপের ২১তম আসরের। ১৫ জুলাই, অথার্ৎ রোববার রাতে লুঝনিকিতেই পদার্ নামছে আসরটির। এই স্টেডিয়ামের বাইরের উৎসবমুখর পরিবেশ ২১তম আসরকে বিদায় জানানোর, নতুন চ্যাম্পিয়নকে স্বাগত জানানোর।