চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোলহীন রাত

প্রকাশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
লিওনেল মেসির গোলের প্রচেষ্টা রুখে দিচ্ছেন অলিম্পিক লিঁওর গোলরক্ষক লোপেস। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে মঙ্গলবার রাতে এভাবে একাধিকবার বার্সেলোনাকে গোলবঞ্চিত করেছেন তিনি -ওয়েবসাইট
ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ঘরের মাঠে জার্মান ক্লাবের বিপক্ষে অপরাজিত থাকার রেকর্ডটা অক্ষুণ্ন থাকল লিভারপুলের। এরপরও হতাশ দলটি। মঙ্গলবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে যে গোলশূন্য ড্র করেছে তারা। প্রতিপক্ষের মাঠে একটা গোল পেলে দারুণ কাজে দিত বায়ার্নের। সেটি না পাওয়ায় কিছুটা আফসোস থাকবে তাদেরও। রাতের আরেক ম্যাচে অলিম্পিক লিঁওর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে বার্সেলোনা। এ নিয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই ড্র দেখল আর্নেস্তো ভালভার্দের দল। চলতি মৌসুমে আনফিল্ডে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রম্নপপর্বের প্রতিটি ম্যাচেই জিতেছে লিভারপুল। বায়ার্নের বিপক্ষেও জয়ের আশা নিয়েই খেলতে নামে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। কিন্তু বাভারিয়ানদের শক্তিশালী রক্ষণভাগে চিড় ধরাতে পারেননি সাদিও মানে-মোহাম্মদ সালাহরা। যদিও প্রথমার্ধে ডি-বক্সের ভেতরে সুবিধাজনক অবস্থানে বল পেয়ে গোল করতে পারেননি মানে। বল মেরে দেন গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে। এরপর রবার্তো ফিরমিনোর ক্রসে বল পেয়ে ছয় গজ দূর থেকে তা জালে জড়াতে ব্যর্থ হন জোয়েল মাটিপ। উল্টো বায়ার্নকে প্রায় আত্মঘাতী গোল উপহার দিয়ে বসেছিলেন তিনি। গোলরক্ষক অ্যালিসনের কল্যাণে সে যাত্রায় রক্ষা পায় লিভারপুল। দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণভাগ আরও শক্তিশালী করে বায়ার্ন। এই অর্ধেও লিভারপুলকে গোলবঞ্চিত রাখতে সক্ষম হয় তারা। ম্যাচের ৮৫তম মিনিটে মানের হেড দারুণ ক্ষিপ্রতায় রুখে দিয়ে অতিথিদের পরাজয়ের হাত থেকে বাঁচান জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যয়ার এদিকে নিষেধাজ্ঞার কারণে দলের সেরা তারকা নাবিল ফেকিরকে ছাড়াই বার্সেলোনার বিপক্ষে লড়াইয়ে নামে অলিম্পিক লিঁও। তবে এর সুবিধা নিতে পারেনি স্প্যানিশ ক্লাবটি। আধিপত্য বিস্তার করে খেললেও আক্রমণভাগের ব্যর্থতায় সাফল্যের মুখ দেখেনি বার্সা। লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ, উসমান ডেম্বেলে, ফিলিপ কুতিনহো- চার তারকা মিলে ২৫টি শট নিয়েও একটা গোল এনে দিতে পারেননি দলকে। ম্যাচের চার মিনিটের মধ্যেই অন্তত দুটো গোল পেতে পারত বার্সা। প্রথম মিনিটে ডেম্বেলের শট যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে, তৃতীয় মিনিটে মেসির ফ্রি-কিকও লক্ষ্যে থাকেনি। ভাগ্য সহায় হলে ৯ মিনিটের মধ্যে জোড়া গোল পেতে পারতো লিঁও। পঞ্চম মিনিটে হোসেমের শট ঠেকিয়ে দেন মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগান। নবম মিনিটে আবারো বার্সার ত্রাতা জার্মান এই গোলরক্ষক। ফরাসি মিডফিল্ডার তেয়ায়ির গোলার মতো শট করেছিলেন, ঝাঁপিয়ে পড়া স্টেগানের গস্নাভসে ছুঁয়ে বল ক্রসবারে লেগে ফেরে। এরপর আরও বেশ কয়েকবার বার্সার রক্ষণে হানা দিয়েছে স্বাগতিকরা, তবে স্টেগানকে সেভাবে আর পরীক্ষায় ফেলেতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে রীতিমতো আক্রমণের ঝড় বইয়ে দিয়েছে বার্সা, শুধু গোলটাই পায়নি কাতালান ক্লাবটি। এখন নিজেদের মাঠে ১৩ মার্চের ফিরতি লেগটাই ভরসা তাদের।