বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ

অনিশ্চয়তা কাটেনি সাকিবকে নিয়ে

নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা কাটেনি। তার বিকল্প হিসেবেই নিউজিল্যান্ডে রেখে দেয়া হয়েছে সৌম্যকে

প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ক্রীড়া প্রতিবেদক ওয়ানডে সিরিজ শেষ করে মাশরাফি-রুবেলদের সঙ্গে তারও ধরার কথা ছিল দেশের বিমান। তবে বাংলাদেশের স্কোয়াড চোটজর্জর হয়ে পড়ায় নিউজিল্যান্ডেই থেকে যাচ্ছেন সৌম্য সরকার। টেস্ট সিরিজে খেলাতে তাকে রেখে দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। কারণ নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা কাটেনি। তার বিকল্প হিসেবেই রেখে দেয়া হয়েছে সৌম্যকে। ম্যানেজার হিসেবে দলের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড যাওয়া খালেদ মাসুদ পাইলট বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চোটে পড়েছেন ফর্মে থাকা মোহাম্মদ মিঠুন। পাঁজরে চোট আছে মুশফিকুর রহিমের। টেস্ট দলে থাকা সাদমান ইসলাম একেবারেই নবীন। টপঅর্ডারে ঘাটতি মেটাতে তাই সৌম্যকে যোগ করে নিয়েছে দল। এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে খেলেছেন। সৌম্য নিউজিল্যান্ডে থেকে গেলেও ওয়ানডে সিরিজ শেষে দেশের পথে পা বাড়িয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, শফিউল ইসলাম আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। আজ ঢাকার পথ ধরবেন রুবেল হোসেন আর সাব্বির রহমান। বিপিএলের ফাইনালে আঙুলে চোট পেয়ে দলের বাইরে সাকিব। বলা হচ্ছিল টেস্ট সিরিজের আগেই ফিট হয়ে যাবেন। কিন্তু প্রথম টেস্টে এই অলরাউন্ডারের খেলা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। কিউইদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচটি সম্ভবত মিস করছেন অধিনায়ক। এ অবস্থায় রানে না ফিরেও টেস্ট দলে ঢুকে গেলেন সৌম্য। ওয়ানডেতে ভালো শুরু পেলেও কোনো ম্যাচেই ইনিংস বড় করতে পারেননি। সিরিজের তিন ম্যাচে মাত্র ৫২ রান এসেছে তার ব্যাটে। প্রথম ম্যাচে ৩০, পরের ম্যাচে ২২। আর শূন্য রানে শেষ সিরিজ। ওয়ানডে সিরিজে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূরণের পর এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে নামার পালা বাংলাদেশের। হ্যামিল্টনে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি শুরু হবে ২৮ ফেব্রম্নয়ারি। এর আগে ২২ এবং ২৩ ফেব্রম্নয়ারি দুই দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টিম বাংলাদেশ। সব সংস্করণ মিলিয়ে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এ পর্যন্ত ২৪ ম্যাচ খেলে জয়হীন বাংলাদেশ। একটি ড্র-ও নেই। ওয়ানডে সিরিজে আরও একবার ভরাডুবির পর টেস্টে সাফল্য পাওয়া আরও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে টাইগারদের জন্য। নিউজিল্যান্ড সফর মানেই চোটের মিছিল। বাংলাদেশ দল সেখানে যাওয়ার আগেই ছিটকে গেছেন তাসকিন আহমেদ। তার জায়গায় গেছেন আরেক তরুণ পেসার ইবাদত হোসেন। বিপিএল ফাইনালে আঙুলে চোট পেয়ে ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে যান সাকিব। সাদা পোশাকে প্রথম ম্যাচ থেকে টেস্ট অধিনায়কের নামার সম্ভাবনা কম বলেই জানা গেছে বিসিবি সূত্রে। নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগেই টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ওই স্কোয়াডে শুরুতে বাদ পড়েছিলেন সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দলে থাকা সৌম্য আর আরিফুল হক। আঙুলে চোট পাওয়ায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ছিটকে পড়েছিলেন সাকিব। সেরে উঠার জন্য তার অন্তত তিন সপ্তাহ সময় লাগবে, তখন এমনটাই জানিয়েছিলেন বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। সেই হিসেবে সুস্থ হয়ে উঠতে আগামী ২ মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডে প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২৮ ফেব্রম্নয়ারি। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ৮ মার্চ। তাকে প্রথম দুই টেস্টে পাওয়া যাবে না, এটা মোটামুটি নিশ্চিত। তৃতীয় টেস্টে খেলতে পারেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। ওয়ানডে সিরিজে খেলেননি চোটে পড়ায়। একই কারণে টেস্ট সিরিজেও তাকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা। অথচ এই সাকিবই আইপিএল খেলার জন্য উতালা হয়ে উঠেছেন। বিসিবি সভাপতির কথায়ই সেটা পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। বিষয়টা খানিকটা গোলমেলেই বটে।