অ্যাটলেটিকো-ম্যানসিটির দারুণ জয়

প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
শালকের বিপক্ষে গোল করার পর রাহিম স্টারলিংয়ের উচ্ছ্বাস। শেষ মুহূর্তে তার গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ম্যানচেস্টার সিটি -ওয়েবসাইট
ক্রীড়া ডেস্ক উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) নিয়ে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। বুধবার রাতে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে এই প্রযুক্তির বিতর্ক নিয়েই ঘরের মাঠে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ২-০ গোলে হারিয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জুভেন্টাসকে। খেলার শেষ দিকে হোসে গিমেনেস ও ডিয়েগো গোডিনের গোল ইতালিয়ান জায়ান্টদের হতাশায় ডোবায় অ্যাটলেটিকো। আর শালকের মাঠে পিছিয়ে পড়েও ৩-২ গোলে জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এই জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখলো পেপ গার্দিওলার দল। ওয়ান্দা মেট্রোপলিটানোয় ম্যাচের সপ্তম মিনিটে রোনালদোর দুর্দান্ত ফ্রি কিক মাঠের বাইরে পাঠিয়ে অ্যাটলেটিকোকে বাঁচান গোলরক্ষক জ্যান ওবলাক। পরের মিনিটে দুঃসংবাদ শুনতে হয় স্বাগতিকদের। ৮ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখায় ডিয়েগো কস্তা খেলতে পারবেন না ফিরতি লেগে। ম্যাচের ৩০ মিনিট পার না হতেই ভিএআর বিতর্কের শিকার হয় মাদ্রিদ ক্লাব। ২৮ মিনিটে মাত্তিয়া ডি সিগলিওর ধাক্কায় কস্তা পড়ে গেলে তারা পেনাল্টি পাবে ভেবেছিল। কিন্তু প্রযুক্তি ব্যবহার করে রেফারি সিদ্ধান্ত পাল্টে বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি কিকের সিদ্ধান্ত দেন। জুভ গোলরক্ষক উজচেখ শেসনিকে পরীক্ষা দিতে হয় প্রথমার্ধে। আতোঁয়ান গ্রিজম্যানের বুলেট গতির শট প্রতিহত করেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোল পেতে পারতো মাদ্রিদ ক্লাব। ৪৯ মিনিটে কস্তার শটটি গোলবারের পাশ দিয়ে যায়। কয়েক মুহূর্ত পর শেসনি দারুণ সেভে গ্রিজম্যানকে আবারও ব্যর্থ করেন। ৫৮ মিনিটে কস্তার বদলি হয়ে মাঠে নামেন আলভারো মোরাতা। তার ৭১ মিনিটের গোল বাতিল হওয়ার ঘটনাই ছিল দিনের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। জর্জিও কিয়েলিস্ননিকে টপকে শেসনিকে পরাস্ত করে সাবেক ক্লাবের জালে বল জড়ান তিনি। কিন্তু ভিএআরে রেফারি সিদ্ধান্ত পাল্টে দেন। প্রযুক্তির স্ক্রিনে কিয়েলিস্ননির কাঁধে হালকা ভর দিয়ে উঁচুতে লাফিয়ে লক্ষ্যভেদি হেড করতে দেখা গেছে মোরাতাকে। ইতালিয়ান ডিফেন্ডারের মুখের অভিব্যক্তি দেখে রেফারি সিদ্ধান্ত নেন, বেশ ভালো ভর দিয়েছিলেন স্প্যানিশ ফুটবলার। অবশ্য ৭ মিনিট পরই গোল উচ্ছ্বাসে মাতে অ্যাতলেতিকো। জুভেন্টাস কর্নার বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে গিমেনেস খোলেন গোলমুখ। ৮৩ মিনিটে মাদ্রিদ ক্লাব আরও শক্ত অবস্থানে জায়গা করে নেয়। সিরি 'এ' ক্লাব একটি ফ্রি কিক রুখতে পারেনি, রোনালদোর গায়ে লেগে ফিরে এলে গোডিন লক্ষ্যভেদ করেন দারুণ শটে। শেষ তক ২-০ গোলের জয় হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে জুভেন্টাস। আগামী ১২ মার্চ ফিরতি পর্বে ঘরের মাঠে খেলতে নামবে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। এদিকে শালকের মাঠে হারের শঙ্কায় পড়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। শেষ দিকে লেরয় সানে ও রহিম স্টারলিংয়ের গোলে জয় ছিনিয়ে আনে তারা। ৩৮ ও ৪৫ মিনিটে নাবিল বেনতালেবের পেনাল্টি গোলে শালকে এগিয়ে যায়। ৮৬ মিনিটে সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল করে সমতা ফেরান সানে। আর স্টারলিংয়ের ৯০ মিনিটের গোল জয় নিশ্চিত করে সিটিজেনদের। সার্জিও আগুয়েরো ১৮ মিনিটে ম্যানসিটিকে এগিয়ে দেন। এরপর প্রথমার্ধেই পেনাল্টি থেকে দুটি গোল হজমের ধাক্কা লাগে। স্বাগতিকরা প্রথম পেনাল্টি পায় ভিএআর বিতর্ক তৈরি করে। দানিয়েল কালিগুইরিসের শট নিকোলাস ওটামেন্ডির ডান হাতে লাগলে রেফারি কার্লোস দেল কেরো গ্রান্দে প্রথমে কর্নারের সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু ভিএআর রিভিউ নিতেই সেটা পাল্টে যায়। সিদ্ধান্ত নিতে প্রায় ৩ মিনিট লেগেছে। ওটামেন্ডির জন্য রাতটা ভালো ছিল না। ৬৮ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। শেষ ২২ মিনিট ১০ জন নিয়ে খেলে ম্যানসিটিকে বেশ কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে, সেই দেখা পেয়েছে সাফল্যেরও। আগামী ১২ মার্চে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে ম্যানসিটি ও শালকে।