গেইলকে ছাপিয়ে রয়-রুট

স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ৩৬০ রানও অনায়াসে টপকে গেছে তারা। জয় পেয়েছে ৬ উইকেটে। এই ম্যাচ দিয়ে আট মাস পর ওয়ানডেতে ফিরেই ক্রিস গেইল গড়েছেন বিশ্বরেকর্ড। কিন্তু তার কীর্তি ম্স্নান হয়ে গেছে জেসন রয় আর জো রুটের সেঞ্চুরিতে

প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ঘটনাবহুল এক ম্যাচের সাক্ষী হয়ে রইল বার্বাডোজ। ইংল্যান্ড দেখিয়ে দিল তারা কেন ঘরের মাঠে অনুষ্ঠেয় আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফেভারিট। বুধবার সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ৩৬০ রানও অনায়াসে টপকে গেছে তারা। জয় পেয়েছে ৬ উইকেটে। এই ম্যাচ দিয়ে আট মাস পর ওয়ানডেতে ফিরেই ক্রিস গেইল গড়েছেন বিশ্বরেকর্ড। কিন্তু তার কীর্তি ম্স্নান হয়ে গেছে জেসন রয় আর জো রুটের সেঞ্চুরিতে। গেইল এদিন ২৪তম সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পথে হাকিয়েছেন ১২টি ছক্কা, ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব টপকে গেছেন পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদির ৪৭৬টি ছক্কার রেকর্ডকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪৮৮টি ছক্কা মেরে গেইলই এখন সবার উপরে। এখানেই শেষ নয়, এদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজও তাদের ইনিংসে হাকিয়েছে ২৩টি ছক্কা, যেটি এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার বিশ্বরেকর্ড। কিন্তু এমন রেকর্ড ক্যারিবীয়রা ঠিকঠাক উদযাপন করতে পারল কই? রয় আর রুট মিলে তাদের উৎসব একেবারে মাটি করে দিয়েছেন। রানতাড়ায় ইংল্যান্ড গড়েছে রেকর্ড। ওয়ানডেতে ৩৬০-এর বেশি রান তাড়া করে জেতার নজির আছে আর তিনটি। শুরুতে খোলসে ঢাকা থাকলেও দীর্ঘ বিরতির পর ক্যারিবীয় দলে ফেরা গেইল ১৩৫ রানের ইনিংসে রীতিমতো চমকে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডকে। অন্যরাও তাকে দিয়েছে দারুণ সঙ্গ। হাফসেঞ্চুরি হাকিয়েছেন শাই হোপ (৬৪)। ড্যারেন ব্রাভোর ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান। অভিষিক্ত জন ক্যাম্পবেল করেছেন ৩০ রান। তার ব্যাটে ক্যারিবীয়দের শুরুটা দারুণ হয়েছিল। এরপর গেইল খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন, শাই হোপ খেলতে থাকেন স্বভাবসুলভ। কিন্তু মাঝপথে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। তাই ৪০০ রানের হাতছানি দেয়া ইনিংস থামে ৩৬০ রানে গিয়ে। এরপরও পুঁজিটা ছিল পাহাড়সম। কিন্তু রয় আর রুটের ব্যাট তেমন কিছু অনুভূতই হতে দেয়নি। প্রথমে রয় ৮৫ বলে ১২৩ রান করেন। এরপর রুট ১০২ রান করে ম্যাচ ছিনিয়ে নেন স্বাগতিকদের কাছ থেকে। রয়ের স্পিন দুর্বলতার কথা জেনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলিংয়ের শুরুটা করেছিল লেগস্পিনার দেবেন্দ্র বিশুকে দিয়ে। তাতে লাভ হয়নি। জনি বেয়ারস্টো আর রয় উদ্বোধনী জুটিতে ৯১ রান তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শঙ্কায় ফেলে দেন। বেয়ারস্টো ৩৪ রান করে ১১তম ওভারে জেসন হোল্ডারের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরে যান। এরপর রুট এবং রয় জুটি বেধে রান তাড়ায় মনোনিবেশ করেন। দুজনে ইংল্যান্ডকে ১৬.১ ওভারে ১১৪ রানে পৌঁছে দেন শুধু তাই নয়, তারা স্কোরকে ২০০ রানে নিয়ে যান। এর মাঝে রয় তিনবার জীবন পান। তিনবারই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডাররা তার দেয়া ক্যাচ ধরতে ব্যর্থ। ম্যাচের ২২তম ওভারেই মাত্র ৬৫ বলে নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রয়। পরবর্তী ব্যাটসম্যানদের নিয়ে বাকি কাজটা সারেন রুট।