বাফুফে একাডেমি

অনেক প্রতিভা খুঁজে পেয়েছেন সালাউদ্দিন

আসলে শুধুমাত্র খেলোয়াড় সিলেকশন করেছি। বিভিন্ন বয়সের খেলোয়াড়দের দেখে আমি অভিভূত। অনেক ট্যালেন্ট খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু বয়স বেশি হলে তাদের সবাইকে তো একাডেমিতে নেয়া যাবে না

প্রকাশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে অংশ নিতে গত রাতে মিয়ানমারের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। এর আগে দলের খেলোয়াড়, কোচ এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনে অংশ নেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন -বাফুফে
বাড্ডার বেরাইদে আগামী মাস থেকেই বাফুফে একাডেমির কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা। যে একাডেমিতে ঠাঁই পাবে সারা দেশ থেকে বাছাই করা সেরা প্রতিভাগুলো। ইতোমধ্যে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে ফুটবলার বাছাই করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। শুক্রবার শেষ হয়েছে ঢাকা বিভাগীয় বাছাই প্রক্রিয়াও। তবে এখনো চূড়ান্ত বাছাই বাকি। মেডিকেল পরীক্ষা করে বয়স নির্ধারণ শেষে হবে একাডেমির জন্য চূড়ান্ত খেলোয়াড় বাছাই। শুক্রবার বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাফুফের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। জানালেন, বাছাই প্রক্রিয়ায় অনেক প্রতিভা খুঁজে পেয়েছেন তারা। মার্চ থেকে চালু হওয়ার প্রক্রিয়ায় থাকা এই একাডেমির জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন খেলোয়াড় বাছাই শুরু করে গত ২৬ জানুয়ারি। প্রথমে জেলা এরপর বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। জেলায় প্রথম দুদিন অনূর্ধ্ব-১৫ ও ১৬, পরের দুদিন অনূর্ধ্ব-১৮ ও ১৯ বয়সি ফুটবলারদের ট্রায়াল দেয়া হয়। একইভাবে বিভাগীয় পর্যায়ে হয়েছে প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি। জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে শেষে ১৯-২২ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত কমলাপুর স্টেডিয়ামে হয়েছে ঢাকা বিভাগীয় বাছাই প্রক্রিয়া। যদিও এর আগে ২০১৪ সালে বেশ ঢাকঢোল পিটিয়েই সিলেটে বিকেএসপি একাডেমি করেছিল বাফুফে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি আর তারা চালিয়ে যেতে পারেনি। শেষমেশ বন্ধই হয়ে যায় ফুটবলার তৈরির এই পাঠশালাটি। তবে আবারও নতুন উদ্যমে ঢাকাতে একাডেমি শুরু করতে যাচ্ছে বাফুফে। তারই ধারাবাহিকতায় ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রাম। তাতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার তৃপ্তি সালাউদ্দিনের কণ্ঠে। ভবিষ্যতে এই একাডেমি থেকে ভালো মানের ফুটবলার বের হয়ে আসবে বলেই বিশ্বাস বাফুফে সভাপতির, 'অন্যান্য দেশে এই কাজগুলো ক্লাবগুলোই করে। কিন্তু আমাদের দেশের ক্লাবগুলো তা করেনি। তাই আমরা নিজ উদ্যোগে কাজ শুরু করেছি। ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের উদ্যোগ নেই আমি। আশা করি মার্চ মাসে নতুন একাডেমির কাজ শুরু করতে পারব।' বাফুফে সভাপতি জানান, এই ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রামে তারা অনেক প্রতিভাবান ফুটবলারকে খুঁজে পেয়েছেন। তবে একাডেমিতে ঠাঁই পাবে নির্দিষ্ট বয়সের ফুটবলাররা। যে কারণে মেডিক্যাল টেস্ট আর এমআরআই শেষে চূড়ান্ত হবে- কারা যাচ্ছে বাফুফের একাডেমিতে। এ প্রসঙ্গে বাফুফে বস বলেছেন, 'আসলে শুধুমাত্র খেলোয়াড় সিলেকশন করেছি। বিভিন্ন বয়সের খেলোয়াড়দের দেখে আমি অভিভূত। অনেক ট্যালেন্ট খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু বয়স বেশি হলে তাদের সবাইকে তো একাডেমিতে নেয়া যাবে না। বয়স নির্ধারণের জন্য আমরা মেডিক্যাল টেস্ট করব, এমআরআই করাব। তখনই বলতে পারব কতজন ফুটবলার নিয়ে আমরা একাডেমির কাজ শুরু করতে পারব।' যদিও খেলোয়াড় বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে নানা অভিযোগ আছে। কিন্তু বাফুফে সভাপতি দৃঢ়তার সঙ্গেই জানিয়েছেন, স্বচ্ছতার ভিত্তিতেই হয়েছে খেলোয়াড় বাছাই প্রক্রিয়া। তা ছাড়া খেলোয়াড় অন্বেষণ প্রক্রিয়া এখানেই থেমে থাকবে না। এখন থেকে একাডেমির জন্য প্রতি দুই মাস পরপর ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রাম আয়োজন করবে বাফুফে।