টেস্ট সিরিজ

পোর্ট এলিজাবেথে বোলারদের দাপট

প্রকাশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
ডাররান টেস্টের মতো ক্ষণে ক্ষণে রং পাল্টাচ্ছে পোর্ট এলিজাবেথ টেস্ট। সেটা পাল্টাচ্ছে দুই দলের বোলারদের রাজত্বে। সেন্ট জর্জেস পার্কে রীতিমতো আগুন ঝরাচ্ছেন দুই দলের বোলাররা। প্রথম দিনে উইকেট পড়েছিল ১৩টি। দ্বিতীয় দিনের চা বিরতি পর্যন্ত পড়ল আরও ১২ উইকেট। অথচ তিন ইনিংসে এখন পর্যন্ত খেলা হয়েছে ১২৯ ওভার! প্রথম দিনে কাসুন রাজিথা আর বিশ্ব ফানান্দোর বোলিং তোপে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ২২২ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকা এর জবাব দিয়েছে কাগিসো রাবাদা আর ডুয়ানে অলিভিয়ের পেসে। লংকানদের প্রথম ইনিংস ১৫৪ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৬৮ রানের লিড নেয় তারা। সেই লিডটাকে বাড়িয়ে নেয়ার মিশনে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য সুখে নেই দলটি। দ্বিতীয় দিনের চা বিরতি পযন্ত ৫ উইকেট খুইয়ে স্বাগতিকরা তুলেছে ৯১ রান, তাদের লিড ১৫৯ রান। আগের দিনের ৩ উইকেটে ৬০ রান নিয়ে খেলতে নেমে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে লংকান ব্যাটিং লাইনআপ। উইকেট পতনের শুরু ওপেনার থিরিমান্নেকে দিয়ে। ২৯ রানে আউট হন তিনি। ৬৬ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পতিত হয় অতিথিরা। এরপর প্রথম টেস্টের নায়ক কুশাল পেরেরা দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেও সফল হননি। ২০ রান তুলে রাবাদার বলে সাজঘরে ফিরে যান। ৯৭ রানে সপ্তম উইকেট পতনের পর ১০০ রানের আশপাশেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল শ্রীলংকা। তবে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নিরোশান ডিকওয়েলা টি২০ স্টাইলে খেলে মাত্র ৩৬ বলে ৪টি চার ও ১ ছয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করলে সফরকারীরা ১৫০ রানের গন্ডি পেরুতে সক্ষম হয়। শেষ পর্যন্ত তারা মাত্র ৩৭.৪ ওভারে ১৫৪ রানে অলআউট হয়। রাবাদা ৪টি আর অলিভিয়ের ৩টি উইকেট শিকার করেন। ৬৮ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৫১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে আবারও বিপর্যয়ে পড়ে প্রোটিয়ারা। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ডিন এলগারকে (২) দলীয় ১০ রানে সাজঘরে ফেরত পাঠান বিশ্ব। রাজিথা তার ঘূর্ণিতে প্রথমে ওপেনার মার্করামকে (১৮) এবং পরে টেম্বা বাভুমাকে (২) আউট করেন। এরপর হাশিম আমলা এসে অধিনায়ক ডু পেস্নসিসের সঙ্গে জুটি বেধে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন। চতুর্থ উইকেটে ৩৯ রানের জুটি গড়ে তোলেন পেস্নসিস আর আমলা। আমলা ৩২ রান করে আউট হওয়ার পর বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি ককের উইকেট তুলে নেন লাকমল। ফলে ৯১ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। ম্যাচে ভালোভাবেই ফিরে আসে শ্রীলংকা।