আত্মবিশ্বাস বাড়ছে সাদমানদের

শেষ পর্যন্ত বল দেখে খেলার চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয়েছে যে, আগে আসার কারণে মানিয়ে নিতে পেরেছি আমি। মূল ম্যাচেও এভাবে খেলতে চেষ্টা করব। আজকের খেলাটাই সফরের বাকি সময়টাতে ধরে রাখতে চাই

প্রকাশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
লিঙ্কনে প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনটা স্বপ্নের মতো কাটিয়েছে টিম বাংলাদেশ। প্রথম সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। রান পেয়েছেন দলের প্রায় সবাই। নিউজিল্যান্ড বোর্ড একাদশের বিপক্ষে প্রথম দিন শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৪১১ রান। ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার পর দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে এমন ব্যাটিং আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে টাইগার শিবিরে। প্রথম দিনের খেলা শেষে এমনটাই জানিয়েছেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। এদিন চার ব্যাটসম্যান পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। সাদমান তাদেরই একজন। টেস্ট মেজাজে ৬৭ রানের দারুণ এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন তিনি। টেস্ট সিরিজে ভালো খেলতে হলে এভাবেই ব্যাট করতে হবে বলে মনে করছেন এই তরুণ। প্রস্তুতি ম্যারে মতো টেস্ট সিরিজেও ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতা দেখাতে চান সাদমান, 'শেষ পর্যন্ত বল দেখে খেলার চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয়েছে যে, আগে আসার কারণে মানিয়ে নিতে পেরেছি আমি। মূল ম্যাচেও এভাবে খেলতে চেষ্টা করব। আজকের খেলাটাই সফরের বাকি সময়টাতে ধরে রাখতে চাই।' টেস্ট দলের ব্যাটসম্যানরা আগে-ভাগেই চলে গিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডে। ১৫ ফেব্রম্নয়ারি তাসমান সাগরপাড়ের দেশটিতে পা রেখে তারা মানিয়েও নিয়েছেন বেশ। দলের তরুণ ক্রিকেটার সাদমান মনে করছেন, প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের ভালো খেলার নেপথ্য কারণ এটাই, 'ব্যাটিংয়ে ভালো খেলে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। বুঝতে পারছি এখানে কিভাবে খেলতে হবে। উইকেট কেমন হবে, ধারণা হয়েছে। আমাদের দলের সবাই খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। ওদের পেস বোলার যাদের খেলেছি, সবাই ভালো বোলিং করে। ওদের বিপক্ষে ভালো খেলেই মিলেছে সাফল্য।' দারুণ ব্যাটিং করার পরও অবশ্য শঙ্কার কথা শুনিয়েছেন সাদমান। এই ওপেনার জানিয়েছেন, নিউজিল্যান্ড সফরের বাকি সময়টাতে বাতাস বড় আতঙ্ক হয়ে উঠতে পারে টাইগারদের জন্য। আগের দিন কথাটা বলেছিলেন আবু জায়েদ রাহী। ডানহাতি পেসার জানিয়েছিলেন, ভারী বাতাসের কারণে ঠিক জায়গায় বল ফেলা তাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। এবার ব্যাটসম্যান সাদমান বললেন, 'ম্যাচের আগেরদিন সবশেষ প্র্যাকটিস করার সময় প্রচন্ড বাতাস ছিল। বলা হচ্ছিল- ওয়েলিংন্টন আর হ্যামিলন্টনে খেলতে হলে এমন বাতাসের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হবে।' সাদমান জেনে গেছেন, তিন টেস্টের সিরিজে ভালো করতে হলে আগে সেখানকার বাতাসের সঙ্গে সখ্য গড়তে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, 'আটদিন আগে এসেছি আমি। অনুশীলন করেছি। আমাদের ব্যাটিং কোচ বলে দিয়েছেন, কিভাবে বাতাসে মানিয়ে নিতে হয়। বলেছেন- একটু দেরিতে খেলতে। বল শরীরের কাছে থেকে খেলতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তাছাড়া আমাদের অনুশীলনের সময় অনেক বাতাস ছিল। হ্যামিল্টন-ওয়েলিংটনে টেস্ট খেলতে হলে বাতাসের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই হবে। আর ব্যাপারটা সহজ নয়।' বৈরী কন্ডিশনকে বশ মানিয়ে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এখন পর্যন্ত কোনো জয় আদায় করে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। জয় তো দূরের কথা, কোনো ম্যাচ ড্রয়ের সম্ভাবনাও সেভাবে জাগাতে পারেনি তারা। এই সফরটাকে টাইগারদের জন্য বড় সুযোগ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ওয়ানডে সিরিজে সুযোগ কাজে লাগানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেনি তারা, এখন দেখার টেস্টে পারে কিনা। নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশের মধ্যকার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টটি শুরু হবে ২৮ ফেব্রম্নয়ারি হ্যামিল্টনে। দ্বিতীয় টেস্ট ওয়েলিংটনে, শুরু ৮ মার্চ। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে ১৬ মার্চ, ক্রাইস্টচার্চে।