ক্রোয়াটরাও পেল বীরোচিত সংবধর্না

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

ক্রীড়া ডেস্ক
চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মতো দেশে ফিরে বীরোচিত সংবধর্না পেয়েছে রানাসর্আপ ক্রোয়েশিয়া দলও। মদ্রিচ-রাকিচিতদের বরণ করতে রাজধানী জাগরেবে হাজির হয়েছিলেন ৫ লাখ সমথর্ক, তাদের অভিবাদনে মুগ্ধ দলের খেলোয়াড়রাও (ইনসেটে) Ñওয়েবসাইট
বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের খুব কাছে গিয়েও স্বপ্ন ভাঙল লুকা মদ্রিচের দল ক্রোয়েশিয়ার। কিন্তু প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠার গৌরব অজের্ন দেশে ফিরে বীরের সংবধর্না পেলেন ক্রোয়াটরা। এবারের বিশ্বকাপে অনেক চমক দেখিয়েছেন মদ্রিচ-রাকিতিচরা। কোনো ম্যাচ না হেরে দুদার্ন্ত খেলেই ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল দলটি। কিন্তু ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরে রানাসর্আপ হয়েই ফিরতে হয়েছে তাদের। বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও দেশে ফিরে নজর কাড়া এক সংবধর্না মিলেছে ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়দের। শুধু সংবধর্নাই নয়, ক্রোয়েশিয়া দলের খেলোয়াড়দেরকে ঘোষণা করা হয়েছে জাতীয় বীর হিসেবে। বিশ্বকাপ ফাইনালে হারানোর কিছুই ছিল না ক্রোয়াটদের। তাই বিশ্বকাপ না জিতলেও বীরের অভিবাদন মিলেছে মদ্রিচ-রাকিতিচদের। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ক্রোয়েশিয়ার বয়স খুব বেশি নয়। ২৭ বছর আগে ১৯৯১ সালে যুগো¯øাভিয়া থেকে বেরিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল দেশটি। কিন্তু স্বাধীনতা পাওয়ার সাত বছরের মাথায় প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েই সেমিতে পেঁৗছেছিল তারা। ১৯৯৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপের দুদার্ন্ত সেই কীতিের্কও এবার ছাড়িয়ে গেছেন লুকা মদ্রিচ, ইভান রাকিতিচরা। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নটা বড় করে দেখলেও ফাইনালে এবার ফ্রান্সের কাছে হেরে যেতে হয়েছে তাদের। কিন্তু তাই বলে ক্রোয়াটরা কিন্তু মুখ ভার করে নেই। দেশে ফেরার পর নিজেদের ফুটবল-বীরদের বিপুলভাবে সংবধির্ত করেছে ক্রোয়েশিয়ার মানুষ। দেশের জনসংখ্যা মাত্র ৪৩ লাখ। কিন্তু সোমবার জাগরেবের বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিল ৫ লাখ মানুষ। যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ১০ ভাগ। নেচে গেয়ে তারা স্বাগত জানায় জাতীয় বীরদের। রাজধানী জাগরেব পরিণত হয়েছিল উৎসবের নগরীতে। ছাদখোলা বাসে জাসির্ পরা খেলোয়াড়েরাও শামিল হয়েছিলেন সেই উৎসবে। দলের জাসির্ গায়ে, জাতীয় পতাকা হাতে কে ছিল না সেই মিছিলে। শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী পুরুষ নিবিের্শষে সবাই এদিন রাজধানী জাগরেব ও প্রধান-প্রধান শহরে উদযাপন করেছে জাতীয় দলের প্রত্যাবতর্ন। যথারীতি নেতৃত্বে ছিলেন দলনেতা ও রাশিয়া বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের মযার্দা পাওয়া লুকা মদ্রিচ। মোটকথা নিজেদের ইতিহাসের সেরা উৎসবটাই সোমবার উদযাপন করেছে ক্রোয়েশিয়ার মানুষ। রাশিয়া বিশ্বকাপে এবার দুদার্ন্ত পারফমর্ করেছে ক্রোয়েশিয়া। আর তাই মদ্রিচ-রাকিতিচদের এই বীরের সম্মান ক্রোয়েশিয়ায় ফুটবলকে ভিন্নমাত্রাই দিয়েছে। কে জানে, সেদিন বুঝি আর খুব দূরে নেই যেদিন বিশ্বজয়ের উৎসবেই মেতে উঠবেন ক্রোয়েশিয়ার মানুষ।