নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ

ভুটানকে হারিয়ে সাফের সেমিতে বাংলাদেশ

প্রকাশ | ১৫ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দল। বৃহস্পতিবার নেপালের শহীদ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম গ্রম্নপ ম্যাচে তারা ২-০ গোলে হারায় ভুটানকে। এই জয়ে এক ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে লাল-সবুজরা। সমান পয়েন্ট স্বাগতিক নেপালেরও। তবে গোলগড়ে এগিয়ে তারা আছে শীর্ষে। আগামীকাল তাদের বিপক্ষেই গ্রম্নপ চ্যাম্পিয়ন হবার লড়াই বাংলাদেশের। সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ আছে গ্রম্নপ 'এ'তে। যেখানে তাদের সঙ্গী হয়েছে নেপাল এবং ভুটান। গ্রম্নপের সেরা দুই দল খেলবে সেমিফাইনালে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দেয় নেপাল। যে কারণে সেমিফাইনালে যাবার পথটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায় বাংলাদেশের জন্য। বৃহস্পতিবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে শুরু থেকেই গোল পেতে মরিয়া গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে গেছে। তবে ভুটানেরও বাঁচা-মরার লড়াই এটি। কারণ হারলেই নিশ্চিত বিদায়। তাই দক্ষিণ এশিয়ার এ মর্যাদার লড়াইয়ে টিকে থাকতে তারা কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন মারিয়া মান্ডা। কিন্তু দক্ষতার সঙ্গে বল গ্রিপে নেন ভুটানের গোলরক্ষক সঙ্গীতা মঙ্গার। ২৬ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে ভুটানের পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়েন সানজিদা। কিন্তু তাকে ঘিরে ধরেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডাররা। তাই সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেননি। ৩৪ মিনিটে দলীয় অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের বাঁ-পায়ের দূরপালস্নার শট অল্পের জন্য জড়ায়নি জালে। পরের মিনিটেই বক্সের বাঁ কোণা থেকে আবারও দারুণ একটা শট নেন সাবিনা। তবে এবার গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় গোল হজম করতে হয়নি ভুটানকে। ৩৮ মিনিটে আরও একটি সুযোগ হাতছাড়া হয়। কারণ বল নিয়ে বক্সে ঢুকে যাবার মুহূর্তে সিরাত জাহান স্বপ্নাকে অফসাইডের ফাঁদে ফেলেন ভুটানের ফুটবলাররা। ৪২ মিনিটে অফসাইডের কারণে একটি গোলও বাতিল হয় বাংলাদেশের। যে বলটি বাঁ-প্রান্ত থেকে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন স্বপ্না। বল জালে পাঠিয়েছিলেন মিশরাত জাহান মৌসুমী। দেশ ছাড়ার আগেই ছোটন জানিয়েছিলেন রক্ষণে বেশ উন্নতি করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এই ম্যাচে মাঠেও তার প্রতিফলন ছিল। প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। তবে বিরতির সময়ে ছোটন শিষ্যদের যে মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করেছেন, তার ফলটা মিলেছে দ্বিতীয়ার্ধের একদম শুরুতেই। ডান প্রান্ত থেকে মনিকা চাকমার কর্তার বক্সে জটলার মধ্যে পেয়ে বাঁ পায়ে শট নেন মৌসুমি। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা ভুটান ডিফেন্ডাররা কিছু বুঝে ওঠার আগেই বল আশ্রয় নেয় জালে (১-০)। ৭৪ মিনিটে ভুটানের দারুণ একটি আক্রমণ হেড দিয়ে ফিরিয়ে দেন মারিয়া মান্ডা। ৮১ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে স্বপ্নার শট গ্রিপে নিয়ে নেন সঙ্গীতা। ৮৫ মিনিটে তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ভুটানের পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়েন দলীয় অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। পোস্টের খুব কাছ থেকে দারুণ কোনাকুনি শটে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় গোল উপহার দেন সাবিনা (২-০)। ইনজুরি টাইমে ডান প্রান্ত থেকে করা তহুরার শট অল্পের জন্য জড়ায়নি জালে। সেখানে দাঁড়ানো তার সতীর্থ ফুটবলার বলটি জালে ঠেলে দিতে পারলেও তৃতীয় গোলটি পেতে পারত বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয়েই সেমিফাইনালের টিকিট কাটে লাল-সবুজরা। শনিবার গ্রম্নপে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।