শেখ জামাল ও প্রাইম ব্যাংকের জয়

১১১ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায় ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন এনামুল হক বিজয়। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন এই সেঞ্চুরিয়ান

প্রকাশ | ১৫ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

ক্রীড়া প্রতিবেদক
অসাধারণ বোলিংয়ে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে অল্প রানে গুটিয়ে দিয়ে জয়ের অর্ধেক কাজটা করে দিয়েছিলেন বোলাররা। দারুণ এক সেঞ্চুরিতে বাকি কাজটা সারলেন এনামুল হক বিজয়। রূপগঞ্জকে সহজেই ৯ উইকেটে হারিয়ে জয়ে ফিরল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ফতুলস্নায় নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে শাইনপুকুরকে ১২ রানে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। বিকেএসপি মাঠে বৃহস্পতিবার আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৬.১ ওভারে ১৬৩ রানে অলআউট হয়ে যায় রূপগঞ্জ। প্রাইম ব্যাংক সেটি পেরিয়ে যায় ১১১ বল বাকি থাকতেই। জয় দিয়ে এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শুরুর পর দ্বিতীয় ম্যাচে দোলেশ্বরের কাছে হেরেছিল প্রাইম ব্যাংক। তৃতীয় ম্যাচে আবার জয়ের স্বাদ পেল তারা। টানা দুই জয়ের পর প্রথম হার দেখল রূপগঞ্জ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৬ রানেই আজমির আহমেদের উইকেট হারায় রূপগঞ্জ। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে তারা। মোহাম্মদ নাঈম ও জাকের আলী ছাড়া বলার মতো কিছু করতে পারেননি আর কেউই। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাঈম ৪৩ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় করেন সর্বোচ্চ ৫২ রান। জাকের ৬৪ বলে ৫ চারে করেন ৪৭। আগের ম্যাচের আরেক সেঞ্চুরিয়ান অধিনায়ক নাঈম ইসলামের ১৫ রান তৃতীয় সর্বোচ্চ। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ছয়জন হাত ঘুরিয়ে আল-আমিন ছাড়া সবাই উইকেট পেয়েছেন। ২টি করে উইকেট নেন মোহর শেখ, আল-আমিন হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, আরিফুল হক এবং অলক কাপালিও। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ১২৫ রানের উদ্বোধনী জুটিতে প্রাইম ব্যাংককে ভালো সূচনা এনে দেন এনামুল ও রুবেল মিয়া। জয়ের জন্য প্রাইম ব্যাংকের যখন দরকার ৩ রান, এনামুলের রান তখন ৯৯। আজমিরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে তিনি তুলে নেন এবারের ঢাকা লিগে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। এক বল পর চার হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন সুদীপ। ১১১ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায় ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন এনামুল। ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন সুদীপ। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন সেঞ্চুরিয়ান এনামুল হক বিজয়। ফতুলস্নায় টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৫.১ ওভারে ১০৬ রান তুলতেই সবকটি উইকেট হারায় শেখ জামাল। অথচ এই শেখ জামালই এবারের ডিপিএল টি২০'র চ্যাম্পিয়ন দল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন জিয়াউর রহমান। এছাড়া পুনিত বিস্ট ২২, তানভীর হায়দার ১৪ ও নাসির হোসেন ১৩ রান করেন। শাইনপুকুরের হয়ে ৬ ওভারে ২৮ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন সাব্বির হোসেন। এছাড়াও শরিফুল ইসলাম ৩টি, দেলোয়ার হোসেন ২টি ও সোহরাওয়ার্দী শুভ ১টি করে উইকেট নেন। ১০৭ রানের জবাবে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৯৪ রানেই গুটিয়ে যায় শাইনপুকুর। ওপেনার উদয় কৌল ১৭ ও সাব্বির হোসেন ২৬ রান করে আউট হন। আর সোহরাওয়ার্দী শুভ করেন ১০ রান। এছাড়া আর কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। শেখ জামালের হয়ে ১৭ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন সালাউদ্দিন শাকিল। জিয়াউর রহমান ১০ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নেন ৫টি উইকেট। এছাড়াও একটি উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন জিয়া।