সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১৬ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
দোয়া চেয়েছেন তামিম-মুশফিক ক্রীড়া ডেস্ক নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নূর জাম্বারে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা। অনুশীলনের পর জুমার নামাজ আদায় করতে ওই মসজিদে যাচ্ছিলেন ক্রিকেটাররা। ঘটনার পর টাইগার উইকেটকিপার কাম ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও ওপেনিং ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। মুশফিক লেখেন, 'ক্রাইস্টচার্চে মসজিদের গোলাগুলি থেকে আলস্নাহ আমাদের রক্ষা করেছেন। আমরা খুবই ভাগ্যবান ছিলাম। আলস্নাহকে ধন্যবাদ। আমরা ঘটনার খুব কাছে ছিলাম এবং এই জিনিসগুলো আর অনুভব করতে চাই না। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।' টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নিজেদের নিরাপদে থাকার কথা জানিয়েছেন। তামিম লিখেছেন, 'বন্দুকধারীর গুলি থেকে আমরা পুরো দল বেঁচে গেছি। এটা খুবই ভীতিজনক একটি অভিজ্ঞতা। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।' শুক্রবার ঘুম থেকে উঠেই টেলিভিশনের পর্দায় এমন দৃশ্য দেখে আঁতকে ওঠেন তামিম ইকবালের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা। তামিমের টুইট থেকে বুঝতে পারেন দেশের ক্রিকেটাররা নিরাপদেই আছেন। যেখানে কম কথায় জাতীয় দলের এই ওপেনার তার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন। এরপরই আয়েশা স্বামী তামিম ইকবাল ও দলের ক্রিকেটারদের জন্য দোয়া চাইলেন। আয়েশা তার ফেসবুক টাইম লাইনে লেখেন, 'সকালে ঘুম থেকে উঠেই ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার ভয়াবহ খবরটা পেলাম। এটা ভয়ঙ্কর এক খবর। হামলায় হতাহতদের জন্য আমার হৃদয় কাঁদছে। মহান আলস্নাহ্‌? তা'আলা সবার পরিবারকে শোক সইবার শক্তি দিন। আলহামদুলিলস্নাহ! তামিম নিরাপদ আছে। দয়া করে সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।' অজ্ঞাত মহিলা বাঁচিয়ে দিলেন টাইগারদের ক্রীড়া ডেস্ক নিউজিল্যান্ডের সেন্ট্রাল ক্রাইস্টচার্চের ডিনস ইভে মসজিদ আল নুরে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যরা। জুমার নামাজের সময় হওয়ায় সে মসজিদেই নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন তামিম ইকবাল, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলামরা। তবে মসজিদে ঢোকার আগমুহূর্তে অজ্ঞাত এক নারী রক্তাক্ত অবস্থায় এসে তামিমদের সতর্ক করে জানান যে মসজিদের ভেতরে গোলাগুলি হচ্ছে, ভেতরে যেও না। অজ্ঞাত সে নারী তখন গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলেন ঘটনাস্থলের রাস্তা দিয়ে। তিনি নিজেও গুলিবিদ্ধ হন। কিছুদূর এগোনোর পর তিনি যখন দেখতে পান বাংলাদেশ দলের বাস সে পথেই এগোচ্ছে, তখন সাথে সাথে জানান যে সামনে গোলাগুলি হচ্ছে, এগোনো ঠিক হবে না। সে মহিলার সতর্কবার্তা শুনে তড়িঘড়ি করে টিম বাসের মধ্যে ঢুকে যায় বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা এবং শুয়ে পড়ে মেঝেতে। খানিক পরেই ঘটনাস্থলে থাকা নিরাপদ হবে না ভেবে তামিম-মিরাজরা বাস থেকে বেরিয়ে হ্যাগলি পার্ক দিয়ে চলে গেছে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভাল স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুমে।